About Me

My photo
JATRABARI , Dhaka, Bangladesh
I'm different, Damn your opinion. I have a passion for perfection, I like to challenge myself, and I appreciate diversity. I'm committed to personal aesthetics, excel in finding problems and solutions, and have a driving force to create. I have boundless imagination and an open mind. Disclaimer : I am a real person. I struggle, and I sparkle. I'm no longer afraid to say what makes Me angry, sad,or what I think is unfair. I'm not scared to admit that at time I feel worthless, lost or not enough. I'm also not hiding from love, beauty, aliveness, blessings or abundance anymore. I will not edit the sad,angry for f*cked up part of my story, or the holy magnitude of my triumphs to make anyone comfortable. I'm a real person. I struggle and I sparkled. Warning: Don't Believe All The Rumors You Hear About Me, because The Truth Is Much Worse! I'm not perfect. Never have been & never will be...

Friday, March 25, 2016

ত্যেল - একটি তৈলাক্ত কাব্য


ইঞ্জিনে ঢালে, খাবারে মেশায়,
কুন্তলে মাখে বালিকা;
তরল সে এক পদার্থ ভাই,
তেল- জগতের চালিকা।

কিন্তু ভ্রাতারা, জান কি তোমরা, সকল তেলের মাসী-
আছে সে ‘ত্যেল’ এক, অসীম শক্তি, "সিংহকে করে খাসী"?
মাখামাখি ওই তরলে আবাল-বৃদ্ধ-বণিতা-জনগণ,
সেই ত্যেলেরই গুণ গাহি আজ, শুনিও ভ্রাতারা দিয়া মন।

ত্যেলের প্রকৃতি অদ্ভুত বড়, মধুর মতই মিষ্ট;
কষ্ট ছাড়াই আনিবে ঠিক সে, পরম আরাধ্য কেষ্ট!
বাষ্পীয় তাহা, অথচ তরল, অমৃতসম স্বাদে-
টের পাইবে না, কোন ফাঁকে 'বশ্' করিয়া ফেলিছে 'ফাঁদে'!
ফ্যালফ্যাল করি’ তাকাইয়া দেখে, মুখপোড়া "সৎ" ভাঁড়ে-
ত্যেল-ত্যেল করি’ কেমনে আগায়, "খাসী" ভাবে তারা যারে!

ভুবন ভুলানো ত্যেলুয়া হাস্য দিয়া সে কহিবে, “প্রভু!
ঘাড়ে উঠিব, আপনার মাথা ম্যাস্যেজ করিনি কভু!”
হাসিতে ভুলিয়া, ঘাড়েতে তুলিয়া, প্রভু গেলেন ঘুমাইয়া। …ওদিকে
'ঝরঝর' ভারী "মূত্রে" ভক্ত দিয়াছে সব ভাসাইয়া!
আধো ঘুমে প্রভু ভাবেন- ‘বাহবা, বেশ তো অয়েল ম্যাস্যাজ!
গন্ধ নতুন, অনুভূতি খাসা!’… “সাবাস বৎস্য! সাবাস!”

ত্যেল ত্যেল ত্যেল! সকালে-বিকেলে-
শয়নে-স্বপনে মেরে যাই ত্যেল!
খেয়ে যাই ত্যেল,
গিলে যাই ত্যেল,
গলে যাই ত্যেলে
ডুবে যাই পুলকে- আহা ত্যেল!
ঘরে ঘরে ত্যেল,
দপ্তরে ত্যেল,
রাস্তার কোণে কোণে- আহা ত্যেল!

মর্দন লয়ে ভীষণ লড়াই চলিতেছে সবখানে;
কে আগে প্রভুকে ঘুম পাড়াইবে, কে উঠিবে আসমানে?
মাখাইয়া দাও, নিজেতেও মাখো, ত্যেলের সাথেই সখ্য-
'চিটচিটে' সব 'গুপ্ত' বাসনা, বীজ হতে হোক বৃক্ষ!!!


Friday, March 18, 2016

আমরা কি হিংসুটে …..


জাতি হিসাবে আমরা বেশ অদ্ভুত। পরচর্চা, পরনিন্দা, পরকে ঘৃণা করা আমাদের জাতীয় বৈশিষ্ট্য বললে মনে হয় কম বলা হয় না। প্রতিবেশি ব্যাগ উপচে পড়া বাজার নিয়ে ঘরে ফিরলে বলি, এই দুর্মূল্যের বাজারে এতো টাকা পায় কই! আর খালি হাতে বা তলানি নিয়ে বাড়ি ফিরলে বলি, ছোটজাত, কোনদিন খেয়েছে নাকি, বাজার করা শিখবে কোথা থেকে!
আমরা ভালো কে ভালো, সত্যিকে সত্যি, মিথ্যাকে মিথ্যা বলতে পারি না। উপরন্তু নিজেকেই শ্রেষ্ঠ বলে দাবী করি; তা সে নামে হোক, মানে হোক, বংশে হোক, চাকুরীতে হোক, শিক্ষায় হোক, স্বামীতে হোক, স্ত্রীতে হোক, শ্বশুর বাড়িতে হোক, দেশে হোক, বিদেশে হোক……।

মুই কি হনু রে….(A tail of a downtrodden race)


আমার নামের আগে “সৈয়দ” বলে দিচ্ছে আমি “বড়” বংশের। আমার পূর্ব পুরুষ ইসলাম প্রচারের জন্য এদেশে এসেছিলেন। সুতরাং আমি ‘আশরাফ মুসলিম’। আমার গায়ের ‘রঙ’ দ্যেখো টকটকে গৌর বর্ণের। তোমাদের দেশের কালিমা বা ছোটলোকি আমার মাঝে নেই।আমরা নবাবি আমল থেকে ‘ধনী’।
আমার পুর্বপুরুষের ভিটা ইটের দালান; ‘মেঝের মার্বেল’ এসেছিলো ‘ইটালি’ থেকে ‘জাহাজে’ করে, সেই জাহাজ এসে থেমেছিলো ‘কলকাতা’ বন্দরে।
বৃটিশদের সাথে আমার প্রপিতামহের ব্যাবসা ছিলো।আমার শ্বশুরবাড়ির ওরা খানদানি ফ্যামিলি। ঢাকার নবাবদের সাথে ওদের ওঠাবসা ছিলো। ওদের প্রতিটি ঘরে ‘পারস্যের গালিচা’ বিছানো; গালিচা বিছানোর কারিগর এসেছিলো ‘হায়দ্রাবাদ’ থেকে। আমার বিয়ের সময় যে দস্তরখান বিছানো হয় তাতে বসে ‘শাহ সুজা’ পর্যন্ত আহার গ্রহণ করেছিলেন।
আমার দাদা পোলাও খেয়ে পুকুরের যেই ঘাটে হাত ধুতেন সেই ঘাটের পানি নিয়ে যেতো গায়ের লোকেরা, সেই পানি দিয়ে রান্না করবে বলে (ঘী মিশে থাকতো সেই জলে)।আমাদের ঘরের কুকুরগুলি লেডি কার্জনের উপহার দেয়া সেই টম কুকুরের বংশধর। যেই পায়রাগুলো উড়ছে ছাদে, বাড়ির আশে পাশে সেগুলোর পুর্বপুরুষদের আনা হয়েছে বাহাদুর শাহের লাল কিল্লা থেকে।ঐ ডাব গাছের পানি দিয়ে আপ্যায়িত করা হয়েছে ফজলুল হক সাহেবকে, সোহরাওয়ার্দি সাহেবকে, মাওলানা সাহেবকে; শেখ সাহেবও ছিলেন সাথে, ছিলেন মোশতাক সাহেবও। জেনারেল জিয়া আমার বাবার বসানো নলকূপের পানি খেয়ে বলেছেন, বাহ্ বেশ মিষ্টি ; হাতের আজলা ভরে তিনি পানি পান করেন, চোখে ছিলো তার রেব্যান সানগ্লাস। বন্যা হলে গামবুট পড়ে জেনারেল এরশাদ আমার কাচারি ঘরে এসে বসেন; তাকেও ডাবের পানি দেয়া হয় খেতে। হালকা চুমুক দ্যেন তিনি। রুমাল দিয়ে ঠোট মোছেন। আসলেই ব্যাবহারে বংশের পরিচয়। তাকে জাম্বুরা মাখিয়ে দেয়া হলে তিনি বল্লেন জাম্বুরা তার খুব প্রিয় ফল। সরিষার তেল, কাচা লঙ্কা দিয়ে মাখানো আর হালকা ধনে পাতা ছিটানো জাম্বুরা খেতে খেতে তিনি যেনো তার শৈশবে ফিরে গেলেন। আহ্ সেই নিষ্পাপ মুখচ্ছবি! আহা এই সরলতাই তার পতন ডেকে এনেছিলো। ছোটজাতে ভরা এই দেশের যোগ্যতা নেই গণতন্ত্র চর্চা করা বা বুঝার। এদের জন্য সহীহ ছিলো লৌহমানব আইয়ুব খানের বেসিক ডেমোক্রেসি। আমার ভোটের মূল্য আর ঐ জোলা, কামার, কুমার, বাইদ্যা, দিনমজুরের ভোটের মূল্য এক! আমার কথা আর ঐ অন্ধ মিসকিন, আমার ঘরের দাসী, কামলার কথার ধার একই! আমার জ্ঞান আর ঐ মাঝি, জাউলা, সহিসের বুঝার ক্ষমতা এক! ঐ ঘ্যাগওয়ালা ভিখারি, মুচি আর আমার ভোটের কোনই তফাত নাই! “যেইদিন থিকা মুড়ি আর মুড়কির একই ‘দর’ হইলো সেইদিন থিকা এই দ্যাশের সর্বনাশ হইলো”।

Friday, March 11, 2016

মুত্রদান Reloaded

রাস্তায় জ্যামে বসে আছি। পাশের রিক্সার এক ভদ্রলোক দেখলাম রিক্সা থেকে নেমে তার রোগা পটকা টাইপ "মেশিন" বের করে মনের সুখে মুত্র বিসর্জন করছেন!
তিনি রিক্সায় উঠে বসার পর আমি বিনীত ভাবে সালাম দিয়ে বললামঃ ভাই, আপনি কি বিছানায় পেসাপ করেন? অথবা বারান্দার রেলিং এর বাইরে আপনার রোগা পটকা লিকলিকে 'জিনিসটা' বের করে পরিবেশের একেবারে বেড়াছেঁড়া করে ছাড়েন??
রাস্তার মধ্যেই ভয়ানক হট্টগোল বেধে গেলো। ভদ্রলোক গালিগালাজ করে আমার চৌদ্দগুষ্টি উদ্ধার করে ছাড়লেন!! আমি হাসি হাসি মুখ করে ভদ্রলোকের অকথ্য গালি গলধঃকরণ করতে লাগলাম। এর মধ্যেই সিগন্যাল ছাড়লো। মুত্র সম্রাটের রিক্সাওয়ালা হুঁশ করে টান দিয়ে উধাও হবার আগেই আমি চেঁচিয়ে বললাম- ‘ ভাই! রান্নাঘরে বা খাবার ঘরের বেসিনে পেসাপ করার এই অতি বদ অভ্যাস যদি আপনার বংশগত না হয়ে  থাকে, তাইলে যেখানে সেখানে এই আকাম করে দেশটার আর বারোটা বাজায়েন না ভাই!’
কারো ভুল ধরায় দেওয়ার পর, কেউ যদি Offended feel  করে, তাইলে কিচ্ছু করার নাই!!

মারখোরীকরণঃ
অনুভূতিপ্রবণেরা দূরে থাকুন,
কিছু আহত হলে লেখক দায়ী নহে।

IMPORTANT NOTE: Any resemblance to anyone in whatsoever manner is purely co-incidental & I do'nt take responsibility of any sort of mini-heart attack caused while reading this. (ঘটনা এই অধমের মস্তিষ্কপ্রসুত কাল্পনিক..., কেউ গুগল করে বিভ্রান্ত হবেন না )

* লাইক, কমেন্ট এবং শেয়ার করে সাথে থাকুন।

আলুটিলা...

এখানে হুট করেই সন্ধ্যা নামে। মুরং পাড়ার ওপাশে শেষ ঝুপড়িটার ধার ঘেঁষে সূর্যটা হারিয়ে যায়। আঁধার নেমে এসে ঢেকে দেয় পাহাড়ের মাঝখানে দূরত্বটা। অনেক গুলো জোনাকি হঠাৎ করেই জেগে ওঠে আলোর মিছিল নিয়ে। একটা ময়না আছে, ওই দূরে, শেষ টিলাটার ওপরে।একটা তক্ষক নিজের মনেই ডেকে ওঠে, একটানা, অনেকক্ষন ধরে। তারপর কোত্থেকে একটা ব্যাঙ, অনেক গুলো নাম না জানা পোকা থেকে থেকে ডেকে চলে।
 আমি আর আমরা এখানে অনাহুত, সাপ, ব্যাং আর ঝিঁঝিঁ পোকারা মানতে চায় না আমাদের সহাবস্থানের প্রস্তাব। নিজের খুশিতে একে বেকে পথ চলতে চলতে তাই হিসহিস শব্দ করে সাপেরা পথ আগলে দাড়াতে চায়। চারদিকে কার্বলিক এসিডের শিশিগুলো প্রবল চেষ্টায় আটকে রাখে বসতিতে ওদের অবাধ আনাগোনা। টর্চের আলো ফেলে লাল মাটির পথ ধরে যেতে যেতে একটু ভয় ভয় লাগে। লাগুক না, ওদের ডেরায় এসে অনাহুত অতিথির এটুকু ভয় ন্যায্য প্রাপ্য।পৃথিবীর এক প্রান্ত যেন, অদ্ভুত নীরব, অনেকটা অন্যরকম। সন্ধ্যা নামে এই পাহাড়ে। একই রকম করে প্রতিদিন। হয়তো বদলে যায় অন্য ঋতুতে, একটুখানি। কিন্তু দুই পাহাড়ের মাঝখানে হুট করে সন্ধ্যা নেমে আসার এই গল্পটা বোধকরি একই থাকে প্রতিদিন, আজন্মকাল ধরে। আমি আমার নিজের মতো, সাপ, ব্যাঙ আর ঝিঁঝিঁ পোকার শব্দ শুনি।

ত্যাগ তিতিক্ষা

Sacrifice করাটাএকটা চক্রের মত,যে করে সে এর মধ্যেই ঘুরপাক খায় তাকেই সারাজীবন Sacrifices করেই যেতে হয়।আর যে করে না তাকে কখনোই করতে হয় না।।

আমি ব্যর্থ, চরম ব্যর্থ....
ছাত্রজীবনে ব্যর্থ, কর্মজীবনে ব্যর্থ,  ব্যেক্তিজীবনে ব্যর্থ, পরিবারে ব্যর্থ, সমাজে ব্যর্থ, অনুভূতি প্রকাশে ব্যর্থ, হাসতে ব্যর্থ....
একদিন হয়তোবা আমার সব ব্যর্থতা গুছিয়ে সফলতা আসবে কিন্তু সেই ভাবনাতেও আমি ব্যর্থ....

যাদের ব্যর্থতাগুলো আমার মত, তাদের জন্য সুখবর হচ্ছে....আপনি যে আপনার ব্যর্থতাগুলো বুঝতে পেরেছেন, সেটাই আপনার সফলতা....
সুতরাং আপনার ক্ষুদ্র এই সফলতাকে কাজে লাগিয়ে ফেলুন, এগিয়ে চলুন ব্যর্থতা নিয়েই....
কাঁদতে কাঁদতেই এগিয়ে চলুন....কারণ কাঁদতে কাঁদতে একদিন আপনি কাঁদতে ভুলে যাবেন আর সেখান থেকেই শুরু হবে আপনার নতুন রাস্তা....চক্ষু শীতল করা রাস্তা....

বিপ্লব, যুদ্ধ এবং শৈশব

 শান্তির সময়ে শিশুদের বয়স দ্রুত বাড়ে না ! কিন্তু আন্দোলন, বিপ্লব, যুদ্ধ, এমনকি দুর্যোগ বা দুর্ভিক্ষের সময়ে তারা দ্রুত বেড়ে ওঠে। আমি এই কাল, সেই কাল, এই দেশ, সেই দেশ এবং যুদ্ধ বা শান্তির সময়ের পরিক্রমা থেকে এধরনের একটা সিদ্ধান্তেই উপনীত হয়েছি! কারন এই সময়গুলোতে বড়রা এমন সব বিষয়ে নিজেদেরকে সর্বক্ষণ নিয়োজিত রাখেন যে, শিশুরা কখনই তাদের স্বভাবগত শিশুসুলভ কোন বৃত্তি সমূহকে লালন বা পরিচালনা করতে পারেনা। ফলে তারা বড়দের উপযাচক হিশেবেই ব্যস্ত থেকে নিজেদের বৃদ্ধিকে গতিময় করে তোলে!

একজন জামিলা বুয়া

জমিলা বুয়া। বিশিষ্ট 'বদ' ভদ্র মহিলা। উনি কি পরিমান 'বদ' এই ব্যাপারটা ব্যাখ্যা করার আগে 'বদের' আগে নুন্নতম তিনটি ‘অতি’ বিশেষণ ব্যাবহার করা প্রয়োজন। এই "অতি অতি অতি বদ" ভদ্র মহিলা, পান খেয়ে যেখানে সেখানে #পিক ফেলেন। #চুগলখুরি ব্যাপারটায় উনার "দক্ষতা" অনন্য অসাধারণ। আগ বাড়িয়ে গলা পেঁচিয়ে "ঝগড়া" করা উনার বিশেষ পছন্দ। অপরিচিত মানুষের দুঃখ কষ্টে তিনি 'পৈশাচিক আনন্দ' পান।।
তার চরিত্রের একটি অন্যতম মহৎ গুন তিনি একজন "চোর"। ফ্রিজ খুলি ফল মূল চুরি করে আঁচলে পেঁচিয়ে তিনি তার বাসায় নিয়ে যান। ড্রয়ারে রাখা খুচরা পয়সাগুলোর দিকে তিনি লোলুপ দৃষ্টি দেন। প্রায়ই বাসার শো পিস খোওয়া যায়, মানি ব্যাগের টাকা হারিয়ে '"সাহেব"'  বাসায় পাগলের মত চিল্লাফাল্লা করেন। মোট কথায় জমিলা বুয়া শুধু একজন মানুষই নন, তিনি একজন কমপ্লিট প্যাকেজ...
এবার চলুন মুদ্রার ঐ পিঠে তাকাই।
জমিলা বুয়ার দুইটা ছোট ছোট পিচ্চি আছে। জামাই "মদ" খেয়ে নেশা করে স্টেশনে রাত কাটায় বলে সন্তান পালনের সমস্ত #দায়িত্ব তার। ভোর চারটায় উঠে নিজের সংসারের টুকটাক কাজ গুছিয়ে পিচ্চি দুইটাকে নাস্তা খাইয়ে স্কুল ড্রেসে রেডি করেন। জামাই এর আয় রোজগারের সিকি ভাগও সংসারের কাজে লাগে না, এদিকে আবার ছোটটা প্রায়ই 'অসুস্থ' থাকে বলে, তাকে  'সাহেবের পকেটে কিংবা  ড্রয়ারের' খুচরা পয়সার দিকে জিভ বের করে লোল ফালাতে হয়, বাচ্চার #ঔষধ কেনার জন্য।।
পিচ্চি দুইটাকে স্কুলে দিয়ে শুরু হয় তার জীবন সংগ্রাম। দুপুরে ভাত খেতে দিলে সে 'পেট খারাপের' #ভান করে ভাত গুলো পলিথিনে পেঁচিয়ে বাসায় নিয়ে যায়। পিচ্চি দুটোকে মুখে তুলে খাইয়ে দিয়ে আবার কাজ...
কেউ কিছু জিজ্ঞেস করলে বলে দেয়- তার নাকি পেট ভরা, পান সুপারতেই দিন চলে যায়। সন্ধাকালে জামাই এসে নেশার জন্য টাকা খোঁজে। জমিলা বুয়ার কষ্টের টাকা, সে এক পয়সা ছাড় দিতে রাজি হয় না। জামাই কিলিয়ে কাঁঠাল পাকিয়ে তার আচলের গিট খুলে সমস্ত টাকা নিয়ে যায়।।
এদিকে ছোট মেয়ে বায়না ধরে তার নাকি চুলের লাল ক্লিপ লাগবে। বড় মেয়ের স্কুলের দুই মাসের বেতন বাকি। আগেই বলেছি- জমিলা বুয়া অতি বদ ভদ্র মহিলা। সংসার চালাতে, ফ্রিজ থেকে 'চুরি' করা একটা মালটা আর দুইটা আপেল দিয়ে মেয়ে দুটিকে বুঝ দিয়ে ঘুম পাড়িয়ে আলোহীন ঘরে সে ট্রাক ড্রাইভার থেকে শুরু করে চোর ছেচ্চরদের সাথে রাত কাঁটায়।
ভোর হবার আগেই জমিলা বুয়া বাড়ি ফিরে আসে। ঘুম থেকে উঠে ছোট মেয়েটা বালিসের কাছে লাল ক্লিপ দেখে আহ্লাদে চিৎকার দিয়ে ওঠে। জমিলা বুয়া মাসের বেতনের টাকা খামে করে বড় মেয়ের হাতে গুঁজে দিয়ে এক গ্লাস জল খেয়ে আবার জীবিকার তাগিদে vanish হয়ে যান। তার চোখের জলগুলো চোখেই শুকিয়ে যায়...
আর আমরা যারা খালি চোখে এই সিনেমাগুলো দেখি তারা বলি- ওহ! জমিলা বুয়া?? সে তো বিশাল "বদ"। যেখানে সেখানে রাত কাঁটায়। বিশাল বড় "চোর" তো। ফাজিল মহিলা একটা...
হুম! সব ঠিক আছে। জমিলা বুয়া খারাপ। স্ত্রী জমিলা অসৎ। সে কাজে ফাকি দেয়। ফল চুরি করে। গায়ে পড়ে ঝগড়া করে। বাইরে রাত কাঁটায়। সুপ্রিম কোর্টের সিল মেরে উনাকে নরকে পাঠিয়ে দেওয়াই যায়। তবুও এতো কিছুর পর...
মা জমিলা একজন অসাধারণ মা। জমিলা তার সন্তানের জন্য পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ মা। মৃত্যুর পর বেক্তি জমিলার হয়তো নরক যাত্রা কনফার্ম, কিন্তু তারপরও মা জমিলার পায়ের নিচে কিন্তু ঠিকই সন্তানের বেহেশত।

আলোকিত পরিবার

কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশন আয়োজিত বছরের শেষ আলোচনা সভায় আলোচ্যসূচী ছিলো, "আলোকিত পরিবার" সেখানে বলা হয়, বাবা মা দের সবচেয়ে বড় ভুল এটাই...