About Me

My photo
JATRABARI , Dhaka, Bangladesh
I'm different, Damn your opinion. I have a passion for perfection, I like to challenge myself, and I appreciate diversity. I'm committed to personal aesthetics, excel in finding problems and solutions, and have a driving force to create. I have boundless imagination and an open mind. Disclaimer : I am a real person. I struggle, and I sparkle. I'm no longer afraid to say what makes Me angry, sad,or what I think is unfair. I'm not scared to admit that at time I feel worthless, lost or not enough. I'm also not hiding from love, beauty, aliveness, blessings or abundance anymore. I will not edit the sad,angry for f*cked up part of my story, or the holy magnitude of my triumphs to make anyone comfortable. I'm a real person. I struggle and I sparkled. Warning: Don't Believe All The Rumors You Hear About Me, because The Truth Is Much Worse! I'm not perfect. Never have been & never will be...

Saturday, October 31, 2015

দু ফোটা মুত্রদানের ইতিকথা

আমি ওয়াসরুমে বন্দী। হাতে একটা শিশি। রিপোর্ট আর ফরমালিটিজ এর জন্য মেডিক্যাল করতে হয়। আমাকে মুত্র পরীক্ষার জন্য দুই ফোঁটা মুত্র অনুদান করতে বলা হয়েছে।কিন্তু, কি বিপদ।। আমার সঞ্চয়ে বিন্দু মাত্র মুত্র নেই। আমি শিশি হাতে মেডিকেল এর ওয়াসরুমে ক্যাবলা কান্তের মত দাঁড়িয়ে আছি।
আমার জন্যে সবাই ওয়েট কোরছে! সাড়ে নয়টায় চেকঅাপ। এখন নয়টা পনেরো বাজে। ৫ মিনিটের মধ্যে মুত্র বিসর্জন করতে না পারলে ফলইন মিস কোরবো, কেয়ামত হয়ে যাবে। মেডিক্যাল রিপোর্ট এর আজকেই শেষ তারিখ।।আমি প্রাণ পনে চেষ্টা করছি। জল বিয়োজনের কোন লক্ষন দেখা যাচ্ছে না। পাশের টয়লেটে মুত্র বিসর্জনের মৃদু ধ্বনি শুনতে পাচ্ছি।
আচ্ছা!! আমি কি টোকা দিয়ে বলবো- “ হ্যালো, ব্রাদার!! আপনার কাছে দুই ফুটো মুত্র ধার হবে??” মরণঘাতি আইডিয়া। আরেক জনের কাছ থেকে ধার নিয়ে শেয়ার করে মুত্র পরীক্ষার জন্য ঐ হলুদ তরল ল্যাবে পাঠানোর ব্যাপারটা বড়ই কুরুচিকর। কিন্তু উপায় কি??আমি শূন্য শিশি নিয়ে বেড়িয়ে আসলাম।
বেসিনের কাছে জানালার রেলিং এ দেখতে পেলাম অনেকে নিজের নামের ট্যাগ লাগিয়ে বিভিন্নি সাইজের বোতলে মুত্র দান করে গেছে। দুই একটা বোতলের শিশি খুলে কিছুটা আমার বোতলে নিয়ে পরীক্ষার জন্য ল্যাবে পাঠিয়ে দেওয়া যায়। হাতে একদম সময় নেই।। সবাই তো ওয়েট করছে। একটু পড়েই চেকআপ।
আমি বেসিনের কাছে গিয়ে শিশি তে দুই ফোটা জল ভরলাম। আমি নিরুপায়। কিছু করার নেই। পাশের টয়লেট থেকে আবারো কোন এক ভদ্র লোকের মুত্র বিসর্জনের শব্দ আসছে। সমস্যা কি?? মানুষের এতো মুত্র আসে কোত্থেকে??
আমি পানি ভর্তি শিশি নিয়ে পায়চারি করছি। আচ্ছা, আমি কি ওয়াস রুমে সত্যিই টোকা দিয়ে বলবো- ‘ হ্যালো ব্রাদার! আপনার কাছে, দুই ফোঁটা মুত্র ধার হবে? আপনার শিশিটা দিলেই চলবে, ঐখানে থেকে আমি হাফ নিজের শিশিতে ঢেলে নিচ্ছি’, আমি আবার ওয়াস রুমে ঢুকলাম। নিরুপায় মনে হচ্ছে নিজেকে। হাতে পানি ভর্তি শিশি। আমি পানি ফেলে দিলাম। পাশের ওয়াস রুম থেকে আবারো মুত্র বিসর্জনের মায়াবী শব্দ আসছি। এক ধরনের সুর মূর্ছনা টাইপ। জল তরঙ্গের অদ্ভুত এক সুর ঝঙ্কার। আমি মোহাচ্ছন্ন হয়ে প্রায় ঘুমিয়ে পড়ছি... আধা ঘণ্টা পরের কথা। আমার অবস্থান মেডিকেলের ফ্লাট বেডে। চোখের সামনে সাদা পর্দা। আমি হাওয়া খেতে  জানালা আরেকটু খুলে দিলাম।
আহা!! মৃদু বাতাসের ছাঁট গায়ে এসে লাগছে। অদ্ভুতুরে কারনে অনেক দূরে কোথাও থেকে মুত্র বিসর্জনের শব্দ আসছে। আর আমি ঘুমিয়ে পড়ছি। একটু একটু করে।।  শনির দশায় পড়ার পরেও কারো দিন ভালো গেছে এরকম নজির তো তাবৎ পাঁজি-পুঁথি ঘেঁটেও কোথাও পাই না। আমার বেলায় ব্যতিক্রম হবে কেন? জানি না, এরপর কবি গুরু রবীন্দ্রনাথের প্রেতাত্মাও হয়তো শ্মশান ঘাট থেকে চিক্কুর মেরে বলে উঠলেন- ‘ মারিয়া লও, আমাকে মারিয়া লও…’

Do not sell yourself to anybod

আমি সাম্প্রতিক কালের কথা বলছি,
আজ্ঞাবাহী দাস, আইনজ্ঞ-বুদ্ধিজীবি,
আমার অগ্রজ, রাজনৈতিক নেতানেত্রী,
শিক্ষক আর সাংবাদিকদের কথা বলছি,
যাদের করতলেও মোহরের মুষ্টিবদ্ধ প্রলোভন ছিলো.....!

ক্ষমতার অংশীদারিত্বে বাংলাদেশের অধিকাংশ বুদ্ধিজীবীরা এখন আজ্ঞাবহ, ভারবাহী, মেরুদন্ডহীন মানুষে পরিণত হয়ে গেছেন। আমাদের চারপাশে তিন শ্রেণীর মানুষ আছেন যারা আপাত-প্রগতিশীলতার মুখোশে প্রতিক্রিয়াশীলতাকেই লালন করে চলেছেন। কেউ কেউ পরিশীলিত বাচনভঙ্গীর সুকৌশলে, কেউবা নির্লজ্জ-নগ্নতার বেশে, আবার কেউ কেউ আছেন অনেকটা “হতভম্ব-বোকার” মত এই প্র্যাকটিসটি করে চলেছেন…

Easy Money, Easy Distruction

ভাবছিলাম, শততম ব্লগটি কি নিয়ে লিখবো?
চোখের সামনে ঘটে যেতে থাকা বিষয়  গুলো ভাবায় মাঝে মধ্যে।যার অন্যতম হচ্ছে, "Easy Money & Easy Drug".মাদক ও অর্থের সহজ লভ্যতা। – ভাবলাম, সেটা নিয়েই লিখি…

 সহজলভ্যতা আর সামগ্রিক প্রভাবের কথা যদি বলি তাহলে আমাদের দেশের প্রেক্ষাপটে ফেন্সিডিল বা ইয়াবা অন্যান্য যে কোন ড্রাগের চাইতে বেশি শক্তিশালী ও ভয়াবহ”। বিগত কয়েক বছরের ইয়াবার চালান ধরা পড়ার যে পরিসংখ্যান তা শুরু হয়েছিল মাত্র ৪০ হাজার দিয়ে। আর এই বছর তা কোটির ঘর ছুঁই ছুঁই কোরছে। সারা দেশতো বটেই বিশেষ করে রাজধানী ঢাকার অবস্থা বেশি সঙ্গীন।

মাদক নিরাময় কেন্দ্রে চিকিৎসারত এক কিশোর প্রতিদিন তিন বোতল ফেন্সিডিলে অভ্যস্ত ছিল। অনুসন্ধানে বের হয়ে আসল তার বাবা তাকে প্রতিদিন ২০০০ টাকা করে হাত খরচ দিতেন!! বাবা মা যদি বাচ্চার মাথায় কোন রকমে ঢুকিয়ে দেন যে, “টাকা পয়সা ইজ নট এ প্রবলেম” – তাহলে নিশ্চিত থাকা যায় যে সেটাই সকল প্রবলেমের ভিত্তি হতে যাচ্ছে। মনে পড়ে গেল, “অর্থই সকল অনর্থের মূল”।

না চাইতেই পাওয়া জিনিসে বাচ্চা তো বাচ্চা, বড় মানুষও দাম দিতে শেখে না, মর্মটাই বোঝে না। কষ্ট করে পাওয়া যে কোন জিনিস বা অর্জনে আনন্দ থাকে শতভাগ। মানুষ তাতে এ্যাপ্রিশিয়েট করতে শেখে।

'Inside Every Person You Know, There Is Someone You Don't Know'


কিছু কিছু মানুষকে অকারনে ভালো লাগে। ব্যাকরণহীন ভালো লাগা। অনেকটা নিপাতনে সিদ্ধ টাইপ, নিয়মহীন, ছন্ন ছাড়া...।গানিতিক সুত্রে এই ভালো লাগার কোন ব্যাখ্যা নেই। কোন লজিক নেই। পরাবাস্তব এক ধরনের ভালো লাগা। ধোঁওয়া ধোঁওয়া...
এই ধরনের ভালো লাগায় প্রত্যাশার মার প্যাচ নেই। দিনে শেষে খাতা খুলে প্রাপ্তির হিসাব নিকাসের ঝামেলা নেই। এক ধরনের অদ্ভুতুরে ব্যাপার । খানিকটা বায়বীয়। খালি চোখে দেখা যায় না, কিন্তু বোতল বন্দী করে অনেক দিন রেখে দিলে ঠিকই কাঁচের দেওয়ালে ধোঁওয়াটে দাগ পড়ে।।প্রফেশনটা এমন, যেখানে প্রতিদিনই নতুন নতুন মানুষের সাথে কথা হয়। কারো কথা বুঝি, কারো টা বুঝিও না। কেউ থাকে এক নিঃশ্বাস দূরে, কারো সাথে দূরত্ব এক মহাদেশের...
দিনে দিনে অকারনে ভালো লাগা মানুষ গুলোর সংখ্যা বাড়তে থাকে। সময়ের সাথে কেউ কেউ আবার হারিয়েও যায়, কেউ কেউ হারিয়ে গিয়েও থেকে যায় এক নিঃশ্বাস দূরে... সবার অজান্তে।।

Friday, October 23, 2015

এই জীবন লইয়া আমি কি করিব? এ জীবন লইয়া কি করিতে হয়??

স্বপ্ন দেখার সক্ষমতাই সম্ভবত মনুষ্য জীবের সবচেয়ে তাৎপর্যপূর্ণ স্বাতন্ত্র। স্বপ্ন দেখতে পারে বলে মানুষ নিয়ত নির্মাণ করে আপন স্বভাব, সভ্যতা, সৌকর্য;এই আমাদের জীবন।উন্নতির পিছে ছুটে চলতে গিয়ে আকাক্ষিত অনুভূতিগুলোকে হারিয়ে ফেলা, কঠিন কঠোর বাস্তবতা আর মানবসৃষ্ট সমাজের নিয়মের বেড়াজাল ।ভারসাম্যহীন সেই সমাজের অন্ধকারে মানুষের স্বাধীনতা নামক আকাঙ্খাকে হারিয়ে খোজা।নিরন্তর বয়ে চলা জীবন স্রোতের গতিতে মানুষ নামক শ্রেষ্ঠ প্রাণীর অস্তিত্বের লড়াই। হৃদয় আর মস্তিস্কের অনুশাসিত হবার গল্প।আবেগ ও চিন্তা ভাবনাকে নির্দিষ্ট ব্যাসার্ধে আবদ্ধ করে ফেলার প্রক্রিয়া  । তারপর ও সুড়ঙ্গের শেষ মাথায় আলোর প্রত্যাশার মতই  সুন্দর আগামীকালের স্বপ্নে বিভোর হয়ে কালযাপন করা।কে জানে?হয়তো, আলো আসবেই!
এভাবে আগামীকালের হিসাব করতে করতে  দেখি কতোগুলো বছর কেটে গেলো!!? 

'একজন কোক ও এক গ্লাস ভূত'

আমি কিছু কিছু মানুষকে কারন ছাড়া পছন্দ করি। কারনে পছন্দ করার চেয়ে একটা মানুষকে অকারনে পছন্দ করা আমার জন্য সহজ।। কারন বিহীন পছন্দের মানুষগুলো খুব অদ্ভুত হয়! এরা হুট হাট করে উদয় হয়। ভূতের মত ধুপ করে আবার হাওয়ায় মিলিয়ে যায়। আমি হাসি মুখে তাদের বিদায় দেই। তাদের চলে যাওয়া আমি চাই না। তবু শান্ত চোখে তাদের বিদায় দিতে হয় (অথবা আমি নিজেই বিদায় নেই)।। হঠাৎ কোন এক মন খারাপ করা ঝড়ের রাতে তাদের কথা মনে পড়ে। আমি মুখ ভর্তি হাসি নিয়ে তাদের জন্য প্রার্থনা করি।। জগতের কারন বিহীন ভালো লাগার মানুষগুলা ভালো থাক। ভুতুরে সত্ত্বার বাইরে তাদের অদ্ভুতুরে স্বভাব গুলো, কোন এক ঝড়ের রাতে আবারো দলছুট মেঘ হয়ে ছুয়ে যাক... My life is pretty much simple! I don't hold any grudges. I don't complain! I don't harm, I don't hate.. .. I just smile & don't look back!!
Sometimes the bad things that happen in our lives put us directly on the path to the best things that will ever happen to us!
The true mark of maturity is when somebody hurts you and you try to understand their situation instead of trying to hurt them back. I like people  who've seen me at my worststill believe that I'm the best.
Thanks Everyone!! No matter How Much You Love Me Or How Worst You Hate!!!

Saturday, October 17, 2015

পাঁজি পুঁথি


পাঁজি হাতের পন্ডিতি
সব সমস্যার বিস্তৃতি,
মুন্ড মাথার দন্ড বিধি
ভূঁড়ি ভোজে নিষ্কৃতি ।
রাজার ধনের যাজ্ঞ্য নীতি
গরীব শোষার রাজ নীতি,
পাপ বিনাসের প্রায়শ্চিতি
সুদক্ষিণায় শুদ্ধ প্রীতি ।
আট প্রহরের দিবা রাতি
সদা চলে ভোগ আরতি,
ভক্তি নাশে ভূল ভ্রান্তি
প্রসাদ নাশে ক্ষুদা ক্লান্তি ।
কালাশৌচের শ্রাদ্ধ শান্তি
উপঢৌকন বাড়ায় কান্তি,
ঠিকুজীর পাঁজি পুঁথি
হাজার রকম বিভ্রান্তি ।
যোগ অ-যোগের রীতি নীতি
পুরহিতের মন্দ ভীতি,
কালান্তরের প্রেম প্রীতি
জাত বেজাতের সম্প্রীতি ।
কুকর্মের ভয় ভীতি
পন্ডিতের উপস্থিতি,
সুসভ্যের জাগৃতি
সংস্কারের আহতি ।

- পরিতোষ ভৌমিক

God Exist

গল্পটা মোটামুটি এরকম – একদিনএক চার্চের ঠিক সামনেই একটা শুঁড়িখানা চালু হল। এহেন দুষ্কর্মে ক্ষুব্ধ হয়ে চার্চের পাদ্রি-পুরুতগন দিন রাত ওই শুঁড়িখানার বিরুদ্ধে ঈশ্বরের কাছে নালিশ দিয়ে প্রার্থনা করতে লাগলেন। তাঁদের লাগাতার বদ-দোয়ার কারনেই হোক কিংবা নিছক কাকতালীয়ভাবেই হোক, কয়েকদিন পরেই বজ্রপাত হয়ে শুঁড়িখানাটি পুড়ে ধ্বংস হয়ে যায়। তখন শুঁড়িখানার মালিক আদালতে গিয়ে চার্চ কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে মামলা ঠুকে দিল। সে বলল, শুঁড়িখানার বিরুদ্ধে এই চার্চের পাদ্রি-পুরুতদের প্রার্থনার কারনেই সেটি ধ্বংস হয়ে গেছে। কিন্তু চার্চ ওয়ালারা এই অভিযোগ মানতে নারাজ। শেষমেশ কোন সুনিশ্চিত সিদ্ধান্তে আসতে না পেরে বিচারক মহোদয় লিখলেন, “মামলাটির রায় দেয়া খুবই কঠিন। কারণ, এখানে এক পক্ষে আছেন এক মদ বিক্রেতা, যিনি প্রার্থনার ক্ষমতায় বিশ্বাসীআর অপর পক্ষে আছে একটি চার্চ ওতার পাদ্রি-পুরোহিত গন, যারা কিনা প্রার্থনার ক্ষমতায় বিশ্বাস করেন না! ”

রূপান্তর

ছেলেগুলো গুছিয়ে কথাও বলতে পারতো না। মেয়েগুলো ওদের গুছিয়ে কথা বলা শেখালো।ছেলেগুলো ভুগতো দারুণ হীনমন্যতায়, মেয়েগুলো ওদের জাতে ওঠালো। ছেলেগুলো প্রায়ই দাঁড়িয়ে থাকতো মেয়েগুলোর স্কুলের পথে। মেয়েগুলো ‘মাধ্যমিকের বাধ্য’ মেয়ে। এড়িয়ে যেতো। ছেলেগুলো মুরগীর রক্ত দিয়ে চিঠি লিখে মেয়েদের নরম মন আরো গলানোর চেষ্টা করতো। ছেলেগুলো অযথাই হাত পা কাটার মিথ্যে অভিনয় করতো। আবার কেউ কেউ প্রেমিকার নামের অদ্যাক্ষর লিখে রাখতো হাতের বাহুতে, এই কাজটি করতে পেরে কেউ কেউ নিজেকে গ্রীক বীর একিলিস ভাবতো। এসব দেখে দেখে মেয়েগুলো একসময় রাজি হয়েও যেত।
এরপর ছেলেগুলো পাল্টে গেলো। দীর্ঘদিন ধরে যে মেয়েগুলোর জন্য তারা পাগলামি করতো, সম্পর্ক দীর্ঘায়িত হলে তারাই একসময় এক ঘেয়েমিতে ভুগতো। মেয়েগুলো বড়ো হলো। সেই সাথে পুরনোও। ছেলেগুলোর চোখে তখন ক্যাম্পাসের নতুন ভর্তি হওয়া তরুণী, ডিপার্টমেন্টের জুনিয়র। সময় বয়ে চললো। যে মেয়েগুলো বাল্যপ্রেমকে সম্মান করে সবাইকে অগ্রাহ্য করলো, একদিন তারাই অগ্রাহ্যের শিকার হলো। তারপর দীর্ঘদিনের সম্পর্ক ভেংগে গেলো। ছেলে গুলো গুছিয়ে কথা বলা শিখলো, প্রেমের ধরণ বুঝলো, তরুণীদের আয়ত্তে আনার কৌশলও শিখে ফেললো। নতুন সম্পর্ক গড়ে দিব্যি ভুলে গেল পুরনো সবকিছুকে। সবকিছুই চললো আগের মতো।
কিন্তু, দীর্ঘদিনের সম্পর্ক ভেংগে যাওয়া তরুণী, ব্যালকনিতে দাড়িয়ে এই আশ্বিনের বৃষ্টিস্নাত রাতে যে অঝোর ধারায় কেঁদেছিল, সে কান্নায় চোখের কাজল লেপ্টে গিয়েছিল কি না, কেউ খোজ রাখলো না………

Friday, October 16, 2015

আত্মহত্যার আগে

মাঝেমাঝে মরে যাওয়ার ইচ্ছে হলে আমাদের মাথায় বিচিত্র সব চিন্তা এসে ভীড় করে। আমরা সিলিং ফ্যানের দিকে তাকিয়ে মেঝের সাথে এর দূরত্বটুকু দেখে ভাবি, কোন এক মধ্যরাতে যদি এক গোছা দড়ি দিয়ে ঝুলেই পড়ি, তাহলে মৃত্যুর সম্ভাবনা কতটুকু। কিংবা কখনো অন্য উপায় খুঁজে পাওয়ার ইচ্ছে জাগে। সমান্তরাল রেল লাইনের বয়ে চলা দেখে কখনো ইচ্ছে হয়, যদি একদিন আত্মঘাতী অভিমান বেড়েই যায়, তাহলে হয়তো এর নিচে কাটা পড়ে মরে যাওয়া যাবে। আমাদের মধ্যে অনেকেই আবার ঘুমের ঔষধ সংগ্রহে রেখে মরে যাওয়ার চেষ্টা করি। কারণ, এতে মরে যাওয়ার সম্ভাবনা না থাকলেও বেচে যেতে যেতে অন্তত এটুকু জানা যায়, কার কার প্রিয় ছিলাম? , বা আদৌ ছিলাম কি না?!।

একলা সময়

ছুটির এইসব একান্ত অবসরে ইদানিং একাকিত্বই ভালো লাগে। একাকিত্বের কাছে সময় চাইলে কখনোই ফিরিয়ে দ্যায় না ও। এছাড়া শহরভর্তী অগুণতি ব্যস্ত মানুষ। কার কাছে সময় চেয়ে বিব্রতকর অবস্থায় পড়ি, তাই একাই এ শহর হেঁটে বেড়ানোর সিদ্ধান্ত নেই

হেঁটে যেতে যেতে দেখা হয় চারুকলার সামনে ভিক্ষা করা সেই বৃদ্ধার সাথে। একই টোনে যে ভিক্ষা চায়, বাবা আল্লায় তোমারে দেবে। আমি নামাজ পড়ে. . .
বাক্য শেষ হবার আগেই তাঁকে অতিক্রম করে চলে যাই প্রতিবার। আজ ইচ্ছে হয় থামার। পুরো বাক্য  শোনার। আমার দাঁড়িয়ে থাকার মমার্থ টের পায় না সে। আবার বলে ওঠে, বাবা আল্লায় তোমারে দেবে। আমি নামাজ পড়ে. . . .খন্ড বাক্যের পৌনঃপুনিক ব্যবহার। বৃদ্ধা, যিনি এই শহরের সবাইকে নিজের ছেলে ভেবে বাবা সম্বোধন করে , সেও হয়তো জানে এই অগণন ভ্রান্তিবিলাসে ভরপুর শহরে পুরো বাক্য শোনার কারো সময় নেই।

গরু মেরে জুতা দান করলে যে কখনো হাতেম তাই হওয়া যায় না, সেকথা কে বোঝাবে তাদের?

গত দুশ বছর ধরে সারা পৃথিবীতে যারা গণতন্ত্র ও মানবাধিকার প্রতিষ্ঠায় অক্লান্তভাবে (নিন্দুকেরা উল্টোকথা বলে থাকেন) কাজ করে চলেছেন, সেই পশ্চিমা দুনিয়া ঘরের দরজায় ক্ষুধার্ত ও আশ্রয়প্রার্থী মানুষ দেখে ভড়কে গেল। ভালো করে খিল এঁটে কানে হেডফোন লাগিয়ে জোরসে মিউজিক প্লেয়ার ছেড়ে দিল।অবশ্য তারা কখনোই কোনো বিষয়ের গভীরে যাওয়ার বোকামি করেন না। তাতে বায়বীয় জগতের নতুন হুজুগে হুক্কা হুয়া করার সুযোগটা মিস হয়ে যাওয়ার বিরাট সম্ভাবনা থাকে। এতদিন সে জোর গলায় সবাইকে বলে এসেছে, তার যেহেতু বিপুল পরিমাণ অর্থ-প্রাচুর্য আছে সে ‘উন্নত বিশ্বে‘ বাস করে। তার সেই বিশাল টাকার থলেতে হঠাৎ যেন টান পড়ল। যে কাঁধকে মনে হচ্ছিল হারকিউলিসের মতো চওড়া, অনায়াসে অনেক ভারী বোঝা বহনে সক্ষম; দেখা গেল সে কাঁধ বড় নাজুক।
অতঃপর গৃহযুদ্ধ আর নীরব দুর্ভিক্ষে অতিষ্ঠ উদ্বাস্তুর দল ডুবে মরতে শুরু করল বলকানের দুর্গম পথে, সাগরের নিঃসীম নীল জলে কিংবা কাঁটাতারের সীমানায় পৌঁছার পর তারই মতো কোনো দু-পেয়ে  দমকা হাওয়ায় তেলের কুপি যেভাবে নিভে যায়, অনবরত মানবাধিকারের বুলি আওড়ানো ঠোঁটগুলো সেভাবে বন্ধ হয়ে গেল। চোখের আড়ে পাহাড় লুকোনোর এই প্রচেষ্টা
আসলে আমরা সবাই অদ্ভুত এক সময়ে বাস করছি। কোনো সমস্যার অন্তর্নিহিত কারণ ও সুদূরপ্রসারী প্রভাব নিয়ে ভাববার ফুরসত মেলে না কারো। কিছু ফটো বা ভিডিও দেখে মুহূর্তের আবেগে  উত্তেজিত হই, তারপর আবার আফিমগ্রস্ত কমলাকান্তের মতো ঝিমিয়ে পড়ি।

Thursday, October 15, 2015

Everything (in life) is politics

I believe in the concept of welfare state. I hate napotism, racial indiscrimination, religious intolerance, social disparity, economic exploitation, immoral political practices, double standard in judgment, political violence, suppression of freedom of speech and vindication against people on ground of difference of opinion. I believe,'' live and let others to lead a life the same way as you would like for yourself.'' Government must not fatten her tummy keeping the people unfed, must not seek for comfort at the cost of other's discomfort and should be run by politicians not by immoral and greedy business men. I have zero tolerance against corrupt, deceptive, liar, hypocrate people, be it in my social life or in the political arena.

Saturday, October 10, 2015

টিকটিকি

মানুষের সাথে অনাদিকাল থেকে বসবাস করে আসছে এই প্রাণীটি, অথচ মানুষের কোন উপকার বা অপকার কোনটাই করতে পারেনা সে। শুধুমাত্র মানুষের মনের ভেতরে যখন কোন ভাব জাগে সে কিভাবে যেন টের পেয়ে যায় এবং মানুষের ভাবনার সাথে তাল মিলিয়ে বলে ওঠে ‘টিক টিক টিক’! টিকটিকিদের এই দার্শনিক মতামত ‘ঠিক ঠিক ঠিক’ এরই যে কি মূল্য তা মানুষেরা আজো বুঝে উঠতে পারেনি। অনেকটা হোমিওপ্যাথিক বা কবিরাজি ওষুধের মতন। লেগে গেলে ধন্তধরির মতন কার্যকরী হবে আর না লাগলে আপনার ঘুনাক্ষুরেও মনে হবে না যে টিকটিকিটা আপনাকে একটা Advice দিয়েছিলো

Friday, October 9, 2015

আবোল তাবোল

আমি মানুষ। অন্যান্য মানুষদের মতই আমারও দুইখান হাত, দুইখান পা ইত্যাদি ইত্যদি অঙ্গপ্রত্যঙ্গের পাশাপাশি স্বাভাবিক নিয়মে একখান মাথাও আছে। আর সেই মাথার উপর বর্তমানে একখানা বড়সড় আকৃতির পাহাড় উঠে বসে আছে। পাহাড়খানা কাজ দ্বারা নির্মিত । বড়ই নাছোড়বান্দা সেই পাহাড়। তবে আমিও কি কম যাই। পাহাড়টারে ঘাড় ধরে মাথা থেকে নামায়ে লিখতে বসলাম। কারণ হঠাৎ মনে হইলো আমার একখান ব্লগ লিখতে হবে। কেন লিখতে হবে সেই ব্যাপারে আমার একমাত্র মাথাকে জিজ্ঞেস করেও তেমন কোন সদুত্তর পাওয়া গেলোনা। তাই আমি ভাবলাম, উত্তর দিয়ে আর কী হবে, যাই বরং একখান ব্লগ লিখি।
পরসমাচার এই যে, এতটুকু লিখার পর আমার মনে হইতেসে, থাক, ব্লগ লিখার দরকার নাই। কিন্তু আসল কথা হইতেসে আমি চাইলেও কিছু লিখতে পারতেসিনা। একটা সময় ছিলো যখন কীবোর্ডখানা চিন্তা করার আগে আগে কতসব শব্দ টাইপ করে ফেলতো। এখন ঠেলেঠুলেও বাটনগুলারে দিয়ে কোন নতুন অক্ষর লিখানো যায়না। আমি যেমন অলস, আমার কীবোর্ডও তেমন কুড়ে। যেমন মালিক, তেমন ভৃত্য। যেমন কুকুর, তেমন মুগুর। নাহ, শেষ প্রবাদটা মনে হয় ঠিক হইলোনা। ঠিক হইলেই বা কী, বেঠিক হইলেই বা কী।

Thursday, October 8, 2015

আমাদের বায়বীয় শোক।


Selfy টা ভালো হয়নি, Coffee Shop-এ গিয়ে Checkin দিতে ভুলে গেছি, Profile Picture-এ লাইক পড়েছে মাত্র ১ টা ,পুশি বিল্লিটার লোম উঠে যাচ্ছে,
এবার Hangout -টা Lengthy হলো না।
Apple-এর New Set  এসেছে, কেনা হয়নি।Messi  ক্যেন Goal  পেলোনা!?,
বাগানের Eucalyptus টা ঠিক ভাবে বেড়ে ওঠেনি, Wading Photography-র জন্য Budget-টা Low হয়ে গেল, Finally Breakup -টা করেই ফেললাম।
বৃষ্টি এলো, মা ছাদে যেতে দিলো না।
ভীষণ প্যারায় আছি।

আমার চায়ের দোকান




প্রায়ই ভাবি, আমার একটা অফিস থাকবে, অফিসে দেরাজ থাকবে… দেরাজ ভর্তি যুক্তি থাকবে … কিছু যুক্তি টেবিলের ড্রয়ারেও রাখবো। কে জানে কখন দরকার হবে, ঘ্যাচ করে বের করে এনে আশেপাশের সব ঘ্যাচাং করে দিবো…  লক্ষ টেরাবাইটের একটা হার্ড ড্রাইভ থাকবে, কন্ট্রোল সি আর কন্ট্রোল ভি চেপে কুপোকাত করে দিবো সবাইকে… এগুলি শুধুই ভাবনা মাত্র…

কিন্তু স্বপ্নটা একটু ভিন্ন,  একটা চায়ের দোকান দিবো। নাম হবে “একা এবং কয়েক জন”। সুনীল বাবুকে চিঠিও দিয়েছিলাম, অনুমতি প্রার্থনা করে নাম ব্যবহারের জন্য। উত্তর দেননি।
ওয়ারীর বনগ্রাম রোডের চায়ের কারিগর হাফিজকেও সাথে নেবো আমাদের। ওর চা বানানোটাই সবার সেরা, চায়ের যে দুধটা সারাদিন জ্বাল দেয় সেটাতেই নাকি সমস্ত কারিগরি … চায়ের সাথে টাও থাকবে, কাউকে কিন্তু ফ্রি টা দেয়া যাবে না। দোকান লাটে উঠে যাবে যে। সন্ধ্যায়  বসে  সারাদিনের হিসাব মেলাবো। টাকার না সময়ের।
কারিগর হাফিজকে বলেছিলাম, ওকে পার্টনার করে নেব … সে অপেক্ষায় আছে। এখনও স্বপ্ন দেখে, মাঝে মাঝে খোজ নেয়, “গুছাইতে পারলেন ভাইয়া”।
আমার গোছানো এখনও হয়ে ওঠেনি। ” ওকে বলি এইতো আর কটা দিন”।
“ভাইয়া সব কিছুর দাম কইলাম বাড়তি, আপনে হিসাব কইরা নাইমেন”।

আমিও ওর মতই স্বপ্ন দেখি, আরো একবার হিসাবের খাতা নিয়ে বসি। কিছু মেলে না, হিসাব মেলে না। জমা খরচের হিসাবে পাই না।
জীবন পার হয়ে গেলো কতোগুলো বছর। স্বপ্ন ওড়ে ধরা দেয় না।




Friday, October 2, 2015

গল্পটা একটু অন্যরকম হতে পারত.......!



গল্পটা একটু অন্যরকম হতে পারত।
হ্যা। একটু অন্যরকম।

জিতু  বেশ কিছুক্ষণ ধরে বসে আছে করিডোরের বেঞ্চে।এমনিতে অনেক অশান্ত প্রকৃতির। কিন্তু আজ ওর অপেক্ষা করতে একটুও খারাপ লাগছে না। বরং বুকে একরাশ আশা। অনেক স্বপ্ন। স্টেডিয়ামে প্রাকটিস গ্রাউন্ডের পাশে বসে আছে। দূর থেকে দেখছে তার সেই স্বপ্নের মানুষ গুলোকে প্রাকটিস করতে। ও এসেছে বোলিং ট্রায়াল দিতে। ছোটবেলা থেকেই খুব ভাল ক্রিকেট খেলে। পাড়ার ক্রিকেটে ও ছিল এক ভয়ংকর নাম। স্কুল টীমের ক্যাপ্টেন হয়ে ওর  স্কুল কে চ্যাম্পিয়ন ও করেছে। ওই টুর্নামেন্টে ও ছিল হাইয়েস্ট উইকেট টেকার। স্কুল জীবন পেরিয়ে কলেজে ভর্তি হল।ওর প্রতিভা আরো ছড়িয়ে পড়ল। একটা ক্লাব ওকে টীমে ভেড়াল। লীগে  চ্যাম্পিয়ন হল সে ক্লাব। দ্বিতীয় সারি থেকে উঠে এল প্রথম সারিতে।ক্লাবের কোচ ঠিকই বুঝতে পেরেছিলেন ওর প্রতিভা। তাই ঠিক করলেন যে ভাবেই হোক ওকে আরো এগিয়ে নিতেই হবে। পাওনিয়ার লীগের  টীমের কোচের সাথে কথা বলে ওকে নিয়ে এলেন ট্রায়াল দিতে । জিতু  অপেক্ষায় আছে। ওর ডাক আসবে। দূর থেকে কে যেন ফাইল হাতে এগিয়ে আসছে। হয়তো ওকে ডাকতেই। জিতুর  মুখে হাত। অনেক স্বপ্ন। কিন্তু………
এই জিতু ওঠ। ওঠ। আর কতোক্ষণ ঘুমাবি? বাসের সময় হয়ে যাচ্ছে তো। মায়ের ডাকে ঘুম ভাঙে জিতুর।হুট করে বসে পড়ে। কি হচ্ছে বুঝতে একটু সময় নেয়। মা চলে যায়। আবারো বলে “তাড়াতাড়ি কর।সময় হয়ে যাচ্ছে।”
আজ জিতুর মিলিটারি একাডেমীতে যোগদান করার দিন। ক্রিকেট খেলে ভালই যাচ্ছিল জিতুর দিনগুলো । পড়াশুনায় অতো মন ছিল না। হয়ত ভাল কিছুই করতো। কিন্তু হঠাৎ ওর বাবা স্ট্রোক করে। খুব বেশি খারাপ কিছু না ঘটলেও ডাক্তার বলে উনি যেন কোন টেনশনে না থাকেন। আর কাজও আগের মত অতো বেশি করতে পারবেন না। আগের চেয়ে অনেক রিলাক্সড লাইফ কাটাতে হবে। পরিবারের বড় ছেলে জিতু । বাবা ক্রিকেট খেলাটা অত ভাল চোখে দেখতো না। বারবার পড়ায় মন দিতে বলতো। কিন্তু জিতু শুনতো না। বাবার ইচ্ছা ছিল এইচএসসি পাশ করে জিতু আর্মিতে যোগ দেবে।ও কখনো ব্যাপারটা মেনে নিতে পারেনি। কিন্তু। কিন্তু এবার আর কিছু করার নেই। বাবার স্ট্রোকটা হয় ওর ফার্স্ট ইয়ারের শেষের দিকেই। সব কিছু জেনে শুনে বুঝে জিতুকে পড়াশুনায় সিরিয়াস হতে হয়। ক্রিকেট ছেড়ে দেয়। এইচএসসির পর আইএসএসবি দিয়ে টিকে যায়। কাল ওর জয়েনিং ডে। আজ বাসে রওনা দিবে। কিন্তু……..

গল্পটা একটু অন্যরকম হতে পারত। দূর থেকে এগিয়ে আসা আগন্তুক জিতুর সামনে এসে দাঁড়ায়। ফাইলে কিছু একটা দেখে জিজ্ঞাসা করে “তুমি কি জিতু ?”
নার্ভাস ভঙ্গিতে মাথা নাড়ে জিতু ।
-আমার সাথে এসো। এবার তোমার পালা।
বাধ্য ছেলের মত এগিয়ে যায় জিতু । নেটের কাছে এসে থামে। একজন, সম্ভবত কোচ হাতে বল ছুড়ে দেয়। বলে “শুরু কর।”
একটু এ পাশ ও পাশ তাকিয়ে নেয় জিতু ।দূরে দাঁড়িয়ে আছে তার সেই ক্লাবের কোচ। চেহারা ঠিক দেখা যাচ্ছে না। তবে যেন বলতে চাচ্ছেন “জিতু, তুমি পারবে।”
একটা নিঃশ্বাস নিয়ে রান আপ নেয় জিতু। প্রথম বলটা ইনসুয়িং করে মিডল স্ট্যাম্প। উজ্জ্বল হয়ে ওঠে কোচের মুখ। জিতুর চোখে বিস্ময়। পরের বলটা শর্ট লেন্থে স্ট্যাম্পের উপর দিয়ে যায়। এরকম এক্সট্রা বাউন্সে কোচের চোখে বিস্ময়। এক ওভারের প্রতিটা বলেই কোচকে তাক লাগিয়ে দেয় জিতু। ওভার শেষে কোচ পিঠ চাপড়ে বলে ” ওয়েল ডান মাই বয়।”
কিন্তু………

-কিরে এখনও উঠিস নি??
মায়ের ডাকে আবারো ঘুম ভাঙে জিতুর। এবার আর চোখে কোন বিস্ময় নেই।সোজা উঠে বাথরুমে চলে যায় ফ্রেশ হতে। ব্রাশ করার সময় আয়নার দিকে তাকায়। কেমন জানি লাগছে ওর নিজেকে। কেমন অজানা। কেমন অচেনা। কিন্তু………
কিন্তু গল্পটা একটু অন্যরকম হতেও পারত।।


স্মৃতি-অনুভূতির এক অদ্ভূত খিচুড়ি এবং বেসামাল খিচুড়ি।


আমাদের সময় এমন পথে ঘাটে কদু ব্যাপারীর লুঙ্গির নিচে  রানের চিপা থেকে  ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্ন বের হয়ে আসতো না। আমরা মোটামুটি ঘিলু বেঁচেই পরীক্ষায় পাশ ফেলের ফায়দা লুটতাম। আমাদের শৈশবে ফেসবুক টুইটার বলে কোন বস্তুর অস্তিত্ব ছিলো না। রোজ সন্ধ্যায় আমরা মোটামুটি ঝুম বৃষ্টিতে হাঁটু পানিতে ফুটবল খেলে কাঁদা মাখামাখি হয়ে বাড়ির পেছনের দরজা দিয়ে মুখ লুকিয়ে হামাগুরি দিয়ে বাড়ি ফিরতাম।
আমাদের শৈশবে কে.এফ.সি, পিজা হাট ছিলো না। আমরা কমলা সবুজ পাইপ আইস্ক্রিমে সুখ টান দিয়ে খুশি থাকতাম। আমাদের সময় বিনোদন মাতা সানি লিওন কিংবা ফুড প্যাঁন্ডা নায়লা নায়িমের উৎপাত ছিলো না ।ডাক ফেস ছিলো না, সেলফি ছিলো না...
আমরা আলিফ লায়লার মত অতি হাস্যকর মেলো ড্রামা দেখেও উত্তেজনায় শিওরে উঠতাম। কারেন্ট চলে গেলে দল বেঁধে ছাঁদে বসে ভুতের গল্পের আসর জমাতাম। ভাই বোনরা মিলে খাটের উপর কুস্তি খেলে খাট বেচারার জীবদ্দশার চৌদ্দ গুষ্টি উদ্ধার করতাম।
আমরা হয়তো বড্ড সেকেলে ছিলাম , কিন্তু মনের মাঝে সুখ শান্তির কমতি ছিলো না।
হয়তো আমরা ‘কুল ডুড’ ছিলাম না, কিন্তু জীবনটা অনেক সহজ ছিলো।।
It feels good to live in memories but as soon as I realize that it's gone, It really hurts.

Devil's Advocacy

যে দেশের মানুষ শিক্ষা ও অর্থের সামর্থ্যে যত বেশী পিছিয়ে সে দেশে তত বেশী বর্বর ও বিবেক বর্জিত কার্মকান্ড সম্ভব। অর্থ আর শিক্ষায় দারিদ্রের শিকার এমন কোনো মানুষকে দিয়েই একবেলা খাবারের সমমূল্যের অর্থের বিনিময়ে সম্ভব মানুষ খুন করানো।
Accomplishments don’t erase shame, hatred, cruelty, silence, ignorance, discrimination, low self-esteem or immorality. It covers it up, with a creative version of pride and ego. Only restitution, forgiving yourself and others, compassion, repentance and living with dignity will ever erase the past.

আলোকিত পরিবার

কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশন আয়োজিত বছরের শেষ আলোচনা সভায় আলোচ্যসূচী ছিলো, "আলোকিত পরিবার" সেখানে বলা হয়, বাবা মা দের সবচেয়ে বড় ভুল এটাই...