একদেশে এক রাজা ছিল। আর সেই রাজার একজন রানার ছিল। রানার সব কাজের শেষেই বলত, আল্লাহ যা করেন ভালর জন্যই করেন আর সবচেয়ে ভালোটাই করেন। রাজা এই কথা শুনতে শুনতে বিরক্ত হলেও কিছু বলত না কারন রাজা নিজেও কিছুটা ধর্মভীরু ছিল।
একদিন রাজা তার রানারকে নিয়ে বাঘ শিকারে একটা গহীন বনে গেল। হটাৎ একটা বাঘ রাজাকে আক্রমন করলে দুজন মিলে গুলি করে বাঘটাকে মেরে ফেলল। কিন্তু এর মধ্যে বাঘ কামড় দিয়ে রাজার একটা আঙ্গুল খেয়ে ফেলে। রাজা যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছে, আর তখন রানার বলে কি না “আল্লাহ যা করেন ভালর জন্যই করেন আর সবচেয়ে ভালোটাই করেন” ,এইটা শুনে রাজা খেপে গিয়ে তাকে কোয়ার্টার গার্ডে ঢুকাল। তখনও তার রানার বলল “আল্লাহ যা করেন ভালর জন্যই করেন আর সবচেয়ে ভালোটাই করেন”।
কয়েক মাস পর রাজা আবার বাঘ শিকার করতে গেল। এবার একদল বনমানুষ রাজাকে আক্রমন করে বন্দি করল। সেদিন আবার বনমানুষদের গালা নাইট। তাদের ট্যাডিশন হচ্ছে প্রতি গালা নাইটে একজন সুস্থ মানুষ বলি দেয়া। তারা রাজাকে বলি দেওয়ার আগ মুহূর্তে দেখে রাজার একটা আঙ্গুল নাই। এই খুতের জন্য রাজা মুক্তি পেল। রাজা খুশি হয়ে রাজ্যে ফিরে যথারীতি রানারকে মুক্তি দেয়া হল। রাজা বলল তুমি ঠিকই বলেছিলে, আল্লাহ যা করেন ভালর জন্যই করেন আর সবচেয়ে ভালোটাই করেন। কিন্তু তোমাকে যখন আমি কোয়ার্টার গার্ডে ঢুকাই তখনও কেন এটা বললে?
আমি যদি কোয়ার্টার গার্ডে না থাকতাম আমিও বনমানুষদের হাতে বন্দি হতাম। আর তারা আপনার খুঁত পেয়ে আমাকে বলি দিত। আমি ত সম্পূর্ণ সুস্থ মানুষ।
এই গল্পের পর থেকে কেন জানি আমরাও আর ক্রিপিং করি না। আমরা জানি আল্লাহ যা করেন ভালর জন্যই করেন আর সবচেয়ে ভালোটাই করেন।
( ঘটনা পুরাটাই এই অধমের মস্তিষ্কপ্রসুত কাল্পনিক.. অতীত বা সাম্প্রতিক কোনো ঘটনার সাথে মিল খুজলে তা নিজ দায়িত্বেই কোরবেন।Google করে বিভ্রান্ত হবেন না )
No comments:
Post a Comment