আমি বা আমার সমবয়সীদের মধ্যে কেউ কেউ এখন একটা ট্রানজিশন পিরিয়ডের মধ্য দিয়ে যাচ্ছি। বয়স সবার তিরিশ , বা তার চেয়ে দু’এক ঘর এদিক-ওদিক। এই বয়সে এসে “আগের জেনারেশন” এবং “পরের জেনারেশন”, দুটোকেই সামলাতে হয়। সেটা অবশ্যই বিরাট এক ধৈর্য্য পরীক্ষা। অন্তত আমার কাছে তাই মনে হয়। মাঝে মাঝে যে মন খারাপ হয় না, বা উভয় সংকটে পড়তে হয় না, তা মনে হয় কেউই বলবে না। মাঝে মাঝে হয়তো প্রচণ্ড কাজের চাপে, কিংবা পারিবারিক দায়িত্ববোধের ঠেলায়, কিংবা পারিপার্শ্বিক বিভিন্ন বিষয়ের ব্যালান্স ঠিক রাখতে গিয়ে হিমশিমও খেতে হয়। এই বয়সের একজন পুরুষ মানুষের কান্নাকাটি করাটা বেমানান, কিন্তু অনেক সময় তো মনে হয়, ঘরবাড়ি ছেড়ে দূরে কোথাও গিয়ে একা কিছুক্ষণ হাউমাউ করে কাঁদতে পারলে ভাল হতো। কিন্তু সেটাও সম্ভব না; এ সব কিছু কি জীবন থেকে ঝেড়ে ফেলে স্বাধীনভাবে থাকা যায়? নাকি সেভাবে থাকা উচিত? আর যদি এটা ফিল করি যে, কেউ না কেউ আমার বা আমাদের উপরে ডিপেণ্ডেন্ট, যেমন আমিও একসময় ছিলাম, এবং কেউ না কেউ আমাকে তৈরি করার জন্য বা আমার আরাম-আয়েশের জন্য এভাবেই তাঁদের ও এই একই রকমের অবস্থার মধ্য দিয়ে গেছেন, তাহলেই সব ঠিক। কথাটা সান্তনামূলক শোনালেও, আমার কাছে মনে হয়েছে, এই সেলফ-মোটিভেশন বা সেলফ-কাউন্সিলিংটুকু আমার মতন কারো জন্য আসলেই ভীষণ দরকার। এভাবে কয়েক বছর পার করে দিলে অভ্যস্ত হয়ে যাবো।
সব সঞ্চয় ঝুলি ভোরে নিতে মন চায়।
যদিও জানি, “আমার সঞ্চয় দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।।”
No comments:
Post a Comment