কখনো কখনো বিনা কারণে মন খারাপ হয়।। কেমন যেন উদাস করা বিষন্নতা কাজ করে মননে-মস্তিস্কে। যেন দুবাইয়ের বুর্জ আল খলিফা ভবনের মালিক ছিলাম আমি- তা আজ ভুমিকম্পে ভূপাতিত হয়েছে। ''এখন তোর কী হবে রে মফিজ''-এরকম ভাব।মাঝে মাঝে এমন ঝঞ্ঝাক্ষুব্ধ দিন আসে। ভোরের আলোর মোলায়েম পরশ থাকে না। স্লেটের মতো ছাইমাখা আকাশ ভয়ঙ্কর থমথমে চোখে চেয়ে থাকে। তার নিচেই ধাতব শীতল বাতাস এলোমেলো ঘুরতে থাকে। এমন দিনে রাস্তায়বেরুলে কোন মানুষ দেখবে না, দেখবে সারি সারি মৃত মুখ, নিস্প্রভ আলোহীন অবয়বে হেঁটে যাচ্ছে। সূর্যহীন আকাশের কারণে অবয়বগুলোর কোন ছায়া পড়েনা মাটিতে। তারা যেন মসৃণ কালো রাস্তার পাশ দিয়ে কিছুটাপিছলে পিছলে চলে যেতে থাকে। আমাকে ছাড়িয়ে উঁচু উঁচু দালানগুলোও সেদিন ভেঙে চুরে আসে। আমার মাথার ‘পরে দুমড়ে মুচড়ে পড়তে থাকে।কিছু মানুষ অতীত নিয়ে পড়ে থাকে, অনেক চিন্তা করে দেখলাম আমিও মনে হয় সেই দলে। সেই সময়ে আগে কেমন ছিল সেই চিন্তায় পড়ে আছি। সকাল বেলায় বের হতেই হালকা যেই বাতাসটা গায়ে লাগে সেই বাতাসটা কত বছর আগের ঠিক কোন সময়কার কথা মনে করিয়ে দেয় সেই হিসাব খুলে বসি। বলা চলে, নিজের অজান্তেই এসব শুরু হয়।আমার অসংশোধনযোগ্য বিষণ্ণতা যা কোনো কারণে বুকের ওপর ভারী হয়ে চেপে থাকত আমার আয়তনের চেয়েও বিরাটকায় হয়ে : এই ‘কোনো কারণে’ ব্যাপারটি হলো আমার ক্রমবর্ধিষ্ণু বিশ্বাস যে ‘কিছুতেই কিছু যায় আসে না’।আমি হঠাৎ বুঝে ফেলি যে দুনিয়া রইল কি না-রইল তা নিয়ে আমার চিন্তাভাবনা না করলেও চলবে। আমার সমগ্র অস্তিত্ব দিয়ে আমি জেনেছি ও অনুভব করেছি যে, আমার উপস্থিতিকালে ‘কিছুই হয় নি’।চিন্তা করবার আছেটা কী! আমি চিন্তা করাই ছেড়ে দিয়েছি : কোনো কিছুতেই আমার কিছু যায় আসে না । আমি কোনো সমস্যা যে সমাধান করি এমন নয়, অথচ সমস্যার তো কম্তি নেই, বরং তা অজস্র। তবে কিনা, আমি কোনোকিছুই আর গায়ে মাখি না; ফলে সকল সমস্যাই পিছনে পড়ে থাকে।পৃথিবীর শুরু থেকে আজ অবধী যা কিছু ঘটেছে এবং আজ থেকে পৃথিবীর শেষ পর্যন্ত যা কিছু ঘটবে তার সবই নির্দিষ্ট সময়ে ও নির্দিষ্ট গতিতে ঘটেছে ও ঘটবে।
সুতরাং দ্রুত, ধীর ও অসময় বলে পৃথিবীতে কোন অর্থবোধক শব্দ নেই আমার |অতীতকে তো আর বদলানো যায়না। কিন্তু ভুলে থাকা তো যায়। ভুলে থাকার জন্য ডুব মারতে হবে। অন্য কোথাও। সম্পূর্ণ অচেনা কোন পরিবেশে। না, আমার আর হারিয়ে যাওয়া হবে না। কারণ কিভাবে হারিয়ে যেতে হয় তা আমি জানি না।আমি সবসময় আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু থাকতাম। কাউকে আমার সাথে তুলনাই করা হতো না। ছিলাম অতুলনীয়। আর এখন প্রায় অদৃশ্য, অতি সাধারণ একজন। এই অবস্থার মধ্যে থেকেই শিখছি কিভাবে সত্যিকারের সুখ অনুসন্ধান করতে হয়। পেয়ে গেছি বলব না তবে অনুসন্ধানের এই ভ্রমণটাও কম আনন্দের নয়।যা পাইনি তার জন্য দুঃখবোধটা কমে যাচ্ছে। এখন দেখছি যখন একটা দরজা যখন বন্ধ হয়ে যায় তখন সামনে আরও অনেক দরজা খুলে যায়। জীবন আমাকে খুব নিষ্ঠুরভাবে বুঝিয়ে দিয়েছে একদিনের হঠাৎ সাহসের স্ফুলিঙ্গ কত বড় দানাবল ছড়াতে পারে।
সুতরাং দ্রুত, ধীর ও অসময় বলে পৃথিবীতে কোন অর্থবোধক শব্দ নেই আমার |অতীতকে তো আর বদলানো যায়না। কিন্তু ভুলে থাকা তো যায়। ভুলে থাকার জন্য ডুব মারতে হবে। অন্য কোথাও। সম্পূর্ণ অচেনা কোন পরিবেশে। না, আমার আর হারিয়ে যাওয়া হবে না। কারণ কিভাবে হারিয়ে যেতে হয় তা আমি জানি না।আমি সবসময় আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু থাকতাম। কাউকে আমার সাথে তুলনাই করা হতো না। ছিলাম অতুলনীয়। আর এখন প্রায় অদৃশ্য, অতি সাধারণ একজন। এই অবস্থার মধ্যে থেকেই শিখছি কিভাবে সত্যিকারের সুখ অনুসন্ধান করতে হয়। পেয়ে গেছি বলব না তবে অনুসন্ধানের এই ভ্রমণটাও কম আনন্দের নয়।যা পাইনি তার জন্য দুঃখবোধটা কমে যাচ্ছে। এখন দেখছি যখন একটা দরজা যখন বন্ধ হয়ে যায় তখন সামনে আরও অনেক দরজা খুলে যায়। জীবন আমাকে খুব নিষ্ঠুরভাবে বুঝিয়ে দিয়েছে একদিনের হঠাৎ সাহসের স্ফুলিঙ্গ কত বড় দানাবল ছড়াতে পারে।
No comments:
Post a Comment