About Me

My photo
JATRABARI , Dhaka, Bangladesh
I'm different, Damn your opinion. I have a passion for perfection, I like to challenge myself, and I appreciate diversity. I'm committed to personal aesthetics, excel in finding problems and solutions, and have a driving force to create. I have boundless imagination and an open mind. Disclaimer : I am a real person. I struggle, and I sparkle. I'm no longer afraid to say what makes Me angry, sad,or what I think is unfair. I'm not scared to admit that at time I feel worthless, lost or not enough. I'm also not hiding from love, beauty, aliveness, blessings or abundance anymore. I will not edit the sad,angry for f*cked up part of my story, or the holy magnitude of my triumphs to make anyone comfortable. I'm a real person. I struggle and I sparkled. Warning: Don't Believe All The Rumors You Hear About Me, because The Truth Is Much Worse! I'm not perfect. Never have been & never will be...

Friday, February 26, 2016

আবালের যুক্তি

পিলখানা Tragedy-তে আমার এক কাছের বন্ধু বিদ্রোহীদের দ্বারা নির্যাতিত হয়। তার সহকর্মী ও উর্ধতনের লাশ তাকে কাঁধে তুলতে হয়েছিল। মনের মধ্যে সেই স্মৃতি এখনও খুব জীবন্ত। এতো কষ্টের জীবনের পরে কী তার পরিণতি!?সে আমাকে বলেছিলো-,” মাঝে মধ্যে নিজেদেরকে টিস্যু পেপার বলে মনে হয়। যখন যার ইচ্ছা ব্যবহার করবে, তারপর ব্যবহার শেষে ছুড়ে ফেলে দেবে”। -কী যে কষ্ট করে তা বলে বোঝাতে পারবো না। ভোটার তালিকা করার সময় রাত নেই, দিন নেই নিজেদের পকেট থেকে মোবাইল ফোনের বিল দিয়ে কাজ করে গেছে। সে সময় ওর বোনটার বিয়ে হলো, একদিনের জন্যও ছুটি যোগার করে যেতে পারলো না। Promotion পেয়ে কোনদিন উঁচু পদে যেতে পারবো সেই স্বপ্নও আর দেখে না। তারপরও চোখ-কান বন্ধ করে কাজ করে শুধুমাত্র দেশের প্রতি তাদের অকৃত্রিম ভালবাসা আর Passion-এর কারণে। এগারো বছর ধরে Army -তে আছে। বেতন সর্বসাকুল্যে ত্রিশ হাজার টাকা। ভাইবোন, বাবা কারো কোন প্রয়োজনে কাউকে কোন অর্থ সাহায্য করতে পারেনা। তারা সেটা মেনে নিয়েছে বলেছে টাকাই সব না, সন্মানের সাথে চাকরী করাটাও একটা বড় ব্যাপার। কিন্তু তারপরও যখন পিলখানার মতো ট্রাজিক ঘটনা ঘটে তখন তার বাবা বলেছিলো,এই চাকরী ছেড়ে দে। আমাদের সব মেধাবী, সৎ অফিসারদের যখন নিরস্ত্র অবস্থায় কুকুরের মতো মেরে সুয়ারেজ লাইনে ফেলে দিল, গণকবর দিল, স্ত্রী-সন্তানদের নির্যাতিত করল- তারপরও সব দোষ তাদের….! ?তারা কি আসলেই এতোই খারাপ যে তাদের লাশ ড্রেনে পরে থাকলেও আত্মীয় স্বজন ছাড়া আর কেউ একফোঁটা কষ্ট পায় না?বুদ্ধিজীবিদের কলাম পড়ে আর্মিদের সম্পর্কে সাধারণ মানুষের ধারণা আমাদের গরীব দেশে আর্মি পোষা মানে গরীবের হাতি পোষার মতো। আর্মি অফিসাররা মানুষ হিসেবে খুবই উন্নাসিক আর নিষ্ঠুর প্রকৃতির হয়ে থাকে। অনেকেই এসব প্রশ্নের আসল উত্তর না খুঁজে তাদের মন গড়া চিন্তাভাবনা সব জায়গায় প্রচার করে বেড়ায়। পৃথিবী থেকে সীমান্তের ধারণাটা যদি উঠে যেত তাহলে কিন্তু আর আর্মিদের দরকার পরতোা না। ’দেশ’ নামক আইডিয়ার জন্যই কিন্তু আর্মির অস্তিত্ব। আর্মিরা কিন্তু শুধু দেশের policy implement করে। নিরপেক্ষ বিচারে সব সমগোত্রীয় মানুষদের নিয়ে এক একটা করে দেশ হওয়া উচিত। সেটা না মানলে এসব নিয়ে কোন কথা বলা উচিত না। আর্মিদের যত দোষ সেটা আসলে ’দেশ’ concept টার কারণে। একটা উপন্যাস পড়েছিলাম, নামটা ’All Quiet in Western Front ’। সেখানে লেখক খুব সুন্দরভাবে ফুটিয়ে তুলেছে কিভাবে হঠাৎ করেই একটা দেশের রাষ্ট্র নায়ক ঠিক করলো যুদ্ধ করবে, আর অমনি দুদেশের হাজার হাজার তরুন একে অপরের শত্রু হয়ে গেল। জার্মানীর এক সৈন্য তার সম্পূর্ণ অপরিচিত ফ্রান্সের এক সৈন্যকে হাতের কাছে পেয়ে বিভৎসভাবে খুন করার খেলায় মেতে উঠল। বুদ্ধিজীবিরা মনে করেন আমাদের গরীব দেশের জন্য আর্মি খুব দামী একটা “Commodity”
-হ্যাঁ, দেশের টাকায় তাদের পোষাক আর অস্ত্র কেনা হচ্ছে, ফ্রী বাসা বা মেসে থাকতে পারে, মোটা চালের রেশন পায়। কিছু সুবিধা কি অন্যান্য সরকারী অফিসাররাও পাচ্ছে না? একমাত্র আর্মিতেই দূর্নীতি করে ধরা পরলে সাথে সাথে চাকরি চলে যায়। বাংলাদেশে এক লক্ষেও বেশি আর্মির মধ্যে দূর্নীতিবাজের সংখ্যা দুই Digit-এর কোঠা পেরুবে কি না সে ব্যাপারে সন্দেহ আছে। সেখানে অন্যান্য সরকারী বেসামরিক প্রতিষ্ঠানগুলোর অবস্থা কেমন? সেসব জায়গায় দূর্নীতির জন্য কয়জনের চাকরি চলে যায়? হ্যাঁ, মিশনে গেলে কিছু টাকা কমাতে পারে। কিন্তু সেই মিশনের জীবন আরামের কিছু না। যে কোন মুহূর্তে মৃত্যু ঘটতে পারে। তারপরও পরিবারের স্বচ্ছলতার জন্য মিশনে যায়। দেশের জন্য সুনাম আর Remittance দুটোই নিয়ে আসে। দামী COMMODITY , SHOW PIECE কত নামেই আর্মিদের ডাকা হয়। কিন্তু এই COMMODITY দেশের প্রয়োজনে যে কোন কাজ করতে প্রস্তুত। হাল চাষ, গবাদি পালন, সব্জী চাষ, ত্রান বিতরন, দেশকে সংঘাতের হাত থেকে রক্ষা করা,দোকানদারী, ট্রাফিক নিয়ন্ত্রন, পানি বিতরন, উদ্ধার অভিযান, বন্যা, খরা, সিডর, গার্মেন্টস এ আগুন নিভানো, আইন শৃঙ্গখলা রক্ষা করা এই রকম আরো কত কি হবে -তারপরও সবাই বলবে আর্মি জনগণের টাকায় ফুলে ফেঁপে উঠছে।। আমাদের মতো সাধারণ জনগণ পেপারে বুদ্ধিজীবিদের কলাম পড়ে আর্মি সম্পর্কে একটু আধটু ধারণা পাই। আর্মি আর সিভিল সোসাইটির মধ্যে এতোটা দ্বন্ধ জিইয়ে রাখা হয় কেন সেটা বুঝতে পারি না।আর্মি তো এই দেশেরই সিভিল সমাজের সন্তান এটা অনেকেই বুঝতে পারেন না। তাই যখন মানবাধিকারের কথা বলা হয় তখন আর্মিকে এর বাইরে রাখা হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ে যখন একজন ছাত্রীকে কোন এক ক্যাডার লাঞ্চিত করে তখন বুদ্ধিজীবিরা কোন শোরগোল করেন না। তাদের শোরগোল শোনা যাবে যখন একজন সৈনিকের সাথে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোন ছাত্রের গন্ডগোল হয়। সিভিলিয়ানদের সাথে ব্যবহারের ব্যাপারে আর্মি আইন খুবই কঠিন। ঐ সৈনিকের চাকরী সাথে সাথেই চলে যায়। অথচ তার উপর কি না পরিবারের আর দশজন মানুষ নির্ভর করছিলো। আর বুদ্ধিজীবিদের কথা বলছেন, খোজ নিয়ে দেখেন এরা অনেকেই বয়স থাকা সত্ত্বেও একাত্তুরে অস্ত্র হাতে যুদ্ধ করেনি।
অথচ তখন বাঙ্গালি সব আর্মি নিজেদের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ব্যারাক থেকে বের হয়ে এসেছিলো। গণতন্ত্র সংহত রাখার কথা চিন্তা করলে তখনও তো আর্মিদের সেই ঝুঁকি নেওয়াটা যুক্তিযুক্ত ছিল না। বাংলাদেশে আর্মির ইতিহাস একেবারেই অন্যরকম। আর একটা কথা বলে রাখছি নতুন প্রজন্মের আর্মিরা কিন্তু অনেক বেশি মাত্রায় দেশপ্রেমিক। পাকিস্থানফেরত বা মুক্তিযোদ্ধা আর্মি এই বিরোধটা না থাকাতে তারা অনেক বেশি একাত্ম।

বান্দরবন

আমাদের দেশটা কত সুন্দর সেটা বোঝার জন্য Hill Tracks -এ আসা দরকার। এখানকার পর্যটন শিল্পের প্রচার হলে লোকজন বেশি পয়সা খরচ করে অন্য কোথাও যাওয়ার আগে এখানে একবার ঘুরে যেতো। আমাদের দেশের এই অপার সৌন্দর্য কেন যে সবার কাছে পৌছে দেওয়া হয় না কে জানে? নিরাপত্তার কারণে বোধহয়?শুধু বান্দরবনেই যদি ধরেন এখানে অনেক টুরিস্ট স্পট আছে। এখানকার রুমা উপজেলায় একটা লেক আছে। নামটা একটু হাস্যকর – বগা লেক। সমুদ্রপৃষ্ট অনেক উঁচুতে। পাশের পাহাড় থেকে এই লেকের পুরোটা দেখা যায়। পানির রং গাঢ় নীল। আবার নীলগিরি নামে একটা জায়গা আছে। সেখানকার সৌন্দর্য বর্ণনায় প্রকাশ করা যাবে না। সেখানে গেলে মনে হবে হঠাৎ যেন কোন স্বপ্নপুরীতে চলে এসেছি। পাহারের নিচে তাকালে সাদা সাদা তুলোর মতো মেঘদের দেখা যাবে। হাত বাড়ালেই ঠান্ডা আর ভেজা মেঘ ছোঁয়া যায়। -বান্দরবনের আদিবাসিরা একটু রক্ষনশীল। ওরা নতুন লোকদের এখানে বসতি গড়াটা অতো পছন্দ করে না। তবে ঘুরতে তো কোন বাঁধা নেই। সব Tourist Spot গুলোতে Army -রা Shelter দেয়। বান্দরবন সদরে যাওয়ার পথে একটা সুন্দর জায়গা পোরবে। জায়গাটার নাম লামা। শহরটা ছোট নীঁচু পাহাড়ের উপর অবস্থিত। পাহাড়ের বুকের উপর এখানকার রাস্তাঘাট তৈরী করা হয়েছে। তাই রাস্তার পাশ দিয়েই খাড়া নীচু ঢাল। তার এক পাশে গাড়ি পার্ক করা যায়। পর্যটকদের জন্যই বানানো Tourist Spot আছে। এলাকাটা পাহাড়ি, উঁচুনীচু। তাই কখনও সিঁড়ি দিয়ে উপরে উঠতে হয়, কখনওবা নামতে হয়। কোন কোন জায়গায় ছাউনী ঘেরা বসার ব্যবস্থা রয়েছে। সেরকম একটা জায়গা থেকে দৃষ্টি প্রসারিত দিগন্তরেখা দেখা যায়। মাথার উপর থেকে দিগন্ত রেখা পর্যন্ত ছাউনী আকাশ আর তার নিচে সবুজ-সমারোহের হাজারো বিন্যাস চারপাশে হরেক রকম গাছপালায় ভরে আছে।

পাবলিক ঘুমায়


মুক্তবুদ্ধি, মুক্তচিন্তা, সজাগ সত্তা, সচেতন বিবেক যাদের আছে তারা বুঝি ক্রমাগত কোনঠাসা। তাদের কলম ও কণ্ঠস্বর বুঝি ক্রমশঃ নীরব ও নিশ্চল হবার পথে হাটছে। তাদের বর্তূমান নোনাজল ও রক্তে ভাসছে। তাদের উত্তরাধিকার হতবিহ্বল। মাটি ও শিকড়ের বন্ধন আজ যেনো তাদের শ্বাস রুদ্ধ করতে তৎপর।
জন্ম কি এতোটাই অভিশাপ! বেঁচে থাকবার জন্য কি আজ মা-মাটির বন্ধন ছিন্ন করে তাদের পালাতে হবে! এমন জীবন তবে কেনইবা যাপন!
আচ্ছা এসব ভাবনাগুলোও কি সমাজ সমষ্টির কাছে অবান্তর প্রসংগ আজ! নাহয় কোথাও কেউ কিছু বলছে না কেন! কিছু করছেনা কেন! আমাদের আশা আকাঙ্খা আর স্বপ্নগুলোর গায়ে যেনো দ্রুত জমছে ছত্রাক। তবে এই দৃশ্যই জেগে থাক। মানুষ ঘুমাক।

ভালোবাসার শৃংখলে আবদ্ধ স্বাধীনতা


স্বাধীনতা মানে কিন্তু বিশৃংখলতা নয়,
স্বাধীনতার মাঝে আছে এক শৃংখল।
যে শৃংখলে ঠিক শেকলের ঝনঝনানি শব্দ না পাওয়া গেলেও বাঁধন কিন্তু ঠিকই কাজ করে। যে বাঁধনে দম আটকানো হাঁশফাঁস করা প্রকোষ্ঠের গুমোট বাতাসের ছোয়া তুমি পাবে না। স্বাধীনতার মাঝেও আছে অন্যরকম আটকে পরার আনন্দ। অন্যভাবে, বিশৃংখলা কথাটার সাথে কেমন যেন বেতাল একটা ভাব আছে- কোথায় কবে যেন শুনেছিলাম, স্বাধীনতা যত্নে সাজানো বাগানের মত।
আমারও তা-ই মনে হয়। মায়ের গোছানো শাসনের মত, কৃষকের সময় মেপে ফসল ঘরে তোলার মত, প্রতীক্ষিত পরীক্ষার ফল হাতে পাওয়ার মতো।
যে ভালোবাসায় বাঁধন কিন্তু আছে ঠিকই,
কিন্তু পরাধীনতার ভাব নেই এক বিন্দুও।
স্বাধীনতার শৃংখলে এক রকম আশা ভরা প্রত্যাশা আছে।ভালোবাসার স্বপ্নে সাজানো একটা ভবিষ্যতের আশা,দিন শেষে ঘরে ফেরার আশা।যে ঘর সাজানো আছে মমতা আর মায়ায় সুশৃংখল গোছানো একটা টান।বিশৃংখলতার মধ্যে কিন্তু ওটা একেবারেই অনুপস্থিত।
বিশৃংখলতার মধ্যে নিজের কাছেই নিজেকে পরাধীন করে রাখার মতো একটা ব্যাপার লক্ষ্য করেছ কি? অনুভূতিগুলো কেমন ভীষন স্বার্থপরতায় ঠাসা?তাই ভালোবাসায় আর যাই হোক,বিশৃংখলতা চলে না, স্বার্থপরতা চলে না, স্বেচ্ছাচারিতা চলে না।

শ্রেণী স্বার্থান্ধ ধার্মিক


দীনবন্ধু মিত্র যখন নীলচাষীদের কান্নার ধ্বণিকে শব্দের সৌকর্যে সাজালেন কালোত্তীর্ণ সাহিত্য উপস্থাপনায় তখন রাজা রামমোহন বললেন “নীলচাষের জমির নিকটবর্তী অঞ্চলের অধিবাসীদের জীবনযাত্রার মান অন্যান্য অঞ্চলের জীবনযাত্রার মানের তুলনায় উন্নততর। নীলকরদের দ্বারা হয়তো সামান্য কিছু ক্ষতি সাধিত হতে পারে, ……. নীলকর সাহেবগণ এদেশীয় সাধারণ মানুষের অকল্যাণের তুলনায় কল্যাণই করেছেন বেশী”। দ্বারকানাথ বাবু বললেন, “নীলচাষ এদেশের জনসাধারণের পক্ষে সবিশেষ ফলপ্রসূ হয়েছে। জমিদারগণের সমৃদ্ধি ও ঐশ্বর্য বহুগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে এবং কৃষকদের বৈষয়িক উন্নতি সাধিত হয়েছে।” বৃটিশ শাসনের কল্যাণে এভাবে পশ্চিমা সুবাতাসে যখন আধুনিক ভারত জন্ম নিচ্ছিল গ্রাম্য কৃষকদের জীবন-শ্রম-ঘামের বিনিময়ে। তখন বঞ্চিত, বিধ্বস্ত, লুণ্ঠিত কৃষকরা আধুনিকতার মোহমগ্ন লাভবান বাবু আর রাজাদের পেছন থেকে সরে দাঁড়াবার মতোন একটা অবস্থায় কোণঠাসা হতে থাকলো।
সংগ্রাম আর লড়াইয়ের পেছনে চিরকালীন উৎস শ্রেণীস্বার্থ তাই অচিরেই খুঁজে নিলো তাদের নব্য নেতৃত্বকে। সংখ্যাগুরু মধ্যবিত্ত যখন স্বার্থের টানাপড়েনে হুশ জ্ঞানে সম্বিত পেলো, সরব হলো – তখন অচিরেই নেতৃত্ব সমর্পিত হতে চললো সংখ্যার বেদীতে। রাজাবাবুদের পেছন থেকে সরে মানুষ সারিবদ্ধ হতে থাকলো সোচ্চার মধ্যবিত্তের পেছনে। কৃষক বিদ্রোহ আর সচেতন মানুষের স্রোত সাধারণের সাথে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করলো শিক্ষিত বাবুদের। অসহায়, নিম্নবিত্ত, মধ্যবিত্ত, চাষী, মজুর যখন বুঝলো বাবুদের শোষণের খড়গ হাত থেকে নিস্তার নেই, তার দুঃখ যন্ত্রণার গান শোনার জন্যেও কেউ অপেক্ষায় নেই, আকুতি জানাবার জন্য পাথরের দেবতা ছাড়া আর কেউ নেই, সমর্পণের স্রষ্টা ছাড়া বিকল্প নেই, তখন ধর্ম আর ধর্মের আলখাল্লায় মোড়ানো অন্ধবিশ্বাসে তাদের আস্থার শিকড় প্রোথিত হতে শুরু করলো।

মানব জীবন…. reloaded.


মানব জীবন, দোতলা একটা ঘর, তার দুটো সত্তা, জীবসত্তা আর মানবসত্তা বা মনুষ্যত্ব। জীবসত্তা সেই ঘরের নিচের তলা আর মানবসত্তা হলো উপরের তলা। জীবসত্তার ঘর থেকে মনবসত্তার ঘরে উঠবার মই হচ্ছে শিক্ষা। জীবসত্তা ক্ষুদপিপাসার ব্যাপারটিকে প্রতিনিয়তই মানবিক করে তুলছে যদিও তার আসল কাজ হলো মানুষকে মনুষ্যত্বের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেয়া। আফসুস, জীবসত্তার ঘরটি আজ ভীষণ বিশৃঙ্খল, জীবনকে উপভোগ করার অনুভূতি ও কল্পনা আজ মানবসত্তাকে দাড় করিয়েছে বড্ড বিপাকে, উপরের তলার কথা আজ কেউ মনেই আনতে চায়না, ক্ষমতার ব্যাকুলতা, অর্থচিন্তা আর সুন্দরী নারীরোগে সবাই কম বেশ সুশীল নামধারী এক ফ্রেমে বন্দি, চারিদিকে সব একই ধ্বনি “চাই, চাই আরও চাই”

শান্তির মা আজ মৃত পথযাত্রী, দুতলা মানব ঘরে আজ দাউ দাউ করে জ্বলছে হিংসা, লোভ আর অসম দাবী, যুদ্ধক্ষেত্র কিংবা রণক্ষেত্র আজ আমার আপনার কিংবা কারো না কারো ঘরে। মানবসত্তার কাছে জীবসত্তা আজ ইনিংসে পরাজিত, চিন্তার স্বাধীনতা আজ মৃত, বুদ্ধির স্বাধীনতা আজ থেকেও নেই, আত্মপ্রকাশের স্বাধীনতা আজ সময়ের অন্যায়খ্যাত দাবী, দেহ নেই, আত্মাও পালিয়ে বেড়াচ্ছে জীবন মৃত্যুর এক কারাগারে, মনুষ্যত্বকে গলা টিপে আজ পশুত্ব কায়েম চলছে, জানি এরও এক শেষ আছে, কবে মিলবে সেই শেষটা…

স্ট্যাটাসের মূল থিমঃ শিক্ষা ও মনুষ্যত্ব, মোতাহের হোসেন চৌধুরী
ভাবনা ও পরিমার্জনঃ আমার আমি

I don’t think any 30 second speech could be better than this one


“Imagine life as a game in which you are juggling some five balls in the air. You name them – Work, Family, Health, Friends and Spirit and you’re keeping all of these in the Air.

You will soon understand that work is a rubber ball. If you drop it, it will bounce back. But the other four Balls – Family, Health, Friends and Spirit – are made of glass. If you drop one of these; they will be irrevocably scuffed, marked, nicked, damaged or even shattered. They will never be the same. You must understand that and strive for it.”

Work efficiently during office hours and leave on time. Give the required time to your family, friends and have proper rest.

Value has a value only if its values is valued.
—– Brian G. Dyson; (CEO) Coca-Cola (1986 to 1991)..

Little Dirt Never Hurt (reloaded

There is nothing to writing. All I do is sit down at keyboard and bleed.The world is full of people trying to take your money, take your position, and take advantage. Be one step ahead. Learn to read the signs of a professional bullshitter, and you’ll be a lot better off.the world breaks everyone, but it’s during those times that we learn how to truly survive, and face our demons head on. Tough times, when faced with strength, only leave us as better, more capable people.“Every man’s life ends the same way. It is only the details of how he lived and how he died that distinguish one man from another.”There is no hunting like the hunting of man, and those who have hunted armed men long enough and liked it, never care for anything else thereafter.The battles that count aren’t the ones for gold medals. The struggles within yourself– the invisible battles inside all of us– that’s where it’s at.Haters Gonna Hate Doers Gonna Do but I Can’t Make You Love Me.Fear of failure keeps us from trying things we really want to achieve.know the power of words to create a misimpression, even when unintentional.you need to let go of today to have a better tomorrow,It Takes to Walk Away.A Little Dirt Never Hurt.

Saturday, February 20, 2016

potential to become the biggest of successes… all you have to do is get up and get going.


Never waste your time trying explain who you are to people who are COMMITTED to misunderstanding you .



...♡... There will be times in life when you'll stumble upon people who will intentionally try to misinterpret everything you say .

these people are "committed" to misunderstanding you , for whatever personal reason .

Do not waste your time or energy trying to reason with or explain yourself to these particular people .

Be the better person , rid yourself of the negative energy and move on ....♡...

Friday, February 19, 2016

Trending Hate

It seems everybody these days passionately hates some things more than they love things they love. What trending hate are you taking part in? So, do you hate someone? And how do you deal with haters? people follow the crowd because it seemed to be the right thing to do. Now, the most trending thing intellectuals are supposed to do is hate on something to prove their intellect. ‪#‎hatersgonnahate‬ as if they don't care what others think whereas they are so pessimistic and abusive in an effort to show they don't care but such an attitude certainly doesn't come from indifference. It comes from caring too much. It comes from frustration and the need for finding a vent. Is it wrong for someone to dislike a personality, or fantasy and dystopia or something that doesn't sit well with their conscience? Is it people who have a way of life like mine? A race, or people following religion? If you don't approve of something and it's not affecting your life, why would you go out of your way to show your hatred? Hate and love are strong words. Use them carefully. Stop being part of this endemic virus of hatred on planet earth. To them, I'd say, take a break and enjoy all that you love in your life and let people enjoy all the bogus they want to enjoy and the good fortune that was bestowed upon them. Pity the stupid and try to help them instead of picking on them.

Sunday, February 7, 2016

আত্ম উপলব্দি



একদেশে এক রাজা ছিল। আর সেই রাজার একজন রানার ছিল। রানার সব কাজের শেষেই বলত, আল্লাহ যা করেন ভালর জন্যই করেন আর সবচেয়ে ভালোটাই করেন। রাজা এই কথা শুনতে শুনতে বিরক্ত হলেও কিছু বলত না কারন রাজা নিজেও কিছুটা ধর্মভীরু ছিল।
একদিন রাজা তার রানারকে নিয়ে বাঘ শিকারে একটা গহীন বনে গেল। হটাৎ একটা বাঘ রাজাকে আক্রমন করলে দুজন মিলে গুলি করে বাঘটাকে মেরে ফেলল। কিন্তু এর মধ্যে বাঘ কামড় দিয়ে রাজার একটা আঙ্গুল খেয়ে ফেলে। রাজা যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছে, আর তখন রানার বলে কি না “আল্লাহ যা করেন ভালর জন্যই করেন আর সবচেয়ে ভালোটাই করেন” ,এইটা শুনে রাজা খেপে গিয়ে তাকে কোয়ার্টার গার্ডে ঢুকাল। তখনও তার রানার বলল “আল্লাহ যা করেন ভালর জন্যই করেন আর সবচেয়ে ভালোটাই করেন”।
কয়েক মাস পর রাজা আবার বাঘ শিকার করতে গেল। এবার একদল বনমানুষ রাজাকে আক্রমন করে বন্দি করল। সেদিন আবার বনমানুষদের গালা নাইট। তাদের ট্যাডিশন হচ্ছে প্রতি গালা নাইটে একজন সুস্থ মানুষ বলি দেয়া। তারা রাজাকে বলি দেওয়ার আগ মুহূর্তে দেখে রাজার একটা আঙ্গুল নাই। এই খুতের জন্য রাজা মুক্তি পেল। রাজা খুশি হয়ে রাজ্যে ফিরে  যথারীতি রানারকে মুক্তি দেয়া হল। রাজা বলল তুমি ঠিকই বলেছিলে, আল্লাহ যা করেন ভালর জন্যই করেন আর সবচেয়ে ভালোটাই করেন। কিন্তু তোমাকে যখন আমি কোয়ার্টার গার্ডে ঢুকাই তখনও কেন এটা বললে?
আমি যদি কোয়ার্টার গার্ডে না থাকতাম আমিও বনমানুষদের হাতে বন্দি হতাম। আর তারা আপনার খুঁত পেয়ে আমাকে বলি দিত। আমি ত সম্পূর্ণ সুস্থ মানুষ।
এই গল্পের পর থেকে কেন জানি আমরাও আর ক্রিপিং করি না। আমরা জানি আল্লাহ যা করেন ভালর জন্যই করেন আর সবচেয়ে ভালোটাই করেন।

( ঘটনা পুরাটাই এই অধমের মস্তিষ্কপ্রসুত কাল্পনিক.. অতীত বা সাম্প্রতিক কোনো ঘটনার সাথে  মিল খুজলে তা নিজ দায়িত্বেই কোরবেন।Google  করে বিভ্রান্ত হবেন না )

Monday, February 1, 2016

দাবা খ্যেলা

দাবার ষোলটি গুটির মধ্যে হাতী-ঘোড়া, সৈন্য-সামন্ত সবই আছে একাধিক, কিন্তু রাজার বিবি মাত্র একজন! এ খেলায় সুলতানে-আযমের সাথে এরকম নিষ্ঠুর বৈষম্য প্রকাশ পায়। তার উপরে, সুলতানে-আযম চলাফেরা করেন ধীর কদমে, একবারে এক ঘরের বেশি নড়তে অক্ষম। যদিও, ক্যাসলিং এর নামে পালানোর সময় এক লাফে অনেকদূর পাড়ি দিয়ে কেল্লার দেয়ালের পেছনে গিয়ে লুকাতে পারেন, কিন্তু সেটা তো নেহায়েতই ব্যাতিক্রম। অন্য দিকে, বিবি ছাহেবা অবলীলায় যেদিকে খুশি, যতদূর খুশি যেতে পারেন। সুলতান হয়তো মনে মনে মজিদের ভাষায় লানত দেন, “অত দব দব করি হাঁটিয়ো না বিবি” কিন্তু মুখে কিছু ফোটে না।

(একটি নির্মম  রসিকতা) 

বাংলা ভাষা


বাঙলা ভাষায় প্রচুর বিদেশী শব্দ রয়েছে।আচ্ছা, ভাষা প্রবহমান বস্তু না অবস্তু?আদি বাঙলা লিপি আজকের যুগে ভাষা বিশেষজ্ঞ ছাড়া আর কেউ বোঝে বলে মনে হয় না! এমনকি মধু কবির লিখিত বাঙলা বুঝতে গেলে অভিধান নিয়ে বসতে হবে।।

হঠাৎ করে শলাকা শব্দটি মনে হলো। আজ আর মনে হয় শলাকা শব্দটি কেউ ব্যবহার করে না।

শুদ্ধ বাঙলা বলতে পারা ভালো। কিন্তু তার মানে এই নয় যে যারা বলছে না বা পারছে না তারা সবাই অপাংক্তেয়।

আলোকিত পরিবার

কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশন আয়োজিত বছরের শেষ আলোচনা সভায় আলোচ্যসূচী ছিলো, "আলোকিত পরিবার" সেখানে বলা হয়, বাবা মা দের সবচেয়ে বড় ভুল এটাই...