আমাদের সামনের বাসার HipHop ছেলেটা গলায় মালা আর কানে দুল আর হাতে চুরি পড়ে মেয়েদের কোলে বসে যখন University তে Class করতো, BMA -তে তখন হয়তো আমি washroom-এর দরজা লাগিয়ে চিৎকার করে কাঁদতাম। সারা গায়ে কাঁটা ছেঁড়া আর দাগ নিয়ে যখন ছুটিতে বাড়ি ফিরতাম সবাই দেখে ফেলবে এই ভয়ে fulshirt খোলার সাহস পর্যন্ত কোরতাম না। আকাশ অন্ধকার করা বর্ষায় জানালার বাইরে হাত বাড়িয়ে বৃষ্টির ফোঁটাগুলা টোকা মারতে মারতে মোনে পড়তো সেই মহান HipHop ছেলেটি এক হাতে Bargar আর বগলে অনিন্দ সুন্দরীকে নিয়ে জীবনের অপার সুখে কি অভূতপূর্ব লীলাখেলা উপভোগ করছে... খারাপ লাগতো!! আহা, কত সুন্দর মানুষের জীবন... এভাবে বিন্দু বিন্দু ঘাম আর রক্তের গল্পগুলো পিছনে ফেলে এসেছি আজকের আমি।
আমি বারান্দায় গিয়ে দাঁড়াতাম... আহা!! কি অপূর্ব দৃশ্য!! HipHop ছেলেটি ঠিক আগের মতই গলায় মালা, কানে দুল, কাধে ঝোলা আর বগলে Girlfriend নিয়ে Class সেরে ক্লান্ত দেহে বাড়ি ফিরছে।। এই প্রথম বোধহয় অন্য কারো সুখ দেখে এতো ভালো লাগতে শুরু করলো।( ভাই! আপনি শত রমণীর স্বামী হন! শুভ কামনা রইলো) কিংবা কে জানে দূর থেকে হয়তো সুখী সুখী অভিনয়ের ভেতরে আটকে পরা মানুষের হতাশাগুলো দেখতে ভালোই লাগে...
জীবনের যাবতীয় দুঃখ কষ্ট দেখেও না দেখার ভান করার একটা ভুতুরে স্বভাব আমার আছে ভাই!! তাই আমি আর কিছু বললাম না!!
কোন এক আমলে বলেছিলাম বিয়ের বাজারে Millitary Cadet -এর দাম ২ দিনের বাসি টেংরা মাছ থেকেও কম। কারন শাশুড়ি সম্প্রদায়ের ধারনা – ‘ Those Guys Die Faster ’ এই অমহান অপ্রিয় সত্যটা শাশুড়ি সম্প্রদায়ের জনৈক এক প্রতিনিধি আমারে জিগ্যেস করে বললেন- ‘ বাবা! ঘটনা কতটুকু সত্যি? ’ আমি হতাশ চোখে বললাম- ‘ The Cow Eats Rice, মোটামুটি এই লেভেলের সত্যি ’ মাননীয় শাশুড়ি সম্প্রদায়ের সেই মহান প্রতিনিধি আহত হলেন। আমি বললাম – Aunty, আপনার মেয়েতো ভয়াবহ লেভেলের ভালো ছাত্রী। পিথাগোরাসের উপপাদ্য এক নিঃশ্বাসে গরু রচনার মত আওড়াতে পারে। এই শ্রেণীর মেয়েদের জীবনবোধ অনেক কম । ওর কাছে Nail Polish -এর গন্ধ আর বৃষ্টি নামার পরে ভেজা মাটির গন্ধের কোন পার্থক্য নাই। বই এর পাতার বাইরে কিচ্ছু জিজ্ঞেস করলে সে চোখ ট্যারা করে তাকিয়ে থাকবে। ওর জন্য পান খাওয়া পেট মোটা থলথলে শরীরের ব্যবসায়ি জামাই perfect । ভদ্র মহিলা মুখের উপর ফোন রেখে দিলেন। আজকালকার ছেলেরা মহা ফাযিল আর বেয়াদপ এই ব্যাপারে তার কোনই সন্দেহ নাই।শাশুড়ি সম্প্রদায়ের প্রাণী সম্পর্কে আমার ধারনা খুব সীমিত। তাদের বড় বড় দাঁত নখ থাকে কি না জানা নাই। থাকলেও মাঘি পূর্ণিমার রাতে তারা জামাই বাবুর হাত কামড়ে ধরেন কিনা তাই বা কে জানে?? আমার নিজের কোন শাশুড়ি নাই। মা খালারা স্টার জলসায় শাশুড়ি গোত্রীয় যেসব প্রাণী দেখে থাকেন বাস্তবতা ঐরুপ হলে মহা বিপদ। ছোটবেলায় Drawing পরীক্ষায় সাপ, ব্যাঙ,কলা কত কিছু আঁকতাম। কিন্তু class 2 এর বাচ্চার drawing পরীক্ষায় যদি এমন প্রশ্ন আসতো- ‘ একটি শাশুড়ি গোত্রীয় প্রাণীর চিহ্নিত চিত্র অঙ্কন করো’ তাহলে বাচ্চারা কি আঁকতো??...
আচ্ছা, এমন কোন মেয়ে নাই দুনিয়ায় যে পিথাগোরাস দেখতে পারে না?? Samuelson এর নাম শুনলে ঘিন্নায় ভ্রু কুচকায়? লাইফের বেইল যার কাছে ২ পয়সা নাই?? যে মহান নারী বৃষ্টিতে ভিজতে জানে?? এমন কেউ নাই যে ভুত প্রেমিক?? ছাঁদে পানির Tank- এ পা ঝুলিয়ে যার সাথে গল্পো করা যায়।যে বোয়ামে আঙ্গুল ডুবিয়েে আচার খায়। অার কৌটার মুখে জিহবা লম্বা করে দিয়ে গুঁড়া দুধ কিংবা Horlicks খায়। যে তেলাপোকা ভয় পায়, টিকটিকি দেখে পিলে চমকে উঠে। কিন্তু রাত ২টায় ফ্রিজ খুলে মিষ্টির বাক্সের উপর থেকে একটা চুরি করার সময় বলবে !! আসো সেলফি তুলি।। ” আহা!! যার কাছে জীবনের স্বাদ শাড়ি,গয়নার বাক্সে বন্দী না।যার দিনে ৩বার Parlor -এ যেতে হয়না।
এমন কেউ নাই যার সাথে ছুটির দিনে সিদ্দিকা কবিরস রসিপি কিংবা Youtube-এ Tutorial দেখে খিচুড়ি রাঁধতে গিয়ে হাত পুড়িয়ে ফেলা যায়!! ( এর আগে Life Insurance এবং ORSaline Company-র সাথে আজীবন চুক্তি থাকা আবশ্যক!!) তারপরও নিজেদের রেসিপিতে বানানো খিচুড়ি খেয়ে পেটে বিস্ফোরণ হইলেও আফসোস নাই...
তারপর ১০০ তলা ছাঁদের কার্নিশে পা ঝুলিয়ে পুড়ে যাওয়া হাতে বরফ ঘোষতে ঘোষতে মনে হয়- ‘ নাহ! জীবনটা তো মন্দ না’
No comments:
Post a Comment