কেউ যদি জিজ্ঞেস করে “কেমন আছ? ” খুব বিপদে পড়ে যাই। দ্ব্যর্থবোধক মাথা নেড়ে এড়িয়ে যাই। মনে মনে বলি “তাইতো! কেমন আছি? জিজ্ঞেস করে দেখতে হবে! ” দিনের শুরুটা ভালই হয় কিন্তু শেষটাতে গিয়েই সব লেজেগুবড়ে যায়। উদ্ভট কোন তিক্ততা দিয়ে শেষ হয়! বয়স বাড়ার সাথেসাথে এইসব দিনগুলির সংখ্যা চক্রবৃদ্ধি হারে বেড়ে চলেছে! আর ঘুমাতে যাবার আগে মনে হয় “বহুদিন আয়নার ওপাশের লোকটাকে জিজ্ঞেস করা হয় না ‘কেমন আছ?’ “….......প্রতিদিনই বাসায় ফিরে দেখতাম আম্মা মন খারাপ করে আছেন। জিজ্ঞেস করলে হাসিমুখে বলেন “কিছু হয় নি! .......”শুধু প্রমাদ গুনি। আর সৃষ্টিকর্তাকে বলি “আমাকে একটু শক্তি দাও! ”সেই বিভীষিকা থেকে সৃষ্টিকর্তা স্বয়ং আমাকে উদ্ধার করেছেন। উদ্ধার করে ফেলেছেন আরেক বিভীষিকায়। কিন্তু সাথে দিয়েছেন জীবনের সবচেয়ে মূল্যবান শিক্ষাটা পূজি হিসেবে। আমি কৃতজ্ঞ!.....লোকজন আগের মতই বিব্রত! কারণ খুঁজতে গিয়ে দেখা গেল যেটাকে আমি মন খারাপের এক্সপ্রেশন বলে চালিয়ে দিচ্ছি সেটা আসলে মেজাজ খারাপের এক্সপ্রেশন! যার সহজ অনুবাদ হল “সব দোষ এদের।কথা বলতে আসুক, কাচা খেয়ে ফেলব! ” এই এক্সপ্রেশন নিয়ে আশেপাশের মানুষের কাছ থেকে নীরবতা ছাড়া আর কি আশা করা যায়?
আমি আবার আগের আমাতে ফিরে গেলাম!হাসিমুখে যাদের সাথে “কি অবস্থা? কেমন আছেন / আছ/ আছিস? ” ইত্যাদি বিনিময় হত এখন তারা চুপচাপ মাথা নিচু করে চলে যায়।আমার আশেপাশের মানুষগুলোর হাবভাব দেখে মনে হয় তারা খুব বিব্রত! কি বলবে খুঁজে পায় না! তাদের বিব্রতভাব দেখে মনে হয় বিরাট পাপ করে ফেলছি। সামনে পড়ে খুব বিপদে ফেলে দিয়েছি।আমি এখন আর কারো কাছে নিজেকে প্রমাণ করতে যাই না, ইন ফ্যাক্ট কোন কিছুই প্রমাণ করতে যাই না। কারণ আমার দৌড় সম্পর্কে আমার বেশ স্পষ্ট ধারণা আছে। আমাকে দিয়ে কি হবে না হবে সেটা সৃষ্টিকর্তা খুব স্পষ্ট করে আমাকে দেখিয়ে দিয়েছেন। সেটাই কি আমার জন্য যথেষ্ট নয়? তাই আমি এখনও নির্লজ্জের মত ফাজলামো করে বেড়াই!
No comments:
Post a Comment