The thousand shades of faith and the light of hope! (অনুভূতি নয়, দীর্ঘশ্বাস লিখি।) [সংবিধিবদ্ধ সতর্কীকরণ : আতেলদের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর, বদহজমের জন্য লেখক দায়ি নয়। ]
About Me

- Tazrian's Dairy
- JATRABARI , Dhaka, Bangladesh
- I'm different, Damn your opinion. I have a passion for perfection, I like to challenge myself, and I appreciate diversity. I'm committed to personal aesthetics, excel in finding problems and solutions, and have a driving force to create. I have boundless imagination and an open mind. Disclaimer : I am a real person. I struggle, and I sparkle. I'm no longer afraid to say what makes Me angry, sad,or what I think is unfair. I'm not scared to admit that at time I feel worthless, lost or not enough. I'm also not hiding from love, beauty, aliveness, blessings or abundance anymore. I will not edit the sad,angry for f*cked up part of my story, or the holy magnitude of my triumphs to make anyone comfortable. I'm a real person. I struggle and I sparkled. Warning: Don't Believe All The Rumors You Hear About Me, because The Truth Is Much Worse! I'm not perfect. Never have been & never will be...
Friday, November 27, 2015
No more fuzz
Saturday, November 21, 2015
One Step at a time
কী আশ্চর্য! ভাবনাগুলো কেমন মিলে যায়, একই সময়ে …
পিপীলিকার পাখা গজিয়েছে, এবং সে আগুনের দিকে রওনা দিয়ে দিয়েছে।
Sunday, November 15, 2015
ফ্রান্সের জন্য সমবেদনা
ফেসবুকে তেরঙ্গা পর্দা লাগানো কিছু প্রোফাইল পিকচার দেখে চিন্তায় পড়ে গেছিলাম। বিশ্বব্যাপী মুসলিমদের সন্ত্রাসী বিবেচনা করা হয়, আইএস এর কারণে তা প্রমানিতই থেকে যাচ্ছে। আর নামের কারণে কত নিরাপরাধ মুসলমানকে এয়ারপোর্ট বা বিভিন্ন যায়গায় হয়রানির শিকার হতে হচ্ছে। শাহরুখ খান এবং এ পি জে আব্দুল কালাম ও হয়রানির শিকার হয়েছেন। তাদের মত উচ্চ পর্যায়ের লোক যদি অসম্মানিত হন তা অন্যদের অবস্থা কি হতে পারে? ! ঠিকআছে, কিন্তু আমরা কি করতে পারি? হাতে শুধু কী-বোর্ড আছে, তবু কি লেখতে পারি? কত রকমের চোখরাঙানি! তবুও নিরাপরাধ মানুষের মৃত্যু কষ্ট দেয়,স্বজনহারার হাহাকার চোখ ভিজিয়ে দেয়। একবিংশ শতাব্দীর দুর্বল ঈমানের মানুষ আমরা। আমাদের পক্ষে যা করা সম্ভব তাই করি। অপরাধীদের জন্য ঘৃণা আর ক্ষতিগ্রস্থদের জন্য আন্তরিক সমবেদনা। আর কয়েকটা দিনেরাতে জন্য ফেসবুক প্রোফাইল ফটোয় তেরঙ্গা পরদা, এই তো.....!!
পাপী কে ঘৃণা করো, পাপ কে নয়!
আমি সেই শয়তান, আমি সেই পাপী, যে এক দেবীকে বিপথে চালিয়েছিল। – ভাবলুম, এই ভুবনব্যাপী যুদ্ধে যে-কোনো দিকে যোগ দিয়ে যত শিগগির পারি এই পাপ-জীবনের অবসান করে দিই। তারপর? তারপর আর কী? যা সব পাপীদের হয়, আমারও হবে।
পাপী যদি সাজা পায়, তা হলে সে এই বলে শান্তি পায় যে তার উপর অবিচার করা হচ্ছে না, এই শাস্তিই যে তার প্রাপ্য। কিন্তু শাস্তি না পেলে ভিতরের বিবেকের যে দংশন, তা নরক-যন্ত্রণার চেয়ে অনেক বেশি ভয়ানক।
যা ভাবলুম, তা আর হল কই! ঘুরতে ঘুরতে শেষে এই মুক্তিসেবক সৈন্যদলের দলে যোগ দিলুম। এ পরদেশিকে তাদের দলে আসতে দেখে এই সৈন্যদল খুব উৎফুল্ল হয়েছে। এরা মনে করছে, এদের এই মহান নিঃস্বার্থ ইচ্ছা বিশ্বের অন্তরে অন্তরে শক্তি সঞ্চয় করছে। আমায় আদর করে এদের দলে নিয়ে এরা বুঝিয়ে দিলে যে কত মহাপ্রাণতা আর পবিত্র নিঃস্বার্থপরতা-প্রণোদিত হয়ে তারা উৎপীড়িত বিশ্ববাসীর পক্ষ নিয়ে অত্যাচারের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করছে, – এবং আমিও সেই মহান ব্যক্তিসংঘের একজন। আমার কালো বুকে অনেকটা তৃপ্তির আলোক পেলুম! –
খোদা, আজ আমি বুঝতে পারলুম, পাপীকেও তুমি ঘৃণা কর না, দয়া কর। তার জন্যেও সব পথই খোলা রেখে দিয়েছ। পাপীর জীবনেরও দরকার আছে। তা দিয়েও মঙ্গলের সলতে জ্বালানো যায়। সে ঘৃণ্য অস্পৃশ্য নয়!
Thursday, November 12, 2015
"পাছায় লাথি ও স্রিতিবিভ্রাট " ?
কোপাকুপি ইজ অন। কি চমৎকার একটা ব্যাপার, তাইনা? আমরা বেশ শান্তিতেই আছি। কোপাকুপি চলছে তাতে আমাদের কি? আসলেই তো। নিজের পশ্চাদ্দেশ যতক্ষণ অক্ষত থাকে ততক্ষণ আসলেই কিছু না। কিন্তু তারপর?
খরার মৌসুমে এক মুঠো চিড়েকেই বাসমতী চালের পোলাওরূপে গণ্য করতে হবে- বুদ্ধিমানেরা তাই করে। কারন দেয়ালে পিঠ ঠেকে যাওয়া মানুষের সনাতন Survival Instinct কখনো ভুল পরামর্শ দেয় না।আমার লেখা গুলো এমনি এমনি লেখা, তাতে এমন কী যায় আসে?!কত কথা মনের মধ্যে পুষে রাখি, কত আবোল-তাবোল , কিন্তু আসল কথাটিই যেন বলা হয় না! আমার শুধু আছে কল্পনার সুখ, আর তো কিছু নেই। বেশি কল্পনা কোরে ফেললাম কি?
অাত্নকথন- ট্রানজিশন পিরিয়ড
আমি বা আমার সমবয়সীদের মধ্যে কেউ কেউ এখন একটা ট্রানজিশন পিরিয়ডের মধ্য দিয়ে যাচ্ছি। বয়স সবার তিরিশ , বা তার চেয়ে দু’এক ঘর এদিক-ওদিক। এই বয়সে এসে “আগের জেনারেশন” এবং “পরের জেনারেশন”, দুটোকেই সামলাতে হয়। সেটা অবশ্যই বিরাট এক ধৈর্য্য পরীক্ষা। অন্তত আমার কাছে তাই মনে হয়। মাঝে মাঝে যে মন খারাপ হয় না, বা উভয় সংকটে পড়তে হয় না, তা মনে হয় কেউই বলবে না। মাঝে মাঝে হয়তো প্রচণ্ড কাজের চাপে, কিংবা পারিবারিক দায়িত্ববোধের ঠেলায়, কিংবা পারিপার্শ্বিক বিভিন্ন বিষয়ের ব্যালান্স ঠিক রাখতে গিয়ে হিমশিমও খেতে হয়। এই বয়সের একজন পুরুষ মানুষের কান্নাকাটি করাটা বেমানান, কিন্তু অনেক সময় তো মনে হয়, ঘরবাড়ি ছেড়ে দূরে কোথাও গিয়ে একা কিছুক্ষণ হাউমাউ করে কাঁদতে পারলে ভাল হতো। কিন্তু সেটাও সম্ভব না; এ সব কিছু কি জীবন থেকে ঝেড়ে ফেলে স্বাধীনভাবে থাকা যায়? নাকি সেভাবে থাকা উচিত? আর যদি এটা ফিল করি যে, কেউ না কেউ আমার বা আমাদের উপরে ডিপেণ্ডেন্ট, যেমন আমিও একসময় ছিলাম, এবং কেউ না কেউ আমাকে তৈরি করার জন্য বা আমার আরাম-আয়েশের জন্য এভাবেই তাঁদের ও এই একই রকমের অবস্থার মধ্য দিয়ে গেছেন, তাহলেই সব ঠিক। কথাটা সান্তনামূলক শোনালেও, আমার কাছে মনে হয়েছে, এই সেলফ-মোটিভেশন বা সেলফ-কাউন্সিলিংটুকু আমার মতন কারো জন্য আসলেই ভীষণ দরকার। এভাবে কয়েক বছর পার করে দিলে অভ্যস্ত হয়ে যাবো।
সব সঞ্চয় ঝুলি ভোরে নিতে মন চায়।
যদিও জানি, “আমার সঞ্চয় দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।।”
Point of the falls
জীবন- ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র না পাওয়ার বেদনাগুলোর এলোমেলো পথ চলার নামই কি নয়? কারো কারো ক্ষেত্রে ভিন্নতা থাকলেও, অহংকার যাদের জীবনে অলংকারের মত জড়িয়ে থাকে, তাদের জীবনে বেশীরভাগ পথই এমন এলোমেলো চলতে হয়।।
ইচ্ছের ডানা হয়তো বা বাঁধ মানে না। না মানারই কথা। কিন্তু সময়মত লাগামহীন ইচ্ছেগুলোর রাশটা মনে হয় শক্ত হাতে এবং নির্মম ভাবেই টানা উচিত। গর্তের মুখে গিয়ে ব্রেক না কষে, যেখানে “সামনে গর্ত” লেখা আছে, সেখান থেকেই প্রস্তুতি থাকলে মনে হয় ভাল হয়। যারা একটা ডিসিপ্লিণ্ড লাইফ স্টাইলে নিজেকে বাঁধতে পেরেছেন, তাদের দেখে সত্যিকারর্থেই ঈর্ষাণ্বিত হই। কারন আমিও যে এক না-ধোয়া তুলসি পাতা, বুকের ভেতরে কেমন যেন মোচড় দিয়ে ওঠে, “আহারে!”
"জীবনকে ক্ষ্যাপা ষাঁড়ের শিঙে
আমূল বিদ্ধ করে
দেখতে চেয়েছিলাম
কতোটা রক্তপাত ধারন করে
তার লৌকিক শরীর !"
Thursday, November 5, 2015
Where to draw the line....
কিছু কিছু দেখা না হলেই বুঝি ভাল হতো ……………
কিছু কিছু পরিচয় না হলেই বুঝি ভাল হতো ……………
কিছু কিছু সঙ্গী না পেলেই বুঝি ভাল হতো ………
কিছু কিছু ঘটনা না ঘটলেই বুঝি ভাল হতো ……………
কিছু কিছু দিন না আসলেই বুঝি ভাল হতো ……………
কিছু কিছু অ্যাডভেঞ্চার না করলেই বুঝি বেশি ভাল হতো ……
কেমন হতো যদি এমন হতো ????
“সকালের মাখন বিকেলে খাওয়া যায় না”।
Tired of being nice to people who don't deserve it.
আমার সীমাবদ্ধতার কোন সীমা নেই।
আরে ভাই টাকায় বাঘের দুধও মেলে...
বিশিষ্ট ভাববাদী যারা সিনেমার নায়কের মত জামার উপরের দুইটা বোতাম খুইলা চিক্কুর মাইরা ন্যাকা ন্যাকা সুরে কয়- ' টাকা দিয়ে সুখ কেনা যায় না' তারা আসলে জানেই না শপিং এ কই যাইতে হয়, কোন দোকানের বার্গার টা বেস্ট, ইউরোপ ট্যুরে খরচ কত...
আমি স্বল্প বেতনভুক্ত চাকরিজীবী।
আপাতত মানি ব্যাগ এ হাত রাখার সাহস পর্যন্ত নাই, এর চেয়ে বনে বসে বট বৃক্ষের পা ধরে কান্নাকাটি করা ঢের ভালো।
Stuff Duties in the Field
আমি যদি কর্পোরেট কামলা না হয়ে ওদের মতো সৈনিক হতাম, তাহলে রাতের বিভিন্ন প্রহরে যে বিভিন্ন কীটপতঙ্গ, ঝিঁঝিঁ পোকাদের শব্দ বদলে যায় সেটা শুনতে পারতাম! এমনকি রাতের বেলায় শেয়ালেরাও যে কেমন বাঘের মতন বীরবিক্রমে চলাফেরা করে তা দেখতে পারতাম! জীবনের এই অংশটা আমার আর আমার মতো যারা তাদের কাছে অজানাই থেকে যাবে!” আমি নিশ্চুপ!
সাগর রাখেনা জমা সব সাতারের দাগ
কিছু মানুষ অতীত নিয়ে পড়ে থাকে, অনেক চিন্তা করে দেখলাম আমিও মনে হয় সেই দলে। শীত আসছে, আর সেই সময়ে আমিও শীত আগে কেমন ছিল সেই চিন্তায় পড়ে আছি। সকাল বেলায় বের হতেই হালকা যেই বাতাসটা গায়ে লাগে সেই বাতাসটা কত বছর আগের ঠিক কোন সময়কার কথা মনে করিয়ে দেয় সেই হিসাব খুলে বসি। বলা চলে, নিজের অজান্তেই এসব শুরু হয়।
BMA তে যাবার পর প্রথম সাত দিনে সর্ব মোট তিন থেকে সাড়ে তিন ঘণ্টা ঘুমানোর সৌভাগ্য হয়েছিলো। একজন সিনিয়ারও প্রতি রাতেই পেট ভর্তি আনন্দ নিয়ে মনের সুখে রাত জেগে পানিশমেন্ট দিতেন। সারা রাত ধরে চলতো সেই ভূতুরে কান্ড। রাত তিনটার দিকে তিনি আমাদের ছাড়তেন। আমরা ৩০ থেকে ৪০ মিনিটের জন্য ঘুমানোর সুযোগ পেতাম। ঘড়িতে ভোর চারটা বাজার এটলিস্ট ১০ মিনিট আগেই আমরা উঠে যেতাম সকালের পিটি জয়েন করার প্রিপারেশনের জন্য...
দৈনিক আধা ঘণ্টা ঘুমিয়ে মানুষ বাঁচতে পারে, এই তথ্য BMA তে যাবার পর জানতে পারলাম। পৃথিবীতে অনেক মানুষ আছে, দামী বিছানায়ও যারা ওষুধের পর ওষুধ খেয়ে গড়াগড়ি করেও ঘুমাতে পারে না। আলহামদুলিল্লাহ্, আমাদের এই সমস্যা কখনো হতো না...
আমরা নাস্তার টেবিলে পরোটা ছিঁড়তে ছিঁড়তে ঘুমিয়ে পড়তাম। ক্লাসে ঘুমাতাম। ক্লাসের ফাকে মাঠে কাদার মধ্যে ফ্রন্ট রোল দিতে দিতে ঘুমিয়ে পড়তাম। প্যারেডে মার্চ পাস্টের মাঝ খানে হুট করে মূর্তির মত দাঁড়িয়ে ঘুমিয়ে পড়তাম।
ঘুমাতাম পরীক্ষার হলে, ১ নং প্রশ্নের উত্তর কথাটা লিখে তার নিচে আন্ডার লাইন করতে করতেই। ঘুমাতাম ড্রেনে , ডিচে পানিসমেন্ট এর জন্য মধ্য রাতে নামিয়ে দিলে...[ফিরে যাই জাহাঙ্গীর কম্পানির কুখ্যাত ড্রেনে]
ঘুমানোর সবচেয়ে আদর্শ জায়গা বোধ হয় ছিলো মসজিদ। রোজার সময় , আতর মেখে ফুলবাবু হয়ে সবাই মসজিদে হাজির। শুরু হলো তারাবির নামাজ। প্রথম রাকাতে সেজদা দিয়ে উঠে চোখের পেরিফেরিয়াল ভিউতে দেখতে পেলাম আমাদের মধ্যে অর্ধেক মুসল্লি সেজাদায় গিয়ে আর উঠে নাই (ঘুমিয়ে পড়েছে)। কারো কোন খবর নাই। সারাদিনের কষ্টের পর সবাই ঘুমে অচেতন। একটু পর দেখলাম ধুপ করে একটা শব্দ হলো। তার পর ধুপ করে আরেকটা শব্দ। আমাদের মধ্যে দুইজন দাঁড়িয়ে ঘুমাতে ঘুমাতে ব্যালেন্স হারিয়ে ধুপ করে মসজিদের ফ্লোরে পড়ে গেছে। তার একটু পড়েই দেখলাম নাক ডাকার গর্জন। পাশের জন মনের সুখে নাক ডাকছে। ইহো জগতের সাথে তার কোন যোগাযোগ আছে বলে মনে হলো না। আমি নামাজে দাড়িয়েই সেজদায় যাওয়ার জন্য অপেক্ষা করতে লাগলাম। ঘুমে চোখ ফেটে আসছে। সারাদিনের ট্রেনিং এর ক্লান্তি, সিনিয়ারের পানিসমেন্ট, পেটের ক্ষুধা, সব মিলিয়ে চূড়ান্ত হ-য-ব-র-ল অবস্থা...
অতপর একসময় সেজদায় গেলাম। অনেকেই সেজদা থেকে উঠলো। আমি সেজদায় পড়ে রইলাম। সেজদায় ছিলাম প্রায় ৫০ মিনিটের মত। নামাজ শেষ হবার পর স্টাফের চিল্লাচিল্লি তে ঘুম ভাংলো...(আলতাফ স্টাফ)
মসজিদে ঘুমানোর অপরাধে মসজিদ থেকে বের হয়েই আমাদের উপর নাজিল হলো অমানুষিক আজাব আর গজব! নিত্যদিনের আজাব গজবে আমরা অভ্যস্তই ছিলাম। তাই যখন মসজিদ থেকে বের হয়েই স্টাফ বললেন- ‘মকড়া ক্যাডেট! মকরামি করতে আসছেন?? ৫০০ ফ্রন্ট রোল লাগান!’- আমি তখন হাসি মুখে পাঞ্জাবির হাতা ভাজ করতে করতে ফ্রন্ট রোল শুরু করলাম।পেছনে তাকিয়ে শুধু দেখতে পেলাম আমার সাথেই ফ্রন্ট রোল দিয়ে আসছে এক বিশাল মিছিল।সবার মনেই আনন্দ।
ঘাস পোকাকে আমরা শয়তানের ঘোড়া বলতাম, যখন শয়ে শয়ে শয়তানের ঘোড়া আমাদের নাগালে এসে ধরা দিত, ধরে ধরে আমরা স্ফটড্রিংকের ক্যানে ভর্তি করতাম। সময় বুঝে-বন্ধুর মশারীর ভিতর ছেড়ে আনন্দলাভ করতাম।
আসলে ডিফেন্স একাডেমীগুলা এমন, ঐখানে মন খারাপ করে থাকার কোন অপশান নাই। লাইফের অনেক বড় বড় বিপর্যয়েও নিশ্চিন্তে হাসি মুখে আনন্দ ফুর্তি কারাটা আমাদের কাছে নিতান্তই একটা দুধ ভাত ব্যাপার!!লাইফে একটা সময় আমরা অনেক কষ্ট করেছি। তাই এখন আমাদের জীবনে আর কোন দুঃখ কষ্টই নাই! রিজিকের সব দুঃখ কষ্ট বোধ হয় ঐ সময়েই শেষ।। এখন শুধুই আনন্দ। সেই আনন্দলাভে আগুন জ্বেলে হারাধনের বাপ আজকে আমাদের কয়েক হাত দেখে নিচ্ছেন । আহা!! এখনো আমরা প্রতিদিন একটু একটু মানুষ হয়ে ওঠার চেষ্টা করি। ভাদাইম্যা পোলার আসুন সবাই বলিঃ সব্বে সত্তা সুখিতা হন্তু।
“Patriotism turns a zero into a hero, a murderer into a martyr and a sinner into a sain"
(Ref: আলি কুলি লুচ্চার উপন্যাস চিকা মারার ইতিহাস হতে সংগ্রিহীত।)
Sunday, November 1, 2015
যে যাই বোলুক বা কোরুক, আমরা বেশি কিছু বোলি না
শরৎচন্দ্রের শ্রীকান্ত উপন্যাসের একটি ঘটনা – জাহাজেচেপে রেঙ্গুন যাচ্ছেন শ্রীকান্ত। জাহাজের ইংরেজ ডাক্তার সব সময় বাঙালী খালাশীদের দেখলেই অকাতরে লাথি-চড়-থাপ্পড় মারতেন। না পেরে একদিন ডাক্তারের কাছে তাঁর এহেন আচরনের ব্যাখ্যা চাইলেন শ্রীকান্ত। ডাক্তার দাবী করলেন, এমনটি করলেই নাকি ওই বাঙালীরা খুশি হয়। শ্রীকান্তর তীব্র আপত্তি-উষ্মার প্রেক্ষিতে ডাক্তার তাকে নিয়ে গেলেন জাহাজের ডেক এ। চার-পাঁচ জন বাঙালী খালাশী সেখানে কাজ করছিল। ডাক্তার গিয়ে তাদের পশ্চাদ্দেশে দমাদম কয়েকটা লাথি মারলেন। ওরা দাঁত বের করে হি হি করে হাসতে লাগলো। আরও কয়েক দফা লাথি-চড় মারার পরে শ্রীকান্তকে বলল, এখন প্রমান হল তো? যে যেটার উপযুক্ত, তাকেসেটাই দিতে হয়! ক্ষিপ্ত-বিমর্ষ-হতাশ-বাকরুদ্ধ শ্রীকান্তকে রেখে ডাক্তার চলে গেলেন। খালশীর দল তখনও পশ্চাদ্দেশ মালিশ করছে আর নিজেদের মধ্যে ফ্যা ফ্যা করে হাসাহাসি করছে। শ্রীকান্ত তখন স্থীর থাকতে না পেরে ধমক দিয়ে বললেন – “হাসছিস কেন বেহায়ার দল! লজ্জা করে না?” – আর যাবে কোথায়? সাথে সাথে তাদের পৌরুষত্ব জেগে উঠলো, মানবাধিকারে তীব্র আঘাত লেগে গেল! ডাক্তার লাথি মেরেছে, আরওহাজার বার মারবে। কিন্তু সেটানিয়ে অপমান করার তুমি কে হে? এবং এহেন অপমানের দাঁত-ভাঙ্গাজবাব দেবার জন্য দাঁত-মুখ খিঁচিয়ে সদলবলে তেড়ে এল শ্রীকান্তর দিকে। সেযাত্রায় তাকে দৌড়ে পালিয়ে মান বাঁচাতেহয়েছিল কিনা ঠিক মনে করতে পারছি না। জাহাজের সেইখালাশীরা আজ ঝাড়ে-বংশে বৃদ্ধিপেয়ে সংখ্যায় অনেক হয়েছে। সমাজের উচ্চ-শিক্ষিত মহলেও তাঁদের কমতি নেই। তাঁরা ঝাঁপিয়ে পড়েন, জ্ঞান-গর্ভ বক্তৃতা লেখালেখি করেন। সত্য-মিথ্যা মিলিয়ে যুক্তি-তত্ত্ব-তথ্য দেন। তবে আসল কথা হল, পরিবেশ-পরিস্থিতি এবং সদিচ্ছার হেরফেরের কারনে একই আচরনে ভিন্ন ফলও হতে পারে। ভুরি ভুরি উদাহরন আছে ইতিহাসে। ওরাযখন কাটতে কাটতে ইস্টার আইল্যান্ডের শেষ গাছটাও কেটে ফেলল তখন সেখানকার আম জনতাও হয়তো বেশী কিছু না বলেই তা মেনে নিয়েছিলেন। আবার মাহাথির যখন গণতন্ত্র, বাক-স্বাধীনতা – এসবকে বছরের পর বছর কাঁচকলা দেখিয়ে তিলে তিলে দেশটাকে উন্নতির চরমে নিয়ে যাচ্ছিলেন, তখনও মালয়েশিয়ার আম জনতা বেশী কিছুনা বলেই তা মেনে নিয়েছিলেন। আমি আশাবাদী মানুষ, আশা করতে চাই, আমাদের এই বেশী কিছু না বলার অভ্যাসটা দীর্ঘমেয়াদে আমাদের জন্য ভালো কিছু বয়ে আনুক।
আলোকিত পরিবার
কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশন আয়োজিত বছরের শেষ আলোচনা সভায় আলোচ্যসূচী ছিলো, "আলোকিত পরিবার" সেখানে বলা হয়, বাবা মা দের সবচেয়ে বড় ভুল এটাই...
-
শামুকের মতো এক ধরনের মানুষ আছে যারা নিঃশব্দে চলে। আছে সবার সাথেই কিন্তু এদের অস্তিত্ব টের পাওয়া মুশকিল। এরা আড্ডায় আলোচনায় সব খানেই ন...
-
জীবনটা শুধু হিসেবের যন্ত্র নয় এ হিসেবও জীবনেরই মন্ত্র নয় সুখ আর দুঃখ জীবনের শর্ত হিসেবের গড়মিলে হয়ে যায় মর্ত জীবনের স্বভাব নদীর ...
-
স্বপ্ন দেখার সক্ষমতাই সম্ভবত মনুষ্য জীবের সবচেয়ে তাৎপর্যপূর্ণ স্বাতন্ত্র। স্বপ্ন দেখতে পারে বলে মানুষ নিয়ত নির্মাণ করে আপন স্বভাব, সভ্যতা...