About Me

My photo
JATRABARI , Dhaka, Bangladesh
I'm different, Damn your opinion. I have a passion for perfection, I like to challenge myself, and I appreciate diversity. I'm committed to personal aesthetics, excel in finding problems and solutions, and have a driving force to create. I have boundless imagination and an open mind. Disclaimer : I am a real person. I struggle, and I sparkle. I'm no longer afraid to say what makes Me angry, sad,or what I think is unfair. I'm not scared to admit that at time I feel worthless, lost or not enough. I'm also not hiding from love, beauty, aliveness, blessings or abundance anymore. I will not edit the sad,angry for f*cked up part of my story, or the holy magnitude of my triumphs to make anyone comfortable. I'm a real person. I struggle and I sparkled. Warning: Don't Believe All The Rumors You Hear About Me, because The Truth Is Much Worse! I'm not perfect. Never have been & never will be...

Thursday, June 25, 2015

শৈশবের রোজা

আমাদের ছোটোবেলায় রোজার মাসের আগে থেকেই এক রকম রেওয়াজ-রীতির আয়োজন আর উদগ্রীব অপেক্ষা শুরু হতো।

শৈশবের এই বিষয়ক ভাবনার শুরুটা ছিলো কে কয়টা রোজা রাখতে পারলাম এটা নিয়ে। যে বেশী রাখলো তার বুকের ছাতি ফুলে ফেপে পালোয়ান।আর বাকিরা সব পোলাপান।।

পাড়ায় মহল্লায় ছেলে পুলেদের আর একটা প্রতিযোগিতা ছিলো তারাবীর নামাজ পড়া নিয়ে। দল বেধে সব কাচ্চা-বাচ্চা, কিশোর, তরুণ, যুবক বাড়ী বাড়ী থেকে একসাথে হয়ে যেতো মসজিদে। আর কিছু দুষ্টু সেই নিরিবিলি সময়ে ফন্দি ফিকির অনুযায়ী বাঁদরামিটা করে নিতো, যা নিয়ে পরে হয়তো লোকে গবেষণায় নামতো, কে করলো। কোনো মহল্লায় হয়তো আবার উল্টো কিছু একটা হলে যেই করুক লোকে ধরে নিতো করেছে নিশ্চিত ট্রেড মার্ক কোনো লেজছাড়া বানর বা বানরের দল।

একটা খুব আন্তরিক সামাজিক পর্ব ছিলো বাড়ী বাড়ী ইফতার পাঠানো। ট্রেতে ঢেকে কয়েকজন মিলে দল বেধে। মাঝে মাঝে যেনো বাহিনী নামতো কোনো বাসা থেকে সব ভাই বোনেদের মিলে। আড়ালে এক রকম কমপিটিশান, কে কতো বেশী পদ আর মজাদার পদ ইফতার বিলি করলো। এটার একটা গ্রান্ড ফিনালে হতো যেনো সাতাশ রোজার রাতে।

কারো কারো বাসায় মহল্লার কোনো গরীব বা মিসকিনের মাস কাবারি ইফতারের বন্দোবস্ত থাকতো। কখনো ব্যাপারটা এমন হয়ে দাড়াতো যে অন্যরা অমন ইফতার খাওয়াবার বুকিংটাই আর পেয়ে উঠত না।
সেহেরীর সময়টার একটা আলাদা আকর্ষণ ছিলো মহল্লায় মহল্লায় ঘুম ভাংগানোর গানের দলের মিছিল করে হামদ-নাত এসব গানের মতো মিছিল করে বলে বলে পাড়া প্রদক্ষিণ করা। একে একে বাড়ী বাড়ী মানুষ জন ঘুম ছেড়ে ওঠার শব্দ টের পাওয়া যেতো অন্য বাসা থেকে। কখনো কখনো কার বাসায় কি রান্না হলো সেই সুবাসও ভেসে বেড়াতো বাড়ী বাড়ী। যদিও পরিণত বয়সে এসে গানের দলের এই চর্চাকে পুঁজি করে এক রকম চাঁদাবাজিও হতে দেখেছি।
মাংস ভূনা, মুরগীর ঝোল, মাছের দোপেয়াজা কি কি সব নানা রকম স্বাদু খাবারের গন্ধ ভেসে বেড়াতো। সব ঘরে শব্দের দ্যোতনা ক্রমশ: দ্রুততর লয়ে হতে থাকতো।

শব্দগুলো ক্রমশ: কমে আসতে থাকতো আর মুরুব্বীরা গলা খাকাড়ি দিতে দিতে মসজিদের দিকে এগোতো প্রায়ন্ধকার ভোরে পাড়া-মহল্লার অলি-গলি দিয়ে। এই পর্বে ছেলেপুলেদের সংখ্যা কিছুটা কমে আসতো মাগরেব আর এশার তুলনায়।
সবকিছুর মধ্যে সেই যে এক সামাজিক মিথস্ক্রিয়ার ছবি আর পার্বণের চর্চা দেখেছি তা আজ শুধুই স্মৃতি। শুধুই অতীত। সেই সহজ সরল সাদামাটা দিনগুলো কোন ঝড়ে কোন জলোচ্ছ্বাসে হারিয়েছে জীবন থেকে ! কে জানে !

পুনশ্চ: ইহা কোনো পাক্কা রোজাদারের স্মৃতিনামচা নহে।

Tuesday, June 23, 2015

Real আমি Vs virtual আমি


বাস্তব জীবনে আমি প্রচণ্ড অসামাজিক। আত্মীয়তা বা সামাজিকতা রক্ষার ধারে-কাছেও যাই না আমি। আমার বন্ধু-বান্ধব, আত্মীয়-স্বজন সকলের অন্যতম অভিযোগ আমি ফোন করি না কেন!??
অসামাজিক হবার পাশাপাশি আমি মোটামুটি রগচটা, একরোখা এবং গোয়ার টাইপ। হঠাৎ করে রেগে উঠি এবং রাগলে মাথা ঠিক থাকেনা, তর্কে জরিয়ে যাই (মাঝে মোধ্যে তো হাতও চলে)। আমার বন্ধুর সংখ্যাও অনেক কম, BMA-র কোর্সমেট বন্ধুরা ছাড়া ভার্সিটির গুটি কয়েক জনের  সাথে বন্ধুত্ব হয়েছে। চাকুরি জীবনেও বন্ধু বেড়েছে খুব কম। বন্ধু বানানোয় আমি অনেকটাই ব্যর্থ বা খুঁতখুঁতে।
অথচ ভার্চুয়াল আমি অনেকটাই এর বিপরীত। মানুষের সাথে নিয়মিত যোগাযোগ রাখি , ‘বন্ধু’র সংখ্যাও দিন দিন বেড়ে চলেছে! বাস্তব জীবনে আমি প্রায়ই হুট-হাট করে লাইফ অল্টারিং সিদ্ধান্ত নিই। যেমন- হুট করে academy ছেড়েছি, হঠাৎ কোরেই খেলা আর ক্লাব ছেড়ে দিলাম,  আরো কতো কি ! অথচ, অনলাইনে সামান্য একটি কমেন্ট করার আগেও আমি অনেক চিন্তা-ভাবনা করে করি। আমার লেখা পড়ে কে কি ভাবতে পারে- তা আগে থেকেই বোঝার চেষ্টা করি। কেউ আমাকে ব্যক্তিগত আক্রমণ করেও কথা বললেও পালটা আক্রমণ যতক্ষণ পর্যন্ত না করে থাকা যায় তার চেষ্টা করি! কিছুদিন আগে ask.fm-এ দেখেছিলাম একজন প্রশ্নো করেছেন ‘আপনি যদি আপনার সাথে পরিচিত হোতেন, নিজেকে কি পছন্দ করতেন?’ চিন্তা করে দেখলাম, আমি আমার ‘ভার্চুয়াল আমি’কে কোনো মতে পছন্দ করলেও বাস্তব আমিকে হয়ত সহ্যই করতে পারতাম না। (যারা করছেন, তাদের কাছে আমি কৃতজ্ঞ!) আমার ‘ভার্চুয়াল আমি’ ‘বাস্তব আমি’র চেয়ে শ্রেয়ত্বর ব্যক্তিত্ব!!

There's nothing what's seems like


শিশুকালে বহুতল ভবনের ছাদ হইতে মুত্র বিসর্জন ব্যাপারটি আমাকে ভয়াবহ আনন্দ দিতো! জল বিয়োজন প্রক্রিয়াটি এমনিতেই বেশ আনন্দদায়ক, তারউপর অভিকর্ষ বলের কারনে মানব মুত্র যেভাবে উপর হইতে নিচে গড়াইয়া পড়ে ব্যাপারটি আমার কাছে অভাবনীয় রোমাঞ্চকর একটি বিষয় ছিলো! কত বছর ছাঁদে দাঁড়াইয়া পথচারীদের মাথার উপর মুত্র বিসর্জন করি না। নস্টালজিয়া যখন ক্রমেই জাকিয়া ধরিলো..... looking back at myself a year ago: how embarassing looking back a month ago: how embarassing looking at myself right now: how embarassing
ঈশপের গল্পের মোড়াল থাকে! আমি ঈশপ সাহেব না! আমি ভয়ঙ্কর মাত্রায় ফাজিল প্রকৃতির একজন মানুষ! তাই আমার গল্পের কোন মোড়াল নাই। শুধু বলতে চাচ্ছিলাম সব সময় আমরা খোলা চোখে যা দেখি তা আসলে ঠিক নাও হতে পারে । আর শোনা কথায়ও কান দিতে হয় না। শেষ হইয়াও হইলো না শেষ হইবার পূর্বে আধাখানা রিকুয়েস্ট...  Believe Half Of What You See And None Of What You Hear! ধন্যবাদ সবাইকে - যাহারা কথা রাখিয়াছে, আর যাহারা কথা রাখে নাই।।

Life Game


I will like Indian tesm till a mute man tells his deaf friend about a blind man that saw a guy with no legs walking on water.

ক্রিকেটে যেমন, জীবনেও তাই। মার খেতে খেতেই একদিন আমরা মার দেয়া শিখব।শুধু ক্রিকেটে নয়- প্রতিটি ক্ষেত্রে।
Sometimes it takes sadness to know happiness, noise to appreciate silence and absence to value presence.

Cricketer জাতীয় বীর

একজন ডাক্তার তার জীবনে শত শত রোগীর জীবন বাঁচায়। একজন মিলিটারি অফিসার দেশমাতৃকার জন্যে বুকে গুলি বিঁধে লুটিয়ে পড়ে- সন্ত্রাসীর ছোঁড়া বোমায় ছিন্নভিন্ন মস্তিষ্ক নিয়ে রাস্তায় পড়ে থাকে পুলিশ বাহিনীর কোন সাহসী সদস্য। এরা নিঃশেষে প্রাণ দেয়, প্রাণ বাঁচায়।সমাজের স্তরে স্তরে এদের অবদান অনেকটা বাতাসের মত, প্রমথ চৌধুরীর ভাষায়, “বায়ু সমুদ্রে বসবাস করিয়া আমরা ভুলিয়া যাই যে আমরা বায়ূ সমুদ্রে বসবাস করিতেছি”। তবুও, বাংলাদেশে একজন ক্রিকেটার যে সম্মান পান- রাজার সম্মানও তার কাছে তুচ্ছ। অল্প ক’বছরের খেলা, চল্লিশের আগেই অবসর- কিন্তু যতদিন আপনি মাঠে আছেন এবং পারফর্ম করছেন- গোটা পৃথিবীটা আপনার। সাদা চোখে এ বিষয়টা খানিকটা আনফেয়ার বলে মনে হতে পারে।ক্রিকেটাররা তো আমাদের জীবন বাঁচায়না, দেশের জন্যে জীবন উৎসর্গ করার শর্ত নিয়ে চাকুরিতে যোগও দেয়না।কেন তাহলে তাদের নিয়ে এত উন্মাদনা? ক্যেনো?  Why????

Saturday, June 20, 2015

Treat Woman The Way You Want Your Daughter To Be Treated


'দোস্ত, মেয়েটা মৈনাক পর পর্বতের মত মোটা, দেখলেই রাক্ষস ভীমের কথা মনে পড়ে। '
'ভাবী, পাশের বাড়ির মেয়েটা এতো খ্যাত! ক্যামনে যে লিপস্টিক দেয়! দেখলেই বোঝা যায় জঙ্গল থেকে উঠে আসছে। '
'মাম্মা, এই মেয়েটা তো পুরাই ট্যাবলেট সাইজের! এতো শর্ট!! মনে হয় বাইট্টা কোন ব্যাঙের গর্ভ থেকে বের হইছে! '
'দেখ দেখ। মেয়েটা এতো কালা কুচকুচা। ডেইলি কাকের মাংস খায় মনে হয়। ওয়াক !! এমন মাইয়া ফ্রি দিলেও আমি নেই না... '
এইগুলা হচ্ছে পাবলিক প্লেসে খুব সাধারণ কিছু মেয়েদের নিয়ে আমাদের মত সাধারণ কিছু মানুষের খুব কমন কিছু কথাবার্তা।
ক্যান ভাই, চেহারা দেখে একটা মেয়ে সম্পর্কে সস্তা দরের রসিকতা না করলেই কি না? তার ওজন আফ্রিকান প্রেগন্যান্ট হাতি থেকে দুই ছটাক কম, গায়ের কালার একটু পরিষ্কার হলে মেয়েটাকে মানুষের মত লাগতো- এইসব কমেন্ট না করলে কি আপনার কিডণী বিস্ফোরণ হবে, ধনুষ্টঙ্কার রোগ হয়ে মারা যাবেন আপনি??
নাকি চলতে ফিরতে রাস্তায় আপনার গার্ল ফ্রেন্ড বা বোনরে যদি কেউ বলে বসে- ‘ দেখছো মাম্মা, জিনিসটা তো পুরাই মাক্ষি, একদম রসে টসটসা, খালি একটু বাইট্টা আর কি!’ – এমন মন্তব্য শুনে আপনার আকাশ ভাঙ্গা আনন্দ হবে?? অফ যান! লাইফে নারীঘটিত সস্তা দরের রসিকতাই সব কিছু না।
আপনি তো গোপাল ভাঁড় না। আশে পাশের মানুষরে বিনোদন দিতে গিয়ে একটা মানুষের চেহারা সম্পর্কে এই টাইপ রাফ কথা বলে তারে হার্ট করার কি দরকার??
Treat Woman The Way You Want Your Daughter To Be Treated

সাব্বির ষাড় ( Sire)


আমার ছোটবেলায় দেখা অনেক কিছু এখন আর দেখি না। সামাজিক আচার, খাবার দাবার,উৎসব, গালগপ্পো এ রকম অনেক ব্যাপার স্যাপার মিলিয়ে যাচ্ছে।
মানুষ বেড়ে গেছে, আর তাই বেড়ে গেছে ভুলের সংখ্যাও। আর শিক্ষার সাথে সাথে অশিক্ষা, কুশিক্ষা ইত্যাদি বেড়ে, মানুষ জন জ্ঞানী (অতিরিক্তি জ্ঞানী) হয়ে যাচ্ছে! সহজ জিনিসটাকে সহজভাবে তাই আর দেখার সুযোগ কোথায়?
Our education system teaches us how to buy a living, NOT how to live.
শুনলাম এ লেভেলসের সাব্বির স্যারের এর কাছে টাকা দিয়ে প্রাইভেট পড়ার জন্য নাকি ১০০ টাকা দিয়ে ফর্ম কিনে ভাইভা আর লিখিত পরীক্ষা দিতে হয়?! সেই পরীক্ষায় মেধা তালিকায় স্থান পেলেই নাকি পোলাপান কেবল মাত্র সাব্বির স্যার এর কাছে প্রাইভেট পড়তে পারে!! সবচেয়ে মজার ব্যাপার যারা সাব্বির স্যারের এর কাছে প্রাইভেট পড়ার জন্য যে পরীক্ষায় দিতে হয় সেই পরীক্ষায় পাশ করার জন্যেও নাকি এদিক সেদিক প্রাইভেট কোচিং করে!!! এসব কথা শোনার পর আমি খাওয়া দাওয়া ছেড়ে জানালা দিয়ে এদিক সেদিক তাকালাম। আচ্ছা ভাই সাহেব, কেয়ামত কি সত্যিই আসন্ন???

জীবনের আকাশে সূর্য না উঠলে এরকম একজন স্যার (ষাড়) হয়ে যাবো ভাবছি।।

Impress Your Creator not creation

কিছু মানুষ থাকে যাদের বিনোদনের খোঁড়াক যোগাতে গভীর রাতে uniform পড়ে ভয়ানক মুত্রচাপ আটকেও বোতলের পর বোতল পানি খেয়ে parade  কড়া যায়। যারা পেটে পাড়া দিয়ে মুখ দিয়ে কলিজা বের করে ফেলার প্রাণনাশী হুমকি দিলেও অদ্ভুত ভালো লাগা জেঁকে ধরে। যাদের সামনে এখনো চুল আঁচরে কলার ঠিক করে দাঁড়াতে গেলে কপালে বিন্দু বিন্দু ঘাম জমে, আকাশ অন্ধকার করে এক সমুদ্র তৃষ্ণা পায়... তবু তারা দূরে থাকে। কাছে থেকেও চির অধরা থেকে যায়...
কিছু Boss-র দৃস্টি আকর্ষনের জন্যে এই কড়া রোদেগরমে রাস্তাঘাটে suit, tie পোরে marketing- এ বের হতে হয়  deposited collection-এ।তবুও "B" grade এর বেশি জোটেনা এই corporate কামলাদের কপালে।
Impress Your Creator, Not His Creation.. আমদের জীবনের একটা বড় সময় X,Y,Z কে ইম্প্রেস করার কলা কুশল শিখতে শিখতে আর practical field-এ প্রয়োগ করতে করতে যায়। ভাবখানা এমন মৃত্যুর পর ঐ X, Y, Z আপনাকে আমাকে কোলে তুলে পুলসিরাত পার করিয়ে দিবেন।। কিন্তু আপনি অমর টাইপ কোন প্রাণী হলে অবশ্য আপনার কথা ভিন্ন!

Relationship

রিলেশন জিনিসটা পুরাটাই একটা fantasy।Boyfriend Girlfriend প্রজাতি যতক্ষণ একজন আরেকজনকে ফ্যান্টাসির fantasy-র মধ্যে রাখবে ততক্ষন সব ঠিক। পা পিছলে মনের ভুলেও যদি reality-কে সম্পর্কের সামনে দাঁড়া করান তাইলেই হইছে! সব শেষ।। সারাদিন জান, বাবু, কুচিপুচি  এইসব ন্যাকামির বাইরে গিয়ে ভিন্ন কিছু করা যায় না?? নাকি জানটুস, ফানটুস শব্দগুলাই ভারচুয়ালি ভালবাসার মাপকাঠি, fantasy জগতে ঢোকার password?? Dear Boys,life is too short for all this funky  জানটুস, ফানটুস...,get a life. Don't  just get lost!!

সহজ কথা যায় না বলা সহজে....

আমার ছোটবেলায় দেখা অনেক কিছু এখন আর দেখি না। সামাজিক আচার, খাবার দাবার,উৎসব, গালগপ্পো এ রকম অনেক ব্যাপার স্যাপার মিলিয়ে যাচ্ছে।
মানুষ বেড়ে গেছে, আর তাই বেড়ে গেছে ভুলের সংখ্যাও। আর শিক্ষার সাথে সাথে অশিক্ষা, কুশিক্ষা ইত্যাদি বেড়ে, মানুষ জন জ্ঞানী (অতিরিক্তি জ্ঞানী) হয়ে যাচ্ছে! সহজ জিনিসটাকে সহজভাবে তাই আর দেখার সুযোগ কোথায়?
Our education system teaches us how to buy a living, NOT how to live.
“What we do for ourselves dies with us. What we do for others, remains & is immortal.”
অন্যের কিছু কেড়ে নেয়া বা করুনা গ্রহন করাটা এখন সম্মানের মনে করা হয়!!
Learn to appreciate what you have, before time makes you appreciate what you had....

Saturday, June 13, 2015

জীবন ঋতি নিয়ত ঋদ্ধিমান

মানুষ কোথায় থামবে ! মানুষ থামেনি । তার ভাবনা আর যাতনার ধরন পাল্টেছে মাত্র । প্রকাশের রঙ বদলেছে কেবল ।

যাতনার রকম ফের নতুন নতুন দ্যোতনার জন্ম দ্যায় ঠিক । আগুন আর তার দহন যন্ত্রণা আপন স্বরূপ কিছুটাও পাল্টায়নি । যে পোড়ে শুধু সে ই বোঝে ! আগুন ও ছাই তার রঙটুকু হাজার বছরেও এক বিন্দু পালটায় নি ।

ভাবছি সেই ছাই ভষ্ম একটু একটু করে ঘেঁটে দেখবোই দেখবো কি তার ভেল আর ভেলকি ! অনাদিকাল ধরে কি সে ধারন করে বুকের ভেতর যা নিয়ত এভাবে পোড়ায় … পুড়িয়ে মারে …

একটি উপলব্ধি

মাঝে মাঝে নামায পড়তে কাছের মসজিদে যাই। নানান রকমের মানুষ দেখি। কেউ আসে গাড়ি চেপে, কেউ সাইকেল বা মোটরসাইকেলে, বেশিরভাগই পায়ে হেঁটে। পা নেই এমন লোকও আসে। শুক্রবার  সুন্নত নামাজের সময় দেখি কিছু দূরে একজন অনেক সময় নিয়ে সিজদা দিচ্ছে, কারণ বয়স অনেক, তার উপর একটা হাত নেই। এক হাতের উপর সিজদা দেওয়া এবং সেখান থেকে উঠা বেশ কঠিন কাজই বটে, পরে বাসায় চেষ্টা করে দেখেছি, অনেক কষ্টের। নিজের হাজার না পাওয়ার তালিকা যখন মনের ভেতর ঘাই মারতে থাকে, এসব দৃশ্য দেখে লজ্জা পাই। কার যে কি নেই, সে নিজেই কি ভালো করে জানে? মসজিদে যাওয়ার সবচেয়ে ভাল দিক মনে হয়,  আল্লাহ্‌ ধনী-গরীব, উঁচু-নিচু সবাইকে এক কাতারে দাঁড় করিয়ে দেখিয়ে দেন, তাঁর চোখে আসলে সবাই সমান। পৃথিবীর আর কোন ব্যবস্থায় এতো অল্প সময়ে এতো ধরনের মানুষকে এক কাতারে কেউ দাঁড় করাতে পারবে বলে আমার মনে হয়না।

Hope

ছোটবেলায় গ্রিক মিথোলজির একটা গল্প পড়েছিলাম। এক গ্রিক রাজা দেবতাদের সন্তুষ্ট করার জন্য তাদেরকে এক ভোজসভায় আমন্ত্রণ করেন। আপ্যায়নে খুশি হয়ে দেবরাজ যাবার বেলায় তাকে একটা থলি উপহার দেন এবং জানিয়ে দেন যে এতে মানুষের জীবনে যা যা প্রয়োজন সব কিছু দেয়া আছে। এটা খোলার একটা শর্তও জুড়ে দেন তিনি। দেবতারা সবাই ঊর্ধ্বাকাশে চলে না যাওয়া পর্যন্ত রাজা যেন ওটা না খোলেন। যাহোক, দেবতারা রাজার প্রাসাদ চত্বর পেরিয়ে যেতেই রাজা আর ধৈর্য রাখতে পারলেন না। উনি তড়িঘড়ি থলের মুখ খুলে দেখতে গেলেন যে ভেতরে কি আছে। ভেতরে থাকা সবকিছু দ্রুত বের হয়ে হাওয়ায় মিলিয়ে যেতে লাগলো। রাজা তাড়াতাড়ি থলের মুখ বন্ধ করলেন। এরপর তিনি দেবতাদের ঊর্ধ্বাকাশে যাওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করলেন। এরপর তিনি থলের মুখ খুলে একটি জিনিসই দেখতে পেলেন। তা হল ‘হোপ’ বা ‘আশা’। এক রাজার ধৈর্যচ্যুতিতে মানবকুল আশা বাদে সবই হারাল। তাই আমরা সব ছাড়তে পারি, তবু আশা ছাড়তে পারি না।

Friday, June 12, 2015

That doesn't reduce the pain rather multiply

কিছু ব্যাপার আছে যেগুলো নিজের ভেতরই জমিয়ে রাখতে হয়। তার বহিঃপ্রকাশ কোন সমাধান নয়। বরং আরো কিছু সমস্যার আগমনী বার্তা। কিচ্ছু করার নেই।কাউকে বলতে পারবো না। না পারবো সমাজকে বোঝাতে নিজের অবস্থার কথা। অভিমানের পাহাড় জমতে থাকে শুধু, সময়টা পার করা ছাড়া আর কোন সমাধান চোখে পড়েনা।

চুল সমাচার।

ছোটবেলা থেকেই চুল আর চুল কাটানো আমার কাছে অনেক ঝোক্কি ঝামেলার ব্যাপার। পাড়ার সেলুনে চেয়ারের উপর বসার সময়টা থেকেই নাপিতের অভিযোগ আমি নাকি অনেক নড়াচড়া করি। সামরিক বাহিনীতে চাকরিরত বাবার সুবাদে প্রতিমাসে অন্তত একবার নিয়ম করে চুল কাটাতে হতো,তা আবার যেমন তেমন চুল কাটা নয়,একেবারে সেন্টিমিটার স্কেলের চুল কাটা। প্রত্যেকবার চুল কাটানোর পর আমাকে সজারুর মতো লাগতো,মনে মনে কষ্ট পেলেও কিছুই করার ছিলোনা। মনে মনে বলতাম একদিন আমিও …।
ছোট চুল রাখতে রাখতে বড় চুলের প্রতি কেমন যেন একটা ভালোবাসা জন্মে গিয়েছিল।
যাই হোক মুল কথায় আসি,চুল বড় করাটাও অনেক ঝামেলার ব্যাপার। ক্যানসারের যেমন স্টেজ আছে বড় চুলেরও বিভিন্ন স্টেজ আছে। ক্যানসারের সবচে ভয়ঙ্কর স্টেজ হচ্ছে স্টেজ ৪। আর চুল বড় করার সবচেয়ে ভয়ঙ্কর স্টেজ হচ্ছে “আজিজুল হাকিম” স্টেজ। এই স্টেজে মাথার সব চুল এক দিকে চলে আসে,মাঝে মাঝে কপালের অর্ধেকটা ঢেকে দেয়, তেল-জেল-পানি কোন কিছুতেই আর বশ মানতে চায় না। এই ভয়াবহ স্টেজটায় আছি এখন।

শান্তশিষ্ট লেজ বিশিষ্টো

মানব সভ্যতার ইতিহাসে নরমালি যাহারা আমার সহিত ভালো ব্যাবহার করে তাহাদের সহিত আমি ডাবল ভালো ব্যাবহার করি! কিন্তু যারা ভাব নিয়ে এমন আচরন করে যেন আমি মোড়ের গলির পান খাওয়া গোলাপি লুঙ্গি পড়া নেশাখোর চকিদার- তাদের সাথে আমি ডাবল ডাবল ভালো ব্যাবহার করি। চিল্লাফাল্লা হাওলা কাওলা, ভালো মানুষের মুখোশ পড়ে তাজমহল বেইচা খাওয়ার স্বভাব আমার ভেতর নাই। পায়ের নখ থেকে মাথার চুল পর্যন্ত পুরাটাই আমি হাই ভোল্টেজ খারাপ মানুষ। শুধু আমার প্রতি মানব সম্প্রদায়ের অপমানজনক আচরনগুলো আমি খুব হাসি মুখে মেনে নিয়ে ঐ মহান ক্যাটাগরির মানুষদের সাথে ইতিহাসের সর্বশ্রেষ্ঠ ভালো ব্যাবহারের চেষ্টা করি।। ইহাকে কেউ ছ্যাঁচড়ামি ভাবিয়া থাকিলেও আমার কিচ্ছু করার নাই।। আমি মুখে হাসি রাখিয়া সারাজীবন হাই ভোল্টেজ ভালো ব্যাবহারগুলা করিয়া যাইবোই।। ধন্যবাদ।

একটা শয়তানী হাসির স্মাইলি আবশ্যক।

আমি এমনিতেই যথেষ্ট শয়তান! এক্সট্রা কিছু আর দরকার নাই।। জি ভাই, আমি স্কুলের লাস্ট বেঞ্চে বসতাম। অঙ্কে দুই পাওয়া আমার নেশা ছিলো। কলেজে লাইফে শুধু যে ক্লাস বাং দিতাম তাই না, কালে ভদ্রে মন চাইলে হুট হাট করে ১ পিরিয়ড চেহারা দেখানোর জন্য ক্লাসে যাইতাম।। সারাজীবন ফাকিবাজি কইরা শেষ বয়সে পেটের ধান্দায় কর্পোরেট কামলাগিরি করি!! আপনার কোন সমস্যা??? ছোট বেলায় থেকেই আমি ছিলাম বিন্দাস..টিচারের বেধরক মাইর ছাড়া আর কোন টেনশানই ছিলোনা আমার....।মায়ের টুকটাক মাইর ডেজার্ট ভেবে খেয়ে নিতাম..। শিশুকালে ল.সা.গু এবং গ.সা.গু নামক কষা চেহারার এক ধরনের অঙ্ক আতঙ্ক নিয়ে করতে হতো। ব্যাপারটা শুধু যে শুধু কুরুচিপূর্ণ তাই নয়, সম্পূর্ণ শালীনতাবোধ বিবর্জিত! একটা অঙ্কের নাম ক্যান গু দিয়ে হবে? এইটা কোন শ্রেণীর রসিকতা?? কোমলমতি শিশুদের মাথায় অঙ্কের নামে গু তত্ত্ব নিয়ে লাফালাফি শেখানোর কি দরকার??

something or other syndrome

চারপাশে চোখ মেলুন । দেখবেন শুধু উধাওয়ের রাজত্ব। বিদ্যালয় থেকে বিদ্যা উধাও। বুদ্ধিজীবিদের মাথা থেকে বুদ্ধি উধাও। গান থেকে কথা ও সুর উধাও। কবিতা থেকে ভাব ও ছন্দ উধাও।রাজনীতি থেকে নীতি উধাও। মন্ত্রী মিনিস্টারের পেট থেকে গিলা-কলিজা উধাও। এদের চক্ষু থেকে লাজলজ্জা উধাও।স্বর্ণের ক্রেষ্ট থেকে স্বর্ণ উধাও।বিচারালয় থেকে বিচার উধাও। মানুষের মন থেকে শান্তি উধাও। স্বাভাবিক মৃত্যুর গ্যারান্টি উধাও।প্রেমিক-প্রেমিকার মন থেকে প্রেম উধাও। নদী থেকে পানি উধাও। মানুষের বুক থেকে সাহস উধাও। এটি উপলব্দি করার মতো বোধ ও মনন আমাদের থেকে উধাও।

Friday, June 5, 2015

Enigma

পৃথিবীর সব কিছুই তো বদলায়। দোষ শুধু ওই বেচারা মনটারই কেবল ! তাহলে সব শাস্তি তো তারই প্রাপ্য ! নাকি !
তাহলে এতো যুক্তি তর্কে মেতে লাভ কি আর !!!
জানি আপনার মনের মধ্যে এখনো নানান যুক্তি তর্কের ঝড় অগ্নুৎপাত-এর মতোন বেরিয়ে আসতে চাইছে। আবার অন্য দিকে অন্তর্গত আরেক সত্তা হাস-ফাস দম আটকে মরছে।
ওটুকু স্রেফ স্রেফ স্রেফ একান্ত আপনার। ওকে কি আপনি গলা টিপে মারবেন ! নাকি মরফিনে ডোবাবেন ! তন্দুরীর কয়লায় ঝোলাবেন ! তা একেবারে একান্তই আপনার ইচ্ছে . . .

ইচ্ছের লাগাম

ইচ্ছের ঘোড়া দাবড়েইতো আমাদের নিত্য দিনের যাপন।
স্বপ্নের ভেতর ইচ্ছের ঘোড়ার গায়ে যখন তখন পাখা পর্যন্ত গজায়। আর সেই ঘোড়া কেবল দৌড়ে -ঝাঁপিয়ে চলে না। মন চায় তো অনায়াসে সেই পংখীরাজ যে কোনো গন্তব্যে দিব্যি  উড়াল দেয়।
আর বাস্তবে ! জীবনভর হাঁটলাম কেবল পাশাপাশি। সেই ইচ্ছে ঘোড়ায় লাগাম, জিন কিছুই পরাতেও শিখিনি। চড়তে শিখাটাও খুব বেশী কঠিন ছিলো কি রপ্ত করে নেয়া ! অথচ পাশে হেটে চোখ বুঁজেই একটা জীবন পার !
সেই যে ঘোড়া দিয়ে শুরু করলাম। তাকে চাইলে এবার বাঘ, ভালুক, বানর, হনুমান যা খুশী বানিয়ে নেয়া যায়। না কাউকে বলতে হবে না এর কিয়দ গল্প কিংবা ফিরিস্তি।
খুব বেশী ভুল ভাল হলে নাহয় পরজন্মে শুধরে নেবো।
সেই পরজন্মের জন্য তিন উল্লাস !

আলোকিত পরিবার

কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশন আয়োজিত বছরের শেষ আলোচনা সভায় আলোচ্যসূচী ছিলো, "আলোকিত পরিবার" সেখানে বলা হয়, বাবা মা দের সবচেয়ে বড় ভুল এটাই...