মানুষের লুঙ্গি খুলে তাঁকে ইঁদুরের গর্তে ফেলে নাজেহাল করতে পারলেই আমাদের ভেতর একটা বৈপ্লবিক আনন্দ হয়। প্রত্যেকটা মানুষের ভেতর একটা পিশাচ বাস করে। কাউকে উপরে উঠতে দেখলেই সেই পিশাচ তিড়িং করে লাফিয়ে উঠে। ঐ বেক্তির পায়জামার দড়ি খুলে তার ইজ্জতের লাল সুতা নিয়ে ছিনিমিনি না খেলা পর্যন্ত সেই পিশাচ সাহেবের শান্তি হয় না.......
কিন্তু কেনো ভাই ???
"মানুষের পুচ্ছ দেশে কদবেলের কাঠি ঢুকিয়ে নাড়াচাড়া করা তো ভদ্র লোকের কাজ না!!!"
অন্য মানুষের বেক্তিগত লাইফে নাক ডুবিয়ে নোংরা রসিকতা করে আপনার কি লাভ??
বলতেই পারেন, ঐ ব্যাটা তো আমার চৌদ্দ গুষ্টি নিয়া পাড়া শুদ্ধা রসময় গুপ্ত টাইপ রসিকতা করে বেড়ায়! আমি ছাড়বো ক্যান?? আমার কামানের গুলি কি একটা কম নাকি, আমার শরীরে মানুষের রক্ত নাই !!?
ক্যান আমি চাবায়া ওরে ছ্যেবরা বানায় ফেলবো না??
চুল্কানি কোন রোগ নয়! এটি একটি মানসিক ব্যাধি। পৃথিবীতে কিছু মানুষের জন্মই হয়েছে অন্যদের পুচ্ছদেসে কদবেলের কাঠি দিয়ে খোঁচানোর মত একটা অপ্রিতিকর কাজ আনন্দ নিয়ে করার জন্য। প্রতিশোধ নিতে গিয়ে কাউরে চাবায়া ছ্যেবরা বানায় ফেলা, কিংবা তার অতীত ইতিহাসের রসের হাড়ি ঠাটারি বাজারে ঠাশ করে ফাটানোর মধ্যে কোন কৃতিত্ব নাই। আপনি চুপ যান- দেখবেন কুকুরের ঘেউ ঘেউ এমনিতেই বন্ধ হইয়ে যাবে।
(ভাবছি যারা কদবেলের কাঠি নিয়ে সুযোগ খুঁজছে, তাদের দুয়ারে গিয়ে পুচ্ছ দেশ উন্মুক্ত করে দিয়ে বলবো- নেন ভাই!! আপনার জন্য ফ্রি !! মনের খুশি নিয়া শখ মিটান। শুধু খেয়াল রাখতে হবে কাঠিটা যেনো কোনোমতে আইক্কা না হয়েযায়।)
হাতের পাঁচ আঙ্গুল কড়াত দিয়ে কেটে আপনি কোনদিন সমান করতে পারবেন না। হিটলার, মীরজাফর, ইয়ান গোল্ড এর মত লোকজনকে সাথে নিয়েই আমাদের চলতে হবে। কে কি ভাবল, কে কি বললো এইসব ক্যাচাল বড়জোর শ্রবণ যন্ত্রের ফুঁটা দিয়ে ঢুকিয়ে নাসিকা যন্ত্রের ফুঁটা দিয়ে বের করে শহরের বাতাসে মিলিয়ে দিন। এইটাই শান্তির পথে সর্বোত্তম সমাধান.......
If you expect the world to be fair with you because you are fair to them, it's like asking a lion not to eat you, because you don't eat lion.
No comments:
Post a Comment