প্রায়ই ভাবি, আমার একটা অফিস থাকবে, অফিসে দেরাজ থাকবে… দেরাজ ভর্তি যুক্তি থাকবে … কিছু যুক্তি টেবিলের ড্রয়ারেও রাখবো। কে জানে কখন দরকার হবে, ঘ্যাচ করে বের করে এনে আশেপাশের সব ঘ্যাচাং করে দিবো… লক্ষ টেরাবাইটের একটা হার্ড ড্রাইভ থাকবে, কন্ট্রোল সি আর কন্ট্রোল ভি চেপে কুপোকাত করে দিবো সবাইকে… এগুলি শুধুই ভাবনা মাত্র…
কিন্তু স্বপ্নটা একটু ভিন্ন, একটা চায়ের দোকান দিবো। নাম হবে “একা এবং কয়েক জন”। সুনীল বাবুকে চিঠিও দিয়েছিলাম, অনুমতি প্রার্থনা করে নাম ব্যবহারের জন্য। উত্তর দেননি।
ওয়ারীর বনগ্রাম রোডের চায়ের কারিগর হাফিজকেও সাথে নেবো আমাদের। ওর চা বানানোটাই সবার সেরা, চায়ের যে দুধটা সারাদিন জ্বাল দেয় সেটাতেই নাকি সমস্ত কারিগরি … চায়ের সাথে টাও থাকবে, কাউকে কিন্তু ফ্রি টা দেয়া যাবে না। দোকান লাটে উঠে যাবে যে। সন্ধ্যায় বসে সারাদিনের হিসাব মেলাবো। টাকার না সময়ের।
কারিগর হাফিজকে বলেছিলাম, ওকে পার্টনার করে নেব … সে অপেক্ষায় আছে। এখনও স্বপ্ন দেখে, মাঝে মাঝে খোজ নেয়, “গুছাইতে পারলেন ভাইয়া”।
আমার গোছানো এখনও হয়ে ওঠেনি। ” ওকে বলি এইতো আর কটা দিন”।
“ভাইয়া সব কিছুর দাম কইলাম বাড়তি, আপনে হিসাব কইরা নাইমেন”।
আমিও ওর মতই স্বপ্ন দেখি, আরো একবার হিসাবের খাতা নিয়ে বসি। কিছু মেলে না, হিসাব মেলে না। জমা খরচের হিসাবে পাই না।
জীবন পার হয়ে গেলো কতোগুলো বছর। স্বপ্ন ওড়ে ধরা দেয় না।
No comments:
Post a Comment