About Me

My photo
JATRABARI , Dhaka, Bangladesh
I'm different, Damn your opinion. I have a passion for perfection, I like to challenge myself, and I appreciate diversity. I'm committed to personal aesthetics, excel in finding problems and solutions, and have a driving force to create. I have boundless imagination and an open mind. Disclaimer : I am a real person. I struggle, and I sparkle. I'm no longer afraid to say what makes Me angry, sad,or what I think is unfair. I'm not scared to admit that at time I feel worthless, lost or not enough. I'm also not hiding from love, beauty, aliveness, blessings or abundance anymore. I will not edit the sad,angry for f*cked up part of my story, or the holy magnitude of my triumphs to make anyone comfortable. I'm a real person. I struggle and I sparkled. Warning: Don't Believe All The Rumors You Hear About Me, because The Truth Is Much Worse! I'm not perfect. Never have been & never will be...

Thursday, April 30, 2015

Be like a gentleman, Think like a gentleman, Act like a gentleman.

 Respect woman! That's not an impressive superhuman type quality but a basic gentleman attitude. Talking nasty about a girl doesn't lift up your personal image where else your nonsense commments may hurt her! Leave everything apart, you love your Mom / Sister,  naah??? Do I need any more thing to explain?? Being a dirty minded worst creature of this planet, if I can resist my ugly fantasies, than we all are the good souls here!! I just can't switch on my radar mode and scan a stranger girl passing by to really make fun out of that - Did she really hit the measurement 36-24-36! May be I love my mom & my sisters at the best what stops me from doing all these rubbish thing.
Be like a gentleman, Think like a gentleman, Act like a gentleman. 

Tuesday, April 28, 2015

ভূমিকম্পঃ ভয়

গত কয়েকদিন ধরে বিশাল ভয়ে আছি। বারবার মনের ভুলে মনে হচ্ছে এই বুঝি বিল্ডিং কাঁপতেসে। গতকাল রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে দেখি ঘুম আসেনা। আমার ধারণা ছিলো এইসব নিয়ে খুব একটা ভয় কখনো আমার ছিলোনা, থাকবেওনা। অবশ্য ব্যাপারটাকে ঠিক ভয়ও বলবোনা, একটা কেমন যেন অস্বস্তি মনের ভেতর সবসময়। বাসা থেকে আমাকে নিয়ে চিন্তা করে, আমি বাসার মানুষজনকে নিয়ে চিন্তা করি। চারপাশে শুধু চিন্তা আর চিন্তা। আজকে সন্ধ্যায় বন্ধুরা এসে যখন বললো একটু আগে ভূমিকম্প টের পাইসি কীনা, আমি তাদের ঝাড়ি মেরে চোলে আসলাম। পরে নেট খুলে দেখি আসলেই আজকেও আবার ভূমিকম্প হয়েছে, আমি টের পাইনি। ভূমিকম্প নিয়ে এই অনিশ্চয়তার মধ্যে মাঝে মাঝেই আকাশও গম্ভীর মুখ করো উত্তর থেকে দক্ষিণ বরাবর বাতাস বইয়ে দেয়, বৃষ্টি আসি আসি করেও আসেনা। ভূমিকম্পও আশা করছি আকাশের দেখাদেখি আসি আসি করেও এ যাত্রায় আর আসবেনা। এইরকম গুমোট একটা পরিবেশের মধ্যেই একটু হালকা হওয়ার জন্য এই লেখাটার  Draft  করার চেষ্টা কোরলাম।

সবার জীবন নিশ্চিন্ত ও নির্ভাবনাময় হোক।

Monday, April 27, 2015

life is eleswhere

Life is not all about Riding BMW and head bouncing with the hip-hop music. It’s about three friends tripling on a rickshaw holding some ‘চীনাবাদাম ’ & ‘ঝালমুড়ি’ and make fun out of nothing around the Dhaka city… 

Life is not about uploading duck face selfies sitting idle in the Gloria Jeans cafe . It’s about many friends together hack on in the street side ("ইটা"লিয়ান/ঢাবা) restaurants  and sharing evening snacks from single dish.. 

Life is not about scream out louder in the virtual world expressing how damn was the movie "Fast & Furious". It’s about wearing a gothic mask scaring out the strangers at Mid night.Free running roof to roof.

 Life is not about the way you regret because you don’t have any IPhone. It’s all about the way you look at your NOKIA/SAMSUNG and smile!! You still have a phone, right??? 

Life is not about all the ‘A’ grades in the semester. It’s about the way , along with your friends you look at the horrible exam scripts and laugh out louder pointing what the fuck you have done out there....

Life is not always about KFC, Pizza Hut, or the most expensive restaurant in the city. It’s about few friends in a 'Dhabaa', one stove and sharing ‘গরম চা’ and ‘ ধোয়া উঠা খিচুড়ী ’ at Motijheel.

 Life is not about an air conditioned room and a glass of red wine in the hand. It’s about few friends lying in the roof top in mid nights and staring at the dark sky, full of twinkling stars.... 

Life is not about what you don’t have! It’s all about to be happy with what you have and convey your thanks to all mighty ALLAH by saying a simple word… "ALHAMDULILLAH" .

'Start with Bismillah. End with Alhamdulillah. Appreciate with Subhan'Allah. Hope with Insha'Allah. And life will be blessed by ALLAH. '
  

Saturday, April 25, 2015

জীবনের গান



জীবনটা কোন হিসেবের যন্ত্র নয়,
এ হিসেবেও জিবনেরই মন্ত্র নয়।
সুখ আর দুঃখ জিবনের শর্ত,
হিসেবের গড়মিলে হয়ে যায় মর্ত।
জীবনের স্বভাব নদীর মতো,
পার ভাঙ্গে, পার গরে, বাড়ায় ক্ষতো ।
মানুষের সব চাই সব কিছু অকারন,
কিছু চাওয়া কিছু ছাড় জিবনের ব্যাকরণ।

... কে হায় হৃদয় খুঁড়ে বেদনা জাগাতে ভালবাসে!

আজ পার্বতীর বিয়ে। দেবদাস সাহেব কাওরান বাজার একটা ১০ তলা বিল্ডিং এর ছাদে পানির ট্যাংকের উপর মুখ ভর্তি দাঁড়ি নিয়ে আয়েশ করে বাংলা মদ খাচ্ছেন। লাইলি আপুর কবরের উপর গত বর্ষায় যে জামরুল গাছ উঠেছিলো, তারই এক চিপায় পাড়াতো বোনের হাত ধরে লুইচ্চামি করছেন প্রেমিক পুরুষ মজনু ভাই। মমতাজের আত্মা এখনো ভুত সেজে তাড়িয়ে বেড়ায় সম্রাট শাহজাহানকে...ভালো নেই রোমিও। 2441139 নম্বরে আর বেলা বোস কে মেলে না। ফরহাদের লেখা শেষ চিঠির উত্তর আজও পায় নি শিরিন...মন খারাপ করা অলস সন্ধ্যায় আজও রুপারা নীল শাড়ি পড়ে, ছাঁদের কার্নিশে অপেক্ষায় থাকে কোন এক অদ্ভুতুরে মহা পুরুষের। কিন্তু হিমুরা আর ফিরে আসে না। তাদের চলার পথ শেষ হয় না কোনদিন...এভাবেই বিন্দু বিন্দু চোখের জলে শেষ হয় প্রতিটি প্রেমের গল্প। তবুও কুয়াশা ভেদ করে একদিন ভোরের সূর্য ঠিকই উঠে। পায়রার নখে বেধে দেওয়া শিরিনের চিঠির উত্তর বুকে নিয়ে অঝোরে কাঁদে ফরহাদ। মাঝরাতে বাচ্চা ইলিশ হাতে নিয়ে রুপাদের বাসায় হাজির হয় হিমু।গ্রামীণ ফোনে বড় মাইনের চাকরি পায় দেবদাস। জুলিয়েটের জন্মদিনে একশো একটা নীল অপরাজিতা হাতে দরজার ঐ পাশে সারা রাত দাঁড়িয়ে থাকে আমাদের রোমিও। রঞ্জনাদের পাড়ায় অঞ্জন দত্তের সাথে ক্রিকেট খেলে ঠ্যাঙ গুড়ো করে দিতে চাওয়া পাড়ার সেই মাস্তান দাদারা...তবুও বছর ঘুরে আবার পার্বতীদের বিয়ে হয়। স্বপ্নেরা আকস্মিক হৃদ রোগে হার্ট ব্লক হয়ে মারা যায়। আলোর শহরে পড়ে থাকে পুরনো দিনের কাক ভেজা কিছু সৃতি । আর কাওরান বাজার সেই পুরনো পানির ট্যাঙ্কের উপর কোট টাই পড়া কর্পোরেট দেবদাসের কফির মগে জমতে থাকা দীর্ঘশ্বাসগুলো প্রার্থনা করে, 'নাহ!! পার্বতীরা সুখেই থাক। ’

বাঙ্গলা বাতাস




“বাংলা বাতাস” বলেও একটা জিনিস আছে। একটা শিশু জন্ম গ্রহণ করার পরে তার বেড়ে উঠার জন্য শর্করা, আমিষ, স্নেহ, ভিটামিন, খনিজ ইত্যাদি লাগে। আর এই বঙ্গ  এলাকায় যাদের জন্ম তাদের লাগুক আর না লাগুক অটোমেটিক ভাবে বাংলাবাতাস লেগে যায়। এই বাতাস কিভাবে লাগেসেটা জানিনা তবে এর প্রভাব অচিরেই আপনিআপনার আশেপাশে দেখতে পাবেন। জিজ্ঞেস করতে পারেন কি সেই প্রভাব ? আরে বাবা একটু দাঁড়াও না। রচনার লাইন বাড়াতে হবে না। তা না হলে নম্বর পাব নাকি? “মাইরের মধ্যে যেমন আমাদের দেশে ভিটামিন পাওয়া যায়”, তেমনি এই বাংলা বাতাসেও এমন এক ভিটামিন আছে সেটা শুধু বাঙ্গালীর শরীর জুড়ায় না, মেধাকে বিকশিত করে দারুণ ভাবে। এর প্রভাব শরীরের গঠন ছাড়া আর সব জায়গাতে পাবেন। এর মধ্যে পেশা, সমাজ, আচার-আচরণ, বুদ্ধি, বক্তব্য, সামাজিক যোগাযোগের সাইট সব খানেই পাবেন।
পেশাতে বাংলা বাতাসের প্রভাবঃ
এই যেমন ধরেন, বাংলাদেশে যে লোক দুধ বিক্রি করে সে পানি না মিশিয়ে থাকতে পারবেনা, রিকশা যে চালায় ১৫ টাকার ভাড়া ২৫ টাকা না নিয়ে থাকতে পারবেনা, ভিক্ষা করে মিথ্যা কথা না বলে থাকতে পারে না, সরকারী চাকুরী করে ঘুষ ছাড়া থাকতে পারে না,পুলিশ আর সাংবাদিকের কথা আর বললাম না,যারা রাজনীতি করে, পাবলিককে চিপায় না ফেলে থাকতে পারে না। আরো শুনবেন, ব্যবসা করে ট্যাক্স না দিয়ে, বাজারে কৃত্রিম সঙ্কট না তৈরি কোরে ব্যবসা করতে পারবেনা। শিক্ষক হলে নিজের বিদ্যালয়ে পড়ানোর চেয়ে প্রাইভেট আর অন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্লাস নিতে ব্যস্ত থাকবে। আর ডাক্তার হলে ডাক্তারি বাদ দিয়ে ড্যাব আর শাহবাগে পড়ে থাকবে, রোগী সামলাবে ডায়গোনসিস সেন্টার। যে পেশাতেই যাক না কেনো, বেশীর ভাগ বাঙ্গালী সেটার দফা-রফা না করলে তার শরীর জুড়াবে না। এরকম আরো কোনো দেশে কি সম্ভব? বাংলা বাতাস ছাড়া আর কোনো কিছুর প্রভাব আছে বলে তো মনে হয় না।।

সমাজে বাংলা বাতাসের প্রভাবঃ“বাংলা বাতাস” এর সবচেয়ে বেশী প্রভাব দেখা যায় আমাদের বাংলাদেশের সমাজে। যেমন ধরেন, পরিবারে। ছেলে-মেয়ে ভাল করলে মা-বাবা কাড়াকাড়ি লাগে এটা আমার ছেলে, আমার মেয়ে; আর খারাপ করলে বলবে তোমার ছেলে- তোমার মেয়ে। রাস্তা দিয়ে হাঁটবেন মুরুব্বী গোছের কেউ যাচ্ছে, চুল-দাড়ীতে পাক ধরেছে, সালাম দিবেন না, বলবে “ছেলে বেয়াদব”। অথচ ইসলামের কোথাও লিখা নাই যে ছোটদের আগে সালাম দিতে হবে। আরে মুরুব্বী আপনিও তো সালাম দিতে পারতেন। তাহলেও তো ছেলেটা লজ্জায় পোরে পরের দিন আপনাকে সালাম দিত। এত গেলে টুকিটাকি। বাঙ্গালী সমাজ দুভাগে বিভক্ত। আগে ছিল হিন্দু-মুসলমান (এখন আরো আছে), তারপর পূর্ব বঙ্গ আর পশ্চিম বঙ্গ। আরো পরে আওয়ামী লীগ – বিএনপি , খেলাতে আবহনী- মোহামেডান, ব্রাজিল -আর্জেন্টিনা, কিংবা হালের শাহবাগী- হেফাজতে ইসলাম, আস্তিক-নাস্তিক। মোটকথা, বাঙ্গালী সমাজে “বাংলা বাতাসের” প্রভাব বাঙ্গালীকে জন্ম-জন্মাতরে যে কোন বিষয়ে দুভাগে ভাগ করে রেখেছে।



Friday, April 17, 2015

অতঃপর মখলেছের খায়েশ পূরণ (গল্পোটা কাল্পনিক। অতীত বা সাম্প্রতিক কোন ঘটনার সাথে মিল খুঁজতে গিয়ে বিভ্রান্ত হবেন না!)

অতঃপর মখলেছের খায়েশ পূরণ হইল! তবে মখলেছের খায়েশ পূরণ হওয়াটা অতটা সহজ ছিল না বটে। যদি শুরু থেকে দেখিতে হয়, তবে ভবপুর জেলার কুসুমপুর গ্রামে নজর ফেলিতে হইবে। আর প্রত্যুশের প্রথম দৃষ্টিটিই পড়িবে গ্রামের পেছনের নিরীহ পাটক্ষেতটিতে!
পাটক্ষেতের আইল ধরিয়া কিছুদূর ভিতরে গিয়া বসিলে বাহির থেকে দেখা যায় না, কে মলত্যাগ করিতেছে! মখলেছ তাই সকাল সকাল বদনা সহকারে পাটক্ষেতের পানে রওনা হয়। এই সময়টা কেউ ডাকিলে কিংবা পথ আগলাইলে তাহার ভালো লাগে না। কারণটি এমন নয় যে প্রকৃতি তাকে সকাল বেলাতে প্রবল বেগে ডাকে। বরং মূল কারণটি হচ্ছে ঠিকঠাক সময়মত বসিতে পারিলে, অর্ধেক কর্ম সম্পাদন হওয়াকালীন সময়ে সখিনা এই পথটি দিয়া মলত্যাগ করিয়া ফিরে।
সখিনা যখন প্রায় কাছাকাছি চলিয়া আসে, তখন খুব একটা ক্যোঁৎ মারিয়া প্রবল শব্দে বায়ু নির্গত করিয়া নিজের অবস্থান জানান দেয়া যায়। এতে করিয়া প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে গিয়া সখিনার সামনে বিব্রত তো হইতে হয়ই না বরঞ্চ সখিনাকে খুব একটা বিরক্ত করা হয় বৈকি! বায়ু নির্গমনের শব্দে সখিনা যখন উড়িয়া গিয়া আইল ছাড়িয়া পাটক্ষেতে পড়ে, তখন বিরক্ত হইয়া মা-বোন সংক্রান্ত বেশ কিছু গালি গালাজ করে। সকাল সকাল সখিনার গালি শুনিতে বেশ লাগে। কলিজা শীতল হইয়া যায় একেবারে। বাঁচিয়া থাকাটা মনে হয় স্বার্থক!
এমনই মলত্যাগ এবং বায়ুত্যাগ করিয়া যখন মখলেছের প্রেমময় জীবনে ভ্রমর কিংবা মাছি উড়িয়া বেড়াইতেছিল, তখনই সে খবরটি পাইল। কীভাবে কীভাবে যেন এসএসসি এবং এইচএসসি দুই পরীক্ষাতেই এ প্লাস পাইয়া বসিয়াছিল মখলেছ। তাহার স্পষ্ট মনে আছে এসএসসিতে একটি এবং এইচএসসিতে দুইটি পরীক্ষায় সে অংশগ্রহণই করে নাই। তারপরও কীভাবে এই এ প্লাস বস্তুটি জুটিল তাহা সে কিছুতেই মিলাইতে পারিতেছিল না। আর এই দিয়া কি হইবে, তাহা বোঝার কোন চেষ্টাও করিল না।
কিন্তু এ প্লাসের মূল মাহাত্ম্য সে বুঝিতে পারিল যখন এলাকার এক বড়ভাই বলিল সে ঢাকায় বড় বিদ্যাপীঠের ভর্তি পরীক্ষার জন্য খুব একটা আগাইয়া গিয়াছে। কিন্তু আগাইয়া গিয়া কি হবে, তা নিয়া মখলেছের মোটেও কোন উৎসাহ দেখা গেল না। কেননা এলাকার যত বড়ভাই ঢাকায় বড় বিদ্যাপীঠে পড়িয়াছে, তাহাদিগকে সারাটা দিন শুধু পড়াশোনা করিতেই দেখিয়াছে। সে মোটের উপর কোন পড়াশোনা না করিয়া কীভাবে ঢাকায় বড় বিদ্যাপীঠে পড়িবে, ইহা সে কোনভাবেই ঠাহর করিতে পারিল না।
অবশেষে যখন সেই একই বড়ভাই প্রশ্নপত্রের একটি কপি আনিয়া দিয়া বলিলেন, এই প্রশ্নখানা হুবহু পড়িয়া ল। ইহাতেই কাজ হইবে। তখন মখলেছ সারাদিন সারারাত প্রশ্নসমূহের উত্তর মুখস্থ করিয়া পরীক্ষা দিতে গেল। পরীক্ষা হলে গিয়া যখন দেখে হুবহু একই প্রশ্ন আসিয়াছে, তখন মখলেছের খুশীর আর সীমা রইল না। আর এতে করিয়াই মখলেছের নাম ভর্তি পরীক্ষার ওয়েটিং লিস্টের উপরের দিকে থাকিল।
কোনমতে একটি সাবজেক্ট পাইয়া যখন ভার্সিটিতে ভর্তি হইতে গেল, তখন লাল লাল নীল নীল বাত্তি এবং হরেক রকমের ললনা দেখিয়া তাহার লালা ঝড়িতে লাগিল। কোথায় গ্রামের সখিনা আর কোথায় ঢাকার ললনা। কেউ কেউ তো আবার এমন জিন্স পড়িয়াছে, যাহা পড়িবার সাধ্য তাহার নিজের এখনো হয় নাই। প্রথম দুই চার ঘণ্টা যখন মখলেছ ললনাবৃন্দের বক্ষযুগলে তাকাইয়া ছিল, তখন পর্যন্ত মাথায় ব্যাপারটি কাজ করে নাই যে, ললনাদের অনেকে ওড়নাই পড়ে নাই। তাইতো বলি, বক্ষগুলি এতো স্পষ্ট করিয়া কেন দেখা যাইতেছিল? ব্যাপারটা যখন সে বুঝিতে পারিল, তখন তখনই বাথরুমে গিয়া দুইটা ডিগবাজি দিয়া, সে যে কি “অমৃত” দেখিয়াছে, তাহা উদযাপন করিয়া আসিল।
কিন্তু শুধু ললনা দেখিয়া সময় পাড় করিলে তো আর চলিবে না। থাকার একটি ঠাই ও তো খুঁজিয়া লইতে হইবে। বড় ভাই তাহার হলের ঠিকানা দিয়া বলিয়াছিল, ঢাকায় আসিলে যোগাযোগ করিতে। তাই মখলেছ আপাতত ললনাদের মায়া ত্যাগ করিয়া বড় ভাইয়ের পানে ছুটিল। বড়ভাই হলে উঠাইবার ছলে তাহারও বড়ভাই এবং হলের সভাপতি কুদ্দুছ ভাইয়ের সহিত সাক্ষাৎ করাইয়া দিল। কুদ্দুছ ভাই বলিলেন হলে থাকিলে সবার সাথে মিলিয়া মিশিয়া থাকিতে হইবে। এই বলিয়া মখলেছের মতই আরও কিছু চিড়িয়াকে দেখাইয়া দিল। আর বলিয়া দিল জেনারেল সেক্রেটারি মিশেলের দলের কারো সাথে আবার মিশিতে যাইও না বরং উহাদের কাউকে পাইলে ভরপুর ঠেঙ্গাইয়ো। নয়তো উহারা তোমাদিগকে ঠেঙ্গাইতে কার্পণ্য করিবে না।তাহার এলাকার বড়ভাইও কুদ্দুছ ভাইয়ের এই কথাতে সম্মতিসূচক মাথা নাড়াইল। যে বড় ভাই শুধুমাত্র একটি প্রশ্ন দিতে গিয়া পাঁচ হাজার টাকা লইয়াছিল, সে চার-পাঁচ বছর থাকার বন্দোবস্ত করিয়া দিয়া একটি টাকাও লইল না। শুধু বলিল সেক্রেটারির দলের কাউকে পাইলে ঠেঙ্গাইতে হইবে। ইহা যে মখলেছের জন্য কোন বিষয় নয়, সেটি মনে হয় বড় ভাইরা টের পায় নাই। এলাকায় একটি শালুক থেকে আরম্ভ করিয়া বাজারের চা খাওয়া পর্যন্ত যে নানাবিধ কারণে মখলেছের নানান জনকে ঠেঙ্গানোর অভ্যাস আছে, বড় ভাইরা মনে হয় তাহা জানে না।
তবে কুদ্দুছ ভাই মাথায় তেল দেওয়াতে যে তাহাকে নায়ক সাকিব খানের মত লাগিতেছে, এইটি বলিয়া মখলেছ বেশ বিপাকে পড়িয়া গিয়াছিল। তাহার এলাকার বড়ভাই যখন তাহাকে শুধরাইয়া দিল যে উহা তেল নয়, উহাকে বলে “জেল” তখনই একমাত্র মখলেছ বুঝিতে পারিল, ঢাকার চালচলন কুসুমপুরের মত নয়।কুসুমপুরের তিসির তেল কে এখানে “জেল” বলা হয়। কিন্তু চোর-ডাকাত-রাজনীতিবিদরা মাঝে মাঝে মামলা খাইয়া যেখানে যায়, সেটিও তো “জেল”! এমন প্রশ্ন করাতেই বাঁধিল মূল গোলযোগ। কুদ্দুছ ভাই বেশ চটিয়া গিয়াছিল এবং বেশ কিছুদিন তাহার সামনে থেকে দূরে দূরে থাকিতে হইয়াছে। যদিও সেক্রেটারি গ্রুপের সকলকে ঝেটিয়া হল হইতে বিদায় করার পর কুদ্দুছ ভাইয়ের রাগ কিছুটা পড়িয়াছিল। উপরন্তু উপহারস্বরূপ মিলিয়াছিল কিছু লাল পানি আর “জেল” এর একখানা কৌটা।
এবং দেখিতে দেখিতে মখলেছ, কুদ্দুছ ভাইয়ের কাছের লোক হইয়া গেল। একদিন তাই মখলেছ তাহার এতো কাছের বড় ভাই কুদ্দুছ ভাইকে মুখ ফুটিয়া মনের কথাটা বলিয়াই ফেলিল।
মখলেছ বলিল, ভাই, এই যে এতো এতো সুন্দরী কন্যারা এইখানে ওড়না পড়ে না, এই ব্যাপারটি লইয়া কি কিছু বলিবেন ভাই? কুদ্দুছ ভাই বেশ রাগিয়া গিয়া বলিলেন, ব্যাটা, তুই কি স্বাধীনতার বিপক্ষ শক্তি নাকি? যে যাহার ইচ্ছামত পোশাক পড়িবে তাহাতে তোর কি বে?
মখলেছ মিন মিন করিয়া বলিল, কিন্তু ভাই, আমার যে ধরিয়া দেখিতে ইচ্ছা করে। কুদ্দুছ ভাই হতাশ হওয়ার মত একটি শব্দ করিয়া বলিলেন, শুধু ধরিয়া নয়, তুমি খুলিয়াই দেখিও, তবে এ বেলায় নয়। পহেলা বৈশাখ এখানে হাজার হাজার ললনা আসিবে। তাহারা যদিও শাড়ি পড়িয়াই আসিবে। কিন্তু তাহার পরেও তোমরা একত্রিত হইয়া উহাদিগকে ঘেরাও করিয়া, শুধু ধরিয়া নয়, খুলিয়াও দেখিও। আর শোন, বাথরুম করার পরে পানি ঢাল না কেন? তোমাদের ব্লক হইতে বারংবার রিপোর্ট আসিতেছে, তোমরা কি আমাকে সভাপতি থাকিতে দিবে না নাকি?

Monday, April 13, 2015

একলা থাকার পিনিকই আলাদা

আমি একজন অতি খারাপ মানুষ!! শুধু মদ গাঁজা খাওয়া হয় নি বলে নিজের গায়ে ইতিহাসের শ্রেষ্ঠ খারাপের তকমাটা দিতে পারছি না...
জি !! আমি অতীব খ্যাঁত! জঙ্গল থেকে উইঠা আসছি! এবং ভয়াবহ পর্যায়ের    লেবেনডিস ! আমার সংস্পর্শ যে কারো জন্যই ধ্বংসাত্মক...
আমি সিঙ্গেল কিনা এইটা দিয়া কারো কিছুই আসা যাওয়ার কথা না।কাহারো  সহিত প্রেম করিবার বিন্দু মাত্র খায়েস আমার নাই।। প্রেম নিবেদন করিবার মত অনেক  চক্ষম, চুচু, সিলিকন টাইপ  আসেপাশের  এলাকাতেই আছে... আমারে ক্ষ্যেমা দিয়া ত্যাগোরে খুইজা বাইর করাই ভালো। থ্যেংকু।।আমার সম্পর্কে সর্ব সাধারনের  ধারনা ভুল ! আমি খুব Low Profile-এর একজন মানুষ! দিন আনি দিন খাই! ফাইজলামি আর মোটা দাগের শালীনতা বিরোধী  রসিকতা আমার লাইফের পুঁজি! that's it..
 গুরুর  আশীর্বাদ আমার জীবনে "ঠাডা"রূপে বারবার ফিরে আসে।

Sunday, April 12, 2015

হালুয়া টাইট


বাংলা ভাষায় একটা শব্দ আছে হালুয়া টাইট। বিচিত্র কারনে আমি সেই হালুয়া টাইট স্টেজের ভেতর দিয়ে যাচ্ছি।
আমি একজন অতিসাধারণ মানুষ!! অনেকটা গাধা প্রজাতির মানব সন্তান! পেটের ধান্দায় কেরানিগিরি করি ঠিকই কিন্তু মান অভিমান বোধ সূক্ষ্ম!! বড় কোন কিছু ঘটলে তা গায়েও লাগে না, কিন্তু জগতের ছোট ছোট ঘটনা গুলি আমাকে আহত করে!! সে ভাবনায়  কর্নফুলীর পারে পা ঝুলিয়ে হাওয়া খেতে ইচ্চে করে।
স্থান কাল বিচার না করে হুট করে একটা মানুষ সম্পর্কে তার কৃত কর্মের জন্য Generalized Comment  করা ঠিক না। ফজরের ওয়াক্তে পুকুর ঘাটে চোরকে চুরি শেষে গোসল করতে দেখে হুজুর কিন্তু ঠিকই ভাবে বেচারা মহা ভদ্রলোক। নামাজের জন্য পাক পবিত্র হতে আসছে। এদিকে চোর কিন্তু ঠিকই মুচকি হেসে হুজুরকে দেখে বলে- ব্যাটা চোরের বাচ্চা চোর। চুরি কইরা মুখ কুলি কইরা সাধু সাজতে আইসে... Know the truth before you speak something weird about people. Your silence may not hurt Him/Her, but your wrong statements do..
কি বীভৎস ব্যাপার!! ভয়ঙ্কর কিছু চোখে পড়লেই আমার আকাশ ভাঙ্গিয়া মুত্র আসে। বাধ ভাঙ্গা মুত্রের চাপ সংবরণ করে আমি সুখী সুখী চেহারা করে কল্পনার রাজ্যে কাজু বাদাম চাবাই......
আকাশ অন্ধকার হয়ে আসছে! আজ সন্ধ্যায়ও ঝড় নামবে! আমি কি মন খারাপ করে কুনো ব্যাঙের মত ঝিম মেরেই গর্তে মুণ্ডু ঢুকিয়ে বসে থাকবে?? নাকি ঝড়ের মধ্যে দ্রুত পা চালিয়ে ঝাপসা চোখে হারিয়ে যাবে অচেনা কোন প্রান্তরে???
'"There's the way it ought to be. And there's the way it is."
 আমি যে কি!! মাথায় এক ছটাক ঘিলুও নাই। আফসোস !!!


Friday, April 10, 2015

যার বিয়া তার খবর নাই, পাড়াপড়শির ঘুম নাই


আমাদের সামনের বাসার HipHop ছেলেটা গলায় মালা আর কানে দুল আর হাতে চুরি পড়ে মেয়েদের কোলে বসে যখন University তে  Class  করতো, BMA -তে তখন হয়তো আমি washroom-এর দরজা লাগিয়ে চিৎকার করে কাঁদতাম। সারা গায়ে কাঁটা ছেঁড়া আর দাগ নিয়ে যখন ছুটিতে বাড়ি ফিরতাম সবাই দেখে ফেলবে এই ভয়ে fulshirt  খোলার সাহস পর্যন্ত কোরতাম না। আকাশ অন্ধকার করা বর্ষায় জানালার বাইরে হাত বাড়িয়ে বৃষ্টির ফোঁটাগুলা টোকা মারতে মারতে মোনে পড়তো সেই মহান HipHop ছেলেটি এক হাতে Bargar আর বগলে অনিন্দ সুন্দরীকে নিয়ে জীবনের অপার সুখে কি অভূতপূর্ব লীলাখেলা উপভোগ করছে... খারাপ লাগতো!! আহা, কত সুন্দর মানুষের জীবন... এভাবে বিন্দু বিন্দু ঘাম আর রক্তের গল্পগুলো পিছনে ফেলে এসেছি আজকের আমি।
 আমি বারান্দায় গিয়ে দাঁড়াতাম... আহা!! কি অপূর্ব দৃশ্য!! HipHop ছেলেটি ঠিক আগের মতই গলায় মালা, কানে দুল, কাধে ঝোলা আর বগলে Girlfriend  নিয়ে Class সেরে ক্লান্ত দেহে বাড়ি ফিরছে।। এই প্রথম বোধহয় অন্য কারো সুখ দেখে এতো ভালো লাগতে শুরু করলো।( ভাই! আপনি শত রমণীর স্বামী হন! শুভ কামনা রইলো) কিংবা কে জানে দূর থেকে হয়তো সুখী সুখী অভিনয়ের ভেতরে আটকে পরা মানুষের হতাশাগুলো দেখতে ভালোই লাগে...
জীবনের যাবতীয় দুঃখ কষ্ট দেখেও না দেখার ভান করার একটা ভুতুরে স্বভাব আমার আছে ভাই!! তাই আমি আর কিছু বললাম না!!
কোন এক আমলে বলেছিলাম বিয়ের বাজারে Millitary Cadet -এর দাম ২ দিনের বাসি টেংরা মাছ থেকেও কম। কারন শাশুড়ি সম্প্রদায়ের ধারনা – ‘ Those Guys Die Faster ’ এই অমহান অপ্রিয় সত্যটা  শাশুড়ি সম্প্রদায়ের জনৈক এক প্রতিনিধি আমারে জিগ্যেস করে বললেন- ‘ বাবা! ঘটনা কতটুকু সত্যি? ’ আমি হতাশ চোখে বললাম- ‘ The Cow Eats Rice, মোটামুটি এই লেভেলের সত্যি ’ মাননীয় শাশুড়ি সম্প্রদায়ের সেই মহান প্রতিনিধি আহত হলেন। আমি বললাম – Aunty, আপনার মেয়েতো ভয়াবহ লেভেলের ভালো ছাত্রী। পিথাগোরাসের উপপাদ্য এক নিঃশ্বাসে গরু রচনার মত আওড়াতে পারে। এই শ্রেণীর মেয়েদের জীবনবোধ অনেক কম । ওর কাছে Nail Polish -এর গন্ধ আর বৃষ্টি নামার পরে ভেজা মাটির গন্ধের কোন পার্থক্য নাই। বই এর পাতার বাইরে কিচ্ছু জিজ্ঞেস করলে সে চোখ ট্যারা করে তাকিয়ে থাকবে। ওর জন্য পান খাওয়া পেট মোটা থলথলে শরীরের ব্যবসায়ি জামাই perfect । ভদ্র মহিলা মুখের উপর ফোন রেখে দিলেন। আজকালকার ছেলেরা মহা ফাযিল আর বেয়াদপ এই ব্যাপারে তার কোনই সন্দেহ নাই।শাশুড়ি সম্প্রদায়ের প্রাণী সম্পর্কে আমার ধারনা খুব সীমিত। তাদের বড় বড় দাঁত নখ থাকে কি না জানা নাই। থাকলেও মাঘি পূর্ণিমার রাতে তারা জামাই বাবুর হাত কামড়ে ধরেন কিনা তাই বা কে জানে?? আমার নিজের কোন শাশুড়ি নাই। মা খালারা স্টার জলসায় শাশুড়ি গোত্রীয় যেসব প্রাণী দেখে থাকেন বাস্তবতা ঐরুপ হলে মহা বিপদ। ছোটবেলায়  Drawing পরীক্ষায় সাপ, ব্যাঙ,কলা কত কিছু আঁকতাম। কিন্তু class 2 এর বাচ্চার drawing পরীক্ষায় যদি এমন প্রশ্ন আসতো- ‘ একটি শাশুড়ি গোত্রীয় প্রাণীর চিহ্নিত চিত্র অঙ্কন করো’ তাহলে বাচ্চারা কি আঁকতো??...
 আচ্ছা, এমন কোন মেয়ে নাই দুনিয়ায় যে পিথাগোরাস দেখতে পারে না?? Samuelson এর নাম শুনলে ঘিন্নায় ভ্রু কুচকায়? লাইফের বেইল যার কাছে ২ পয়সা নাই?? যে মহান নারী  বৃষ্টিতে ভিজতে জানে?? এমন কেউ নাই যে ভুত প্রেমিক?? ছাঁদে পানির Tank- এ পা ঝুলিয়ে যার সাথে গল্পো করা যায়।যে বোয়ামে আঙ্গুল ডুবিয়েে আচার খায়। অার কৌটার মুখে জিহবা লম্বা করে দিয়ে গুঁড়া দুধ কিংবা Horlicks খায়। যে তেলাপোকা ভয় পায়, টিকটিকি দেখে পিলে চমকে উঠে। কিন্তু রাত ২টায় ফ্রিজ খুলে মিষ্টির বাক্সের উপর  থেকে একটা চুরি করার সময় বলবে !! আসো সেলফি তুলি।। ” আহা!! যার কাছে জীবনের স্বাদ শাড়ি,গয়নার বাক্সে বন্দী না।যার দিনে ৩বার Parlor -এ যেতে হয়না।
এমন কেউ নাই যার সাথে ছুটির দিনে সিদ্দিকা কবিরস রসিপি কিংবা Youtube-এ Tutorial দেখে খিচুড়ি রাঁধতে গিয়ে হাত পুড়িয়ে ফেলা যায়!! ( এর আগে Life Insurance  এবং  ORSaline Company-র সাথে আজীবন চুক্তি থাকা আবশ্যক!!) তারপরও নিজেদের রেসিপিতে বানানো খিচুড়ি খেয়ে পেটে বিস্ফোরণ হইলেও আফসোস নাই...
তারপর ১০০ তলা ছাঁদের কার্নিশে পা ঝুলিয়ে পুড়ে যাওয়া হাতে বরফ ঘোষতে ঘোষতে মনে হয়- ‘ নাহ! জীবনটা তো মন্দ না’


Friday, April 3, 2015

জীবনের সংজ্ঞা এক এক মানুষের কাছে এক এক রকম।

শুনেছি স্বপ্ন নিয়ে মানুষ নাকি বেঁচে থাকে। জীবনের চলার পথে স্বপ্ন নাকি মানুষের এক অপরিহার্য সহযোগী।যুগে যুগে মানুষ স্বপ্নের রকমফের করেছে। পরিবর্তন করেছে স্বপ্নের সংজ্ঞাকে। শুনেছি কেউ কেউ নাকি স্বপ্নকে আশা বলে ব্যক্ত করতেই পছন্দ করেন। তো সেই রকম কত স্বপ্নই না আমরা দেখে থাকি জীবনে। বিশেষত একজন বাঙ্গালীর স্বপ্ন দেখার সংজ্ঞাটা এবং পরিধিটা বেশ বড়।
ভুল সময়ে ভুল ট্রেনে উঠে ভুল স্টেশনে নেমে যাওয়া কিংবা ভুল দরজায় কড়া নেড়ে যাওয়ার মাঝেও আনন্দ আছে। সঠিক পথে ফিরে আসার আনন্দ, ভুল বুঝতে পারার আনন্দ, ভুল সময়ে পাশে থাকা আপন মানুষদের চিনতে পারার আনন্দ। কেউ যদি সব সময় সঠিক কাজই করতে থাকে, সে এই আনন্দগুলো থেকে বঞ্চিত হবে। তাই হটাত কোন ভুলে বিচলিত হবেন না। মনে রাখবেন, এর মাঝেই কোন আনন্দ বিদ্যমান আছে।

ক্ষমতা ও রাজনীতি


কোনো এক ককটেলীয় কারণে রাজনৈতিক দলগুলো ‘আলাপ’ করতে ভালোবাসলেও ‘সংলাপ’ করতে চায় না। অথচ গণতন্ত্রের জন্য শারীরিক কসরতের চেয়ে চোয়ালের ব্যায়াম বেশি প্রয়োজন। ডেমোক্রেসির মুকুট ‘সংলাপ’ ছাড়াই আমাদের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা নাকি এগিয়ে চলেছে-এটি পৃথিবীর অষ্টম আশ্চর্য! শরৎবাবু বেঁচে থাকলে হয়তো বলতেন, ‘অতিকায় হস্তী লোপ পাইয়াছে, কিন্তু সংলাপ-সমঝোতা ছাড়াই গণতন্ত্র টিকিয়া আছে।’ সত্যিই সেলুকাস, কী টেকসই এই গণতন্ত্র!
ছেলেবেলা থেকেই শুনে আসছি, সবাই সংলাপ চায়। কিন্তু কেউ কথা রাখেনি। সংলাপের দেখা আর মেলেনি। পেয়েছি সংঘাতের সন্ধান-মানুষ মরছে, গাড়ি পুড়ছে! সংলাপের অভাবে অ্যাক্টিভিস্টরাহাত-পায়ের ভাষায় মনের ভাব প্রকাশের সুযোগ পেয়েছে। রেজাল্ট হিসেবে পাবলিকের লাশ পড়ছে। এসব অন্যায়ের প্রতিবাদ করতে গেলেও পুরস্কার হিসেবে পাওয়া যাচ্ছে নিরাপত্তাহীনতারগ্যারান্টি! তাই আবালবৃদ্ধবণিতারকাছে আপাদমস্তক গণতন্ত্রই আজ প্রশ্নবিদ্ধ! বিদ্রোহী কবি বেঁচে থাকলে নিশ্চয়ই লিখতেন,
‘ভোর হলো দোর খোলো
খোকনমণি ওঠো রে,
মারছে যারা আমাদের
দিচ্ছি তাদের ভোটও রে!’
সবাই সংলাপের কথা বললেও শর্তের গর্তে পড়ে সংলাপ বাবাজি মুহুর্মুহু শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করছে! সংলাপ ইঞ্জিনিয়ারিংয়েরখপ্পড়ে পড়ে বাংলার আকাশে আজ দুর্যোগের ঘনঘটা। কে আমাদের আশা দেবে, কে আমাদের বারোটা বাজার হাতথেকে বাঁচার ভরসা দেবে? তবে কি ‘পৃথিবীতে সংলাপ বলে কিছু নেই’? জনগণের জীবন এখন ‘Life of Pi’-এর মতো!
সংলাপহীন সংঘাতময় পৃথিবীতে বেঁচে থাকাই এখন সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। আফসোস, এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার জন্য আমাদের শরীরে এক্সট্রা কোনো ফিচার নেই। অথচ বাকি সব জীবেরই আত্মরক্ষার কোনো না কোনো উপায় আছে। শেয়াল পণ্ডিত শত্রুকেখেয়াল করামাত্র পয়ঃ স্প্রে করতে করতে দৌড়ে পালায়! নিজেকে বাঁচানোর জন্য কোনো প্রাণী রং পাল্টায়, কেউবা দলবেঁধে চলাফেরা করে। প্রাণী ও উদ্ভিদদেহে আছে কাঁটা, লেজ, শিং, শুঁড়-নানা কনফিগারেশনের কতশত স্ট্রাকচার! অথচ মানুষ চাইলেও বিপদ দেখে পাখির মতো উড়ে পালিয়ে যেতে পারে না; ম্যাজিকের সাহায্যে নিজেকে গায়েব করে ফেলতে পারে না। বরং ক্ষমতালোভীরা পাখির মতো মানুষ মারে; চাইলে গুমও করে ফেলতে পারে। সুপারম্যান, স্পাইডারম্যান কেবল কল্পনাতেই সম্ভব; বাস্তবে আমরা সবাই হিউম্যান।
জানি, সৃষ্টির বেদনা আছে। এও জানি, ‘যাহা চাই তাহা ভুল করে চাই’! তবুও চাই, সংলাপের মাধ্যমেএগিয়ে চলুক গণতন্ত্রের ধারা। রাজনীতিবিদদের কাছে অনুরোধ, যে সংলাপ দলীয় কার্যালয় থেকে এসে জাতীয় জীবনে অমর হয়ে রবে, তেমনি একটি সংলাপ আমাদের উপহার দিন প্লিজ। ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাছে যেন বলতে পারি, ‘সংলাপ’ একবার এসেছিল নীরবে। আসুন, ক্ষমতায় না, মমতায় বাঁচি!আমরা জানি যে আপনারাও জানেন, ক্ষমতার চেয়ে মমতা লক্ষ-কোটিগুণ বেশি শক্তিশালী!

কর্পোরেট কামলা


বাবুরাম চাকুরে
কোথা যাস বাপুরে
আয় বাবা দেখে যা
CV খানা রেখে যা
যে লোকের চোখ নেই
দাঁত নেই নখ নেই
ছোটে সে তো হাটে না
ছুটি ছাটা নেয় না
করে না কো উৎপাত
খায় শুধু নুনভাত
সেই লোক জ্যান্ত
ধরে ক’টা আনতো
নিয়ে দাস খতে সইটা
দেই তারে JOBটা

কেমন জীবন চাও

 কেমন চাও জীবনটা?
দুমুঠো ভাত আর একটু কাপড়
আরেকটু মাথা গুঁজার স্থান,
ভালোবাসা আর সম্মান।
ঠুনকো, ভনিতাময় বা মিথ্যা নয়।
এতটুকুই দেবো,
কী???? নিতে রাজি?
সাথে পাবে শান্তি, একদম ফ্রি।
অথবা প্রাসাদ, গাড়ি, নারী
আর খাবার রকমারি,
পোশাক বাহারি ঢঙের,
মনকাড়া রঙের, নতুন প্রতিক্ষন।
কুর্নিশে কুর্নিশে ক্লান্ত সবে,
মহামতির তরে জান যতক্ষন রবে।
চাকর, নওকর, পাইক, পেয়াদা
আরও কত কী!!!!
কী সুখ! কী সুখ! মরি মরি!
তবে কিন্তু এমন আছে ভুড়ি ভুড়ি,
সেখানেই শুরু যেথা শেষ তোমারি।
আর পাবে ফ্রি,
কিছু হিংসুক আর ষড়যন্ত্রকারী,
আর এসব সুখ,
হারাবার ভয় ও অশান্তি।

I Want to know what really makes us happy? Try tracking it!

Some of us waste our time waiting for people to live up to our expectations. We are so concerned about what others are doing that we don't do anything ourselves.“There is nothing outside of yourself that can ever enable you to get better,stronger,richer,quicker, or smarter. Everything is within. Everything exists. Seek nothing outside of yourself.”In life there is always the other side to whatever you experience.
When ever we come across a challenge or puzzling situation, look at the other side, you will be surprised to see an easy way to tackle the problem………Everything happens for a reason. May be you don’t see the reason right now, but when it is finally revealed…. it will blow you away.End is Not the End, in fact E.N.D Is "Effort Never Dies" & If you get NO as an Answer, Then Remember NO Is, "Next Opportunity"....If you look at what you have in life, you'll always have more. If you look at what you don't have in life, you'll never have enough.My definition of poor are those who need too much. Because those who need too much are never satisfied.Never force anything.. Just let it be. If it's meant to be, it will be.When I quit and let it go,don't think that I'm weak to hold it on. I'm strong enough to let it GO."I am strong because I've been weak. I am fearless because I've been afraid. I am wise because I've been foolish."Listen, Live, Love, Laugh Who knows Tomorrow may not be...
Start with Bismillah. End with Alhamdulillah. Appreciate with Subhan'Allah. Hope with Insha'Allah. And life will be blessed by Allah. Ameen

আমি সব সময় এমন মুখ গোমড়া করে রাখি ক্যানো?! আমার চেহারাই এমন।


পরিবারের বাতি ছেলে, মা চেয়ে থাকে ছেলের উপার্জন কবে খাবে। বাবা আশা করে কবে তার ছেলে সংসারের হাল ধরবে বা অন্তত হালের কিছু অংশ ধরবে। আর বড় ছেলে হলে তো কথাই নেই। বাবার অবর্তমানে সেই সে অবস্থানে চলে আসে তা সেই ছেলের বয়স ১৫ হোক কি ২৫ ই হোক। সব দায়িত্ব এক প্রকার তার। এতে ওই ছেলেটির মানসিক অবস্থা কোথায় গিয়ে ঠেকে তা কেউ খোঁজ নেয়না।একটা সমস্যা যা আমাদের সমাজে পুরুষদের প্রতিনিয়ত সম্মুখীন হতে হয় তা হল "টাকা কামানোর" চিন্তা। ব্যাপারটা যদি শুধু নিজের পায়ে দাঁড়ানোর মত মহৎ উদ্দেশ্য হত তাহলেও হত, কিন্তু তা না। সমাজের এই রীতির কারনে একটা ছেলেকে কী পরিমাণ মানসিক যন্ত্রনার মধ্যে দিয়ে যেতে হয় তা কেউ ভাবে বলে আমার মনে হয় না। একটা মেয়ের জন্যে টাকা উপার্জন নিয়ে যত কথা শুনতে হয় তার চেয়ে কয়েক হাজার গুন বেশি শুনতে হয় একটা ছেলেকে। বিশাল একটা সংস্কারের বোঝা একটা ছেলেকে কৈশর থেকেই পার হতে হয়। এই চিত্র ধনী গরীব সব পরিবারে মোটামুটি একই।এতো গেল পরিবারের কথা, নিকটআত্মীয়, পাড়া প্রতিবেশির মানুষজনতো আছেই।"ওমা আপনার ছেলে এখনও চাকরি পায়নি?","ও পেয়েছে? কত কামায়??"
"মাত্র!!! এই কামাই এ চলে!!","বিয়ে শাদি দিবেন না!! সংসার চলবে কীভাবে!!",এসব কথা তো শুনতেই হয়।প্রেমের বাজারের কথা নাই বলি। ফাস্ট ফুডের দোকানে না বসতে পারলে আর দামী গিফট দিতে না পারলে কয়জন মেয়ে আছে ওই ছেলের সাথে প্রেম করবে তা জানা আছে।স্বপ্ন দেখার পর ভাঙ্গলে কষ্ট হয়, স্বপ্ন দেখার অধিকারও যদি না থাকে তবে কেমন লাগে?কষ্ট পেয়ে হাত পা ছড়িয়ে বসে থাকার সময়ও তো নেই। ছুটতে হচ্ছে, টাকা কামানোর মেশিন হয়ে, আরও টাকা চাই। নাহলে সমাজে মান সম্মান প্রতিপত্তি কীভাবে আসবে? একারনেই পি এইচ ডি করা শিক্ষকের চেয়ে ম্যাট্রিক পাস করা কোটিপতির সম্মান এই সমাজে বেশি। অল্প বয়সে এই কষ্ট গুলো পেতে পেতে এক সময় এই ছেলে গুলো বয়স হলে একেকজন পাষণ্ড হয়ে ওঠে। কেন হয় তার খোঁজ কয়জন রাখে?লেখাটা অনেক বড় হয়ে গেল। আমার ধারনা ভুলও হতে পারে। হঠাৎ মনে হল বিষয়টা তাই সবার সাথে বললাম। পারলে একটু ভেবে দেখবেন।

FACEBOOK Status Desection



কেউ যদি প্রশ্ন করে, ফেসবুকের সবচেয়ে মজার টপিক্‌স বা ফিচার কোনটা? কে কী উত্তর দেবেন জানি না। আমার নিজের উত্তর হবে- একেকজনের বাহারি সব স্ট্যাটাস। কোনোটা মজার, কোনোটা দুঃখের, কোনোটা রাগ কিংবা অভিমানে ভরা, মানে ফেসবুকের অন্য আর সব ফিচারের মধ্যে এর মত বৈচিত্র্য আর কোনোটায় আছে কিনা সন্দেহ। কিছু স্ট্যাটাস তো বোঝাই যায় না যে আসলে কী বলতে চাইতেছে? আবার কোনোটা খোলাখুলি বোঝাই যায় ওইটা লোক দেখানো কিংবা ভাব মারার জন্য লিখছে। সারাদিন কাজ কাম খুঁইজা না পায়া, এই মজার জিনিসটা নিয়াই গবেষণা শুরু করছিলাম। ক্যামন হয়, যদি সেই অদ্ভুত স্ট্যাটাসগুলোর আসল মিনিংগুলো জানতে পারি? আসুন চুলচেরা HardCore বিশ্লেষণে নামি…

স্ট্যাটাস দুঃখজনকঃ

১. আর ভাল্লাগেনা >>(তার যে কী ভাল্লাগে না, সেইটা হাজার গুতায়াও বাইর করতে পারবেন না)

২. মন ভালো নাই >>(মানে, আমারে সবাই আইসা অহন জিগাও, ক্যান মন ভালো নাই)

৩. মানুষ এমন ক্যানো? >>(মানে, মানুষ ক্যামন সে ছাড়া আর কেউ জানে না)

৪. চারপাশের সবাই এত্ত স্বার্থপর ক্যানো? >>(মানে, আমি একাই ধোয়া তুলসী পাতা, বাকি সবাই ভন্ড)

৫. মানুষ চেনা বড় দায় >>(মানে, উনি এই মাত্র এইডা টের পাইলেন)

৬. আমার মনটা কেউ বুঝলো না, সবাই শুধু ভুলই বুঝে গেলো। >>(মানে, তেনার মন বুঝতে হইলে পুনরায় জন্ম লইয়া আসুন)

৭. মনের মত কাউকে পেলাম না। >>(মানে, তারে আসলে কেউ বেইল-ই দেয় না, তিনি বেল-Less)

স্ট্যাটাস হতাশজনকঃ

১. কী স্ট্যাটাস দিমু আর খুঁইজা পাই না। >>(মানে, তিনি একটা গবেট, কত স্ট্যাটাস দেখাইতেছি, তবু খুঁইজাই পায় না!! অথবা তিনি তার স্ট্যাটাসে কিছু কমেন্ট আশা করছেন)

২. ফেসবুক আর ভাল্লাগে না… >>(মানে, তিনি এখন নতুন কিছুর মোহে পড়েছেন, মোহ কাইট্টা যাক, ইঁদুর নিজ গর্তে ফিরবেই)

৩. কী আছে কপালে আল্লায় জানে। >>(মানে, কপালে কিচ্ছুই নাই, থাকার কথাও না, চুল শুরুই হয় কপালের পর থেইক্যা)

৪. মেডিকেলে ক্যান যে আসছিলাম!! >>(মানে, তিনি ভাব লইতেছেন যে তিনি অনেক কঠিন একটা সাবজেক্টে অধ্যয়ন করিতেছেন, কত্ত ব্রিলিয়ান্ট!)

৫. দেখতে দেখতে কত বড় হয়ে গেলাম, আজো মনের মানুষ পেলাম না। >>(মানে তিনি বুঝাইতেছেন, তার রিলেশনশীপ স্ট্যাটাস অহনো Single, So…..)

স্ট্যাটাস লোক দেখাইন্যা/ভাব মারাইন্যাঃ

১. উফফ্‌ মাসে ৫ বার করে P6 নিতে হয়, ক্যান যে এত তাড়াতাড়ি শেষ হয়ে যায়! >>(মানে, তিনি বিরাট এক ইন্টারনেট ব্যবহারকারী, তার মত বস্‌ পাবলিক দুনিয়ায় সেকেন্ড আরেকটা নাই)

২. ফেসবুকে মানুষ যে কী মজা পায়, বুঝি না। >>(মানে তিনি ছাড়া বাকি সবাই একেকটা উজবুক। তার লেভেলের “সেন্স অব হিউমার”-ওয়ালা পাবলিক পৃথিবীতে নিজে একটাই।)

৩. সারাদিন রাত ফেসবুকে বইসা পোলাপাইনগুলা যে কী করে!! >>(মানে, উনি ছাড়া আর কারো ফেসবুকে আসার অধিকার-ই নাই)

৪. উফফ্‌ কাল রাতে সারারাত নেট-এ ছিলাম, খুব টায়ার্ড লাগছে >>(মানে, উনি অনলাইনে বিরাট পপুলার)

৫. ইংলিশ মুভি বাদ দিয়ে পোলাপাইন হিন্দি ছবি দেখে কী যে মজা পায়!! সব খ্যাত… >>(মানে, তিনি বহুত উচ্চবিত্ত সম্ভ্রান্ত পরিবারের, আর বাকি সবাই নর্দমা থেইকা উইঠা আইছে)

৬. কাল কক্সবাজার থেকে আসলাম, পরশু পাহাড়পুর যাবো, আর পরের মাসে দেখি তেতুলিয়া থেকে ঘুরে আসা যায় নাকি। >>( মানে, আমি বিরাট ভ্রমণপ্রিয় মানুষ, টাকা পয়সা ব্যাপার না, তেজপাতা।)

৭. একটা ছোট্ট হাতির বাচ্চা কিনবো, কোথায় পাওয়া যাবে, কেউ ইনফর্মেশন দিন। >>(মানে, আমি ব্যাপক সৌখিন ধাঁচের, টাকা পয়সা হাতের ময়লা)

৮. KFC টা আর আগের মত নাই, বসুন্ধরার ফাস্টফুডগুলোতেও আর ভাল্লাগে না, Pizza Hut-এ যেতে যেতে বোরিং হয়ে গেছে। কোথায় গিয়ে যে একটু শান্তি পাবো?? >>(মানে, তিনি অঢেল টাকা-পয়সার মালিক, অসম্ভব রকমের বিলাসী, আর কটঠিন ইশ্মার্ট এবং আপডেটেড। এবং তাঁর gf-ও শীরাআআআম)

স্ট্যাটাস ভং মারাইন্যাঃ

১. হায় হায়, কাল ওয়ার্ড ফাইনাল, কিচ্ছু পড়ি নাই, আমার কী হবে? (মানে, আমি সাধারণত, না পড়েই পরীক্ষা দিয়ে থাকি, এবং পাশও করি, কত্ত ব্রিলয়ান্ট?)

২. সারাটাদিন ঘুরে বেড়াই, আড্ডা মারি, মুভি দেখি, পড়াশুনা করি না, করবোও না। পরীক্ষায় যে কিভাবে পাস করে যাই, আসলে আমারে পাস করানোই উচিৎ না। (মানে, আমি একখান বস্‌ পাবলিক)

৩. বন্ধুই জীবন, বন্ধুই সব। I just cant Live without friends. >>(মানে বন্ধুর সংজ্ঞা শুধু আমিই জানি)

৪. কিছু পোলাপাইনের মন-মানসিকতা এত্ত খারাপ, ছিইই… I just Hate those… >>(মানে আমার মানসিকতা বহুত উঁচু লেভেলের, কারো সাথে খাপ-ই খায় না)

৫. এতো চেষ্টা করি সকালের ক্লাস করবো, ঘুমের জন্য কিচ্ছু হয়না। উফফ ক্যান যে এতো ঘুম আমার!! >>(মানে, উনি বাসার আদরের লাডলা, আলালের দুলাল, তারে আদর কইরা কেউ কিচ্ছু বলে না)

৬. কিছু ছেলে আছে, রাস্তায় মেয়ে দেখলেই তাদের দিকে ফ্যালফ্যাল কর

Thursday, April 2, 2015

‘She is riding shotgun.’

মেয়েটা কি জানে ‘রাইডিং শটগান’ কথাটার মানে? চালকের পাশের আসনে বসাটাই রাইডিং শটগান। কিন্তু কেন? ১৮০০ শতকের শেষের দিকের স্টেজকোচ আমলের এক্সপ্রেস মেসেঞ্জাররা চালকের পাশে একটি শটগান বা রাইফেল হাতে নিয়ে বসতেন যাতে মূল্যবান পণ্য কিংবা মূদ্রাবাহী কোচের উপর ডাকাতের হামলা রুখে দেয়া যায়। এই কথ্য শব্দটি পরবর্তীতে ১৯০০ শতকের শুরুর দিকে ওয়েস্টার্ণ চলচিত্রের মাধ্যমে বিস্তার লাভ করে। এই কথাগুলো না জানলেই বা কি ক্ষতি ছিল? অপ্রয়োজনীয় তথ্য জানা নিয়েও কম দুর্ভোগ পোহাতে হয়নি জীবনে। সরলীকরণ করলে দাঁড়ায়ঃ আঁতেল।

usual suspect.


গত কিছুদিন আগে স্বল্প শিক্ষিত মানুষ রুপী এক ইন্ডিয়ান গাভী ( গাভী হলেও উনি পুরুষ!!) ফেসবুকে আমার কিছু লেখার জন্য আমাকে গালি দিয়ে ধুয়ে দিলো। গালি গুলা এতো বীভৎস যে কোন রিক্সাআলাকে পড়ে শোনালে পরদিন থেকে উনি লজ্জায় রিক্সা চালানো ছেড়ে দিবেন এমন অবস্থা!! সেই অমায়িক গালি আমি আশীর্বাদ হিসাবে হাসি মুখে গ্রহন করে রিপ্লাই দিলাম-
 “ দাদাভাই"। আপনার পাঠানো অসাধারণ গালি গুলো আমি একটু আগে হাসি মুখে রিসিভ করেছি। এতো যত্নে আমার চৌদ্দ গুষ্টি উদ্ধার কোরে গালি দেওয়ার জন্য আপনাকে ব্যাপক ধন্যবাদ। আশা করি অদুর ভবিষ্যতেও আপনি এরকম অতি উচ্চমানের শিল্প সাহিত্যে অলঙ্কৃত, প্রাণ প্রাচুর্যে ভরপুর চটকদার মাথা নষ্ট করা রগরগে গালি দিয়ে আমাকে অনুপ্রানিত করবেন। ধন্যবাদ। স্রষ্টা আপনার সহায় হোক! ’ আমার রিপ্লাই দেখে ভদ্রলোক হয়তো আকাশ থেকে পড়লেন, হয়তো পাঁজরের দুই তিনটা হাড়ও ভাঙ্গল। কিন্তু তার রাগ কিছুতেই কমলো না। এবার তিনি বীর পুরুষের মত আমার কল্পিত বউকে বিচিত্র আধিভৌতিক গালি দিয়ে আমাকে আহত করার চেষ্টা করলেন। গালি গুলো নিতান্তই কুরুচিপূর্ণ এবং ভদ্র সমাজে উপস্থাপনের অযোগ্য বিধায় স্ক্রিন শট প্রকাশ করছি না!! যাই হোক- আমি গালির সৌন্দর্যে অভিভুত হয়ে রিপ্লাই দিলাম- ‘ভাই, আপনি চমৎকার গালি দেন। আমি এখন একটু বেস্ত। আপনি আপনার জানা সব জঘন্য গালিগুলো দয়া করে আমাকে ইনবক্স করবেন। আমি অবসর সময় বের করে পড়ে নিবো। ভালো থাকবেন। শরীরের যত্ন নিতে ভুলবেন না।’ ভদ্রলোক বজ্রাহত হলেন। এইরকম বিশ্রী গালি কেউ হাসি মুখে মেনে নিতে পারে এই ভেবেই হয়তো তার শ্বাস কষ্ট হচ্ছিলো। একটু পর আমি নিজেই নক দিলাম- ‘ভাই!! এই হচ্ছে আমার নাম্বার। আপনি মিস কল দিলেই হবে। আমার মন খারাপ থাকলে আমি আপনাকে কল দিয়ে গালি শুনবো। যিনি এতো সুন্দর গালি আরেকজন মানুষের ইনবক্সে পোস্ট করতে পারে, আমার ধারনা তার গালির গলাও নিশ্চয়ই বসন্তের কোকিলের মত সুমিষ্ট এবং সুর ঝঙ্কারময়। আপনার জন্য অনেক শুভ কামনা রইলো।খালাম্মাকে আমার সালাম  জানাবেন। She must be proud এতো রুচিসম্পন্ন একজন বীর সন্তান জন্ম দেওয়ার জন্য যিনি অপরিচিত মানুষের ইনবক্সে গালি দিয়ে বীরত্ব জাহির করে!! এর পর আর কোন উত্তর নেই। সেদিন সকালে মেঘলা আকাশ, রুমের লেজ গুটিয়ে  বসে আছি। হুট করে দেখলাম- ইন্ডিয়ান সেই গাভীর ম্যাসেজ- ‘ সরি ভাই। আমার ভুল হয়ে গেছে। যদি সম্ভব হয় আমাকে মাফ করবেন। আপনিও ভালো থাকবেন।

guilty pleasure.


 আমি ছেলেবেলা থেকেই ব্যজারমুখো।
যার ‘মরিবার হল সাধ…’!

সবার কাছ থেকে একরকম বিচ্ছিন্ন, স্বেচ্ছা নির্বাসনে, পরিবার, আত্তীয়, বন্ধু  থেকে দূরে প্রায় বনবাস। হতাশায় আচ্ছন্ন বেদনার জীবন। এই আত্মবিনাশী পথে কখন কিভাবে যাত্রা তা হয়তো কারো কোনদিনই জানা যাবে না। হয়তো অনেক মানুষের ভিতরেই সম্পূর্ন বিপরীত দুটি ভাব খেলা করে। একটি বেঁচে থাকার প্রবল আকুতি- জীবন তৃষ্ণা। অপরটি আত্মবিনাশী, জেনে বুঝেও মানুষ এমন করে যা আসলে ক্ষতিকর।
প্রত্যেকটা মানুষের ভেতর একটা রাক্ষস থাকে। বেশির ভাগ মানুষ সেই রাক্ষসটাকে নিয়েই পাড়া মহল্লায় কিংবা চায়ের কাপে ঝড় তুলে। আমি ভিতু মানুষ, তাই মানুষের ভেতরকার শিশুটাকে আমি খুঁজে বেড়াই। কোন এক মন খারাপ করা অলস সকালে শিশুটাকে খাঁচা ছেড়ে বেড়িয়ে আসতে দেখলে ভালো লাগে। খুব...

আমি চিরাচরিত ভঙ্গিতে খোলা আকাশের নিচে পা ছড়িয়ে হাওয়া খেতে বসলাম। আকাশে মেঘ জমে ক্রমশ অন্ধকার হয়ে যাচ্ছে। কোন এক প্রলয়ঙ্কারি ঝড় এসে সব কিছু উড়িয়ে নিবে বোধ হয়। যাক! কিছু সৃতি ঝড়ে ভেসে যাক......

WARNING:Don't Believe All The Rumors You Hear About Me,Coz The Truth Is Much Worse..

আলোকিত পরিবার

কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশন আয়োজিত বছরের শেষ আলোচনা সভায় আলোচ্যসূচী ছিলো, "আলোকিত পরিবার" সেখানে বলা হয়, বাবা মা দের সবচেয়ে বড় ভুল এটাই...