জমিলা বুয়া। বিশিষ্ট 'বদ' ভদ্র মহিলা। উনি কি পরিমান 'বদ' এই ব্যাপারটা ব্যাখ্যা করার আগে 'বদের' আগে নুন্নতম তিনটি ‘অতি’ বিশেষণ ব্যাবহার করা প্রয়োজন। এই "অতি অতি অতি বদ" ভদ্র মহিলা, পান খেয়ে যেখানে সেখানে #পিক ফেলেন। #চুগলখুরি ব্যাপারটায় উনার "দক্ষতা" অনন্য অসাধারণ। আগ বাড়িয়ে গলা পেঁচিয়ে "ঝগড়া" করা উনার বিশেষ পছন্দ। অপরিচিত মানুষের দুঃখ কষ্টে তিনি 'পৈশাচিক আনন্দ' পান।।
তার চরিত্রের একটি অন্যতম মহৎ গুন তিনি একজন "চোর"। ফ্রিজ খুলি ফল মূল চুরি করে আঁচলে পেঁচিয়ে তিনি তার বাসায় নিয়ে যান। ড্রয়ারে রাখা খুচরা পয়সাগুলোর দিকে তিনি লোলুপ দৃষ্টি দেন। প্রায়ই বাসার শো পিস খোওয়া যায়, মানি ব্যাগের টাকা হারিয়ে '"সাহেব"' বাসায় পাগলের মত চিল্লাফাল্লা করেন। মোট কথায় জমিলা বুয়া শুধু একজন মানুষই নন, তিনি একজন কমপ্লিট প্যাকেজ...
এবার চলুন মুদ্রার ঐ পিঠে তাকাই।
জমিলা বুয়ার দুইটা ছোট ছোট পিচ্চি আছে। জামাই "মদ" খেয়ে নেশা করে স্টেশনে রাত কাটায় বলে সন্তান পালনের সমস্ত #দায়িত্ব তার। ভোর চারটায় উঠে নিজের সংসারের টুকটাক কাজ গুছিয়ে পিচ্চি দুইটাকে নাস্তা খাইয়ে স্কুল ড্রেসে রেডি করেন। জামাই এর আয় রোজগারের সিকি ভাগও সংসারের কাজে লাগে না, এদিকে আবার ছোটটা প্রায়ই 'অসুস্থ' থাকে বলে, তাকে 'সাহেবের পকেটে কিংবা ড্রয়ারের' খুচরা পয়সার দিকে জিভ বের করে লোল ফালাতে হয়, বাচ্চার #ঔষধ কেনার জন্য।।
পিচ্চি দুইটাকে স্কুলে দিয়ে শুরু হয় তার জীবন সংগ্রাম। দুপুরে ভাত খেতে দিলে সে 'পেট খারাপের' #ভান করে ভাত গুলো পলিথিনে পেঁচিয়ে বাসায় নিয়ে যায়। পিচ্চি দুটোকে মুখে তুলে খাইয়ে দিয়ে আবার কাজ...
কেউ কিছু জিজ্ঞেস করলে বলে দেয়- তার নাকি পেট ভরা, পান সুপারতেই দিন চলে যায়। সন্ধাকালে জামাই এসে নেশার জন্য টাকা খোঁজে। জমিলা বুয়ার কষ্টের টাকা, সে এক পয়সা ছাড় দিতে রাজি হয় না। জামাই কিলিয়ে কাঁঠাল পাকিয়ে তার আচলের গিট খুলে সমস্ত টাকা নিয়ে যায়।।
এদিকে ছোট মেয়ে বায়না ধরে তার নাকি চুলের লাল ক্লিপ লাগবে। বড় মেয়ের স্কুলের দুই মাসের বেতন বাকি। আগেই বলেছি- জমিলা বুয়া অতি বদ ভদ্র মহিলা। সংসার চালাতে, ফ্রিজ থেকে 'চুরি' করা একটা মালটা আর দুইটা আপেল দিয়ে মেয়ে দুটিকে বুঝ দিয়ে ঘুম পাড়িয়ে আলোহীন ঘরে সে ট্রাক ড্রাইভার থেকে শুরু করে চোর ছেচ্চরদের সাথে রাত কাঁটায়।
ভোর হবার আগেই জমিলা বুয়া বাড়ি ফিরে আসে। ঘুম থেকে উঠে ছোট মেয়েটা বালিসের কাছে লাল ক্লিপ দেখে আহ্লাদে চিৎকার দিয়ে ওঠে। জমিলা বুয়া মাসের বেতনের টাকা খামে করে বড় মেয়ের হাতে গুঁজে দিয়ে এক গ্লাস জল খেয়ে আবার জীবিকার তাগিদে vanish হয়ে যান। তার চোখের জলগুলো চোখেই শুকিয়ে যায়...
আর আমরা যারা খালি চোখে এই সিনেমাগুলো দেখি তারা বলি- ওহ! জমিলা বুয়া?? সে তো বিশাল "বদ"। যেখানে সেখানে রাত কাঁটায়। বিশাল বড় "চোর" তো। ফাজিল মহিলা একটা...
হুম! সব ঠিক আছে। জমিলা বুয়া খারাপ। স্ত্রী জমিলা অসৎ। সে কাজে ফাকি দেয়। ফল চুরি করে। গায়ে পড়ে ঝগড়া করে। বাইরে রাত কাঁটায়। সুপ্রিম কোর্টের সিল মেরে উনাকে নরকে পাঠিয়ে দেওয়াই যায়। তবুও এতো কিছুর পর...
মা জমিলা একজন অসাধারণ মা। জমিলা তার সন্তানের জন্য পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ মা। মৃত্যুর পর বেক্তি জমিলার হয়তো নরক যাত্রা কনফার্ম, কিন্তু তারপরও মা জমিলার পায়ের নিচে কিন্তু ঠিকই সন্তানের বেহেশত।
তার চরিত্রের একটি অন্যতম মহৎ গুন তিনি একজন "চোর"। ফ্রিজ খুলি ফল মূল চুরি করে আঁচলে পেঁচিয়ে তিনি তার বাসায় নিয়ে যান। ড্রয়ারে রাখা খুচরা পয়সাগুলোর দিকে তিনি লোলুপ দৃষ্টি দেন। প্রায়ই বাসার শো পিস খোওয়া যায়, মানি ব্যাগের টাকা হারিয়ে '"সাহেব"' বাসায় পাগলের মত চিল্লাফাল্লা করেন। মোট কথায় জমিলা বুয়া শুধু একজন মানুষই নন, তিনি একজন কমপ্লিট প্যাকেজ...
এবার চলুন মুদ্রার ঐ পিঠে তাকাই।
জমিলা বুয়ার দুইটা ছোট ছোট পিচ্চি আছে। জামাই "মদ" খেয়ে নেশা করে স্টেশনে রাত কাটায় বলে সন্তান পালনের সমস্ত #দায়িত্ব তার। ভোর চারটায় উঠে নিজের সংসারের টুকটাক কাজ গুছিয়ে পিচ্চি দুইটাকে নাস্তা খাইয়ে স্কুল ড্রেসে রেডি করেন। জামাই এর আয় রোজগারের সিকি ভাগও সংসারের কাজে লাগে না, এদিকে আবার ছোটটা প্রায়ই 'অসুস্থ' থাকে বলে, তাকে 'সাহেবের পকেটে কিংবা ড্রয়ারের' খুচরা পয়সার দিকে জিভ বের করে লোল ফালাতে হয়, বাচ্চার #ঔষধ কেনার জন্য।।
পিচ্চি দুইটাকে স্কুলে দিয়ে শুরু হয় তার জীবন সংগ্রাম। দুপুরে ভাত খেতে দিলে সে 'পেট খারাপের' #ভান করে ভাত গুলো পলিথিনে পেঁচিয়ে বাসায় নিয়ে যায়। পিচ্চি দুটোকে মুখে তুলে খাইয়ে দিয়ে আবার কাজ...
কেউ কিছু জিজ্ঞেস করলে বলে দেয়- তার নাকি পেট ভরা, পান সুপারতেই দিন চলে যায়। সন্ধাকালে জামাই এসে নেশার জন্য টাকা খোঁজে। জমিলা বুয়ার কষ্টের টাকা, সে এক পয়সা ছাড় দিতে রাজি হয় না। জামাই কিলিয়ে কাঁঠাল পাকিয়ে তার আচলের গিট খুলে সমস্ত টাকা নিয়ে যায়।।
এদিকে ছোট মেয়ে বায়না ধরে তার নাকি চুলের লাল ক্লিপ লাগবে। বড় মেয়ের স্কুলের দুই মাসের বেতন বাকি। আগেই বলেছি- জমিলা বুয়া অতি বদ ভদ্র মহিলা। সংসার চালাতে, ফ্রিজ থেকে 'চুরি' করা একটা মালটা আর দুইটা আপেল দিয়ে মেয়ে দুটিকে বুঝ দিয়ে ঘুম পাড়িয়ে আলোহীন ঘরে সে ট্রাক ড্রাইভার থেকে শুরু করে চোর ছেচ্চরদের সাথে রাত কাঁটায়।
ভোর হবার আগেই জমিলা বুয়া বাড়ি ফিরে আসে। ঘুম থেকে উঠে ছোট মেয়েটা বালিসের কাছে লাল ক্লিপ দেখে আহ্লাদে চিৎকার দিয়ে ওঠে। জমিলা বুয়া মাসের বেতনের টাকা খামে করে বড় মেয়ের হাতে গুঁজে দিয়ে এক গ্লাস জল খেয়ে আবার জীবিকার তাগিদে vanish হয়ে যান। তার চোখের জলগুলো চোখেই শুকিয়ে যায়...
আর আমরা যারা খালি চোখে এই সিনেমাগুলো দেখি তারা বলি- ওহ! জমিলা বুয়া?? সে তো বিশাল "বদ"। যেখানে সেখানে রাত কাঁটায়। বিশাল বড় "চোর" তো। ফাজিল মহিলা একটা...
হুম! সব ঠিক আছে। জমিলা বুয়া খারাপ। স্ত্রী জমিলা অসৎ। সে কাজে ফাকি দেয়। ফল চুরি করে। গায়ে পড়ে ঝগড়া করে। বাইরে রাত কাঁটায়। সুপ্রিম কোর্টের সিল মেরে উনাকে নরকে পাঠিয়ে দেওয়াই যায়। তবুও এতো কিছুর পর...
মা জমিলা একজন অসাধারণ মা। জমিলা তার সন্তানের জন্য পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ মা। মৃত্যুর পর বেক্তি জমিলার হয়তো নরক যাত্রা কনফার্ম, কিন্তু তারপরও মা জমিলার পায়ের নিচে কিন্তু ঠিকই সন্তানের বেহেশত।
No comments:
Post a Comment