ছেলেগুলো গুছিয়ে কথাও বলতে পারতো না। মেয়েগুলো ওদের গুছিয়ে কথা বলা শেখালো।ছেলেগুলো ভুগতো দারুণ হীনমন্যতায়, মেয়েগুলো ওদের জাতে ওঠালো। ছেলেগুলো প্রায়ই দাঁড়িয়ে থাকতো মেয়েগুলোর স্কুলের পথে। মেয়েগুলো ‘মাধ্যমিকের বাধ্য’ মেয়ে। এড়িয়ে যেতো। ছেলেগুলো মুরগীর রক্ত দিয়ে চিঠি লিখে মেয়েদের নরম মন আরো গলানোর চেষ্টা করতো। ছেলেগুলো অযথাই হাত পা কাটার মিথ্যে অভিনয় করতো। আবার কেউ কেউ প্রেমিকার নামের অদ্যাক্ষর লিখে রাখতো হাতের বাহুতে, এই কাজটি করতে পেরে কেউ কেউ নিজেকে গ্রীক বীর একিলিস ভাবতো। এসব দেখে দেখে মেয়েগুলো একসময় রাজি হয়েও যেত।
এরপর ছেলেগুলো পাল্টে গেলো। দীর্ঘদিন ধরে যে মেয়েগুলোর জন্য তারা পাগলামি করতো, সম্পর্ক দীর্ঘায়িত হলে তারাই একসময় এক ঘেয়েমিতে ভুগতো। মেয়েগুলো বড়ো হলো। সেই সাথে পুরনোও। ছেলেগুলোর চোখে তখন ক্যাম্পাসের নতুন ভর্তি হওয়া তরুণী, ডিপার্টমেন্টের জুনিয়র। সময় বয়ে চললো। যে মেয়েগুলো বাল্যপ্রেমকে সম্মান করে সবাইকে অগ্রাহ্য করলো, একদিন তারাই অগ্রাহ্যের শিকার হলো। তারপর দীর্ঘদিনের সম্পর্ক ভেংগে গেলো। ছেলে গুলো গুছিয়ে কথা বলা শিখলো, প্রেমের ধরণ বুঝলো, তরুণীদের আয়ত্তে আনার কৌশলও শিখে ফেললো। নতুন সম্পর্ক গড়ে দিব্যি ভুলে গেল পুরনো সবকিছুকে। সবকিছুই চললো আগের মতো।
কিন্তু, দীর্ঘদিনের সম্পর্ক ভেংগে যাওয়া তরুণী, ব্যালকনিতে দাড়িয়ে এই আশ্বিনের বৃষ্টিস্নাত রাতে যে অঝোর ধারায় কেঁদেছিল, সে কান্নায় চোখের কাজল লেপ্টে গিয়েছিল কি না, কেউ খোজ রাখলো না………
No comments:
Post a Comment