কয়েকদিন ধরেই ভাবছি কিছু একটা লিখবো।কিছু একটা লিখবো।কিন্তু হয়ে উঠছিলোনা নানা কারণে।কারণগুলোর মধ্যে ব্যস্ততা যেমন আছে, আছে অলসতাও। কি নিয়ে লিখবো ভাবতে গিয়ে অনেক এনার্জি লস করতে হয়। হাজার হাজার আইডিয়ার জ্বালায় মাথা নষ্ট হবার জোগাড়। গত সপ্তাহ দুয়েক ধরে অফিসের বেশ ক’জন পরিচিত মুখ (সহকর্মী হলেও তাদের কাছে আমার অবস্থান শিক্ষানবিশ আর আমিও তাদের কাছে প্রতিনিয়ত শিখছি এবং তারা অামার অত্যন্ত শ্রদ্ধেয়) আমাকে ধার্মিক হওয়ার উপদেশ দিচ্ছেন। প্রায় প্রতিদিনই মাইকে ঘোষণা শুনতে পাইঃ …. নিবাসী …. নং রোডের …. নং বাড়ীর অমুক গতরাতে ইন্তেকাল করেছেন। মরহুমের নামাজে জানাজা আজ বাদ জোহর …. মাসজিদে অনুষ্ঠিত হবে। জানাজার পর তাকে … কবরস্থানে দাফন করা হবে। এটাই জীবন। ব্যক্তি থেমে যাবে, পরিবার ও সমাজ এগিয়ে চলবে। দীপ নিভে যাবে, আলো রয়ে যাবে, ভেসে বেড়াবে অনন্তকাল ধরে মহাশূন্যের আনাচে কানাচে। এভাবেই চলতে থাকবে মিলন ও বিদায়ের এই বিপরীত সমীকরণ। নিজের শেষ যাত্রার কথা যে মনে আসেনা, তা নয়। (আল্লাহুম্মা আন্তাস সালাম ওয়া মিনকাস সালাম) হে আল্লাহ, তুমিই শান্তি, তোমা থেকেই আসে সব শান্তি। তুমিই প্রথম, তুমিই শেষ। আমার শেষটুকু যেন তোমার নামের মতই শান্তিপূর্ণ হয়! সারাজীবন ধরে বই পুস্তকে এবং ময়মুরুব্বীদের মুখে মৃত্যুক্ষণের ভয়ঙ্কর রূপের কথা শুনে এসেছি। পরকালের কথা তো শুনেছি আরও ভয়ঙ্কর। জীবনে যা কিছু করেছি, তার সবটুকু আমলে নিলে তো স্বয়ং আমি বিচারক হলেও নিজের পরিণতি খুব একটা সুখকর হবে বলে মনে করতে পারিনা। তাহলে উপায় কী? উপায় একমাত্র মহাবিচারকের ক্ষমার উপর ভরসা করা। কারণ আমার গুনাহ করার যেটুকু ক্ষমতা আছে, তাঁর ক্ষমার পরিধি তার চেয়ে অনেক অনেকগুণ বেশী, অচিন্ত্যনীয়ভাবে বেশী। যিনি আমাকে এ ধরায় পাঠিয়েছেন, দিনশেষে (জীবনশেষে) তিনিই আবার আমাকে উঠিয়ে নিয়ে যাবেন। কোথায়? তা নিতান্তই অজানা, জানার চেষ্টাও বৃথা। তবে এটুকু ভরসা রাখি, তিনি শুধু শাস্তি দেবার জন্য আমাকে এ ধরায় পাঠান নাই, আবার শুধু নিজ হাতে শাস্তি দেবার জন্য আমাকে উঠিয়েও নেবেন না। আমি অধম হলেও আমার স্রোষ্টা উত্তমের উত্তম।