এরা মানুষ কিন্তু এদের চামড়া প্লাস্টিকের। এদের রক্ত শীতল, হার্ট পলিথিনের। সুখ দুঃখের অনুভুতি হয়তো এদের কাছে ইমো। ইমোশন ব্যাপারটা এদের কাছে ন্যাকামি।ওরা প্লাস্টিকের মানুষ, কিন্তু অনেক আধুনিক। মাটির তৈরী সেকেলে মানুষদের সাথে তাই তাদের আলোক বর্ষ ব্যাবধান।।
কখন ঘুম থেকে উঠো? কখন ঘুমাতে যাও? কয়টা লাইন ব্রেক করো? কতো জনের গুষ্ঠি উদ্ধার করো? কতক্ষণ আজাইরা গিবত গাও? কতো সময় ঝিমায়া নস্ট করো? কতক্ষণ টিভি তে বালছাল জিনিশ দেখো? কতক্ষণ ফেসবুকিং করো? ইচ্ছা আছে ভালো থাকার? ভালো কিছু করার? সাকসেসফুল হতে ইচ্ছা করে? নিজের জন্য, ফ্যামেলির জন্য, সমাজের জন্য, দেশের জন্য, দুনিয়ার জন্য ভালো কিছু করার ইচ্ছা আছে? “দুনিয়াটা অনেকের কাছে টেনিস বলের মতো ছোট্ট। একটুখানি। এরা নিত্যদিন নানা কাজে লন্ডন- প্যারিস- নিউইয়র্ক করে বেড়াচ্ছে। আর অনেকের কাছে এই পৃথিবী এক অফুরান তেপান্তরের দেশ; সাতসমুদ্দুর তেরো নদী, ভুত-পেত্নী, রাক্ষস খোক্কসে আকীর্ণ। তাদের অজানা দুনিয়ার শেষ নেই।”বলাই বাহুল্য আমি পড়ি দ্বিতীয় দলে। এই বিশালতার কাছে নিজেকে খুব ক্ষুদ্র বোধ হয়! পালকের মতো হালকা আবার পাথরের মতো ভারী লাগে নিজেকে। ওই সময়ের অনুভূতি লেখার চেষ্টা করবনা, সবকিছু প্রকাশ করার ক্ষমতা মানুষকে দেয়া হয়নি।
No comments:
Post a Comment