ইঞ্জিনে ঢালে, খাবারে মেশায়,
কুন্তলে মাখে বালিকা;
তরল সে এক পদার্থ ভাই,
তেল- জগতের চালিকা।
কিন্তু ভ্রাতারা, জান কি তোমরা, সকল তেলের মাসী-
আছে সে ‘ত্যেল’ এক, অসীম শক্তি, "সিংহকে করে খাসী"?
মাখামাখি ওই তরলে আবাল-বৃদ্ধ-বণিতা-জনগণ,
সেই ত্যেলেরই গুণ গাহি আজ, শুনিও ভ্রাতারা দিয়া মন।
ত্যেলের প্রকৃতি অদ্ভুত বড়, মধুর মতই মিষ্ট;
কষ্ট ছাড়াই আনিবে ঠিক সে, পরম আরাধ্য কেষ্ট!
বাষ্পীয় তাহা, অথচ তরল, অমৃতসম স্বাদে-
টের পাইবে না, কোন ফাঁকে 'বশ্' করিয়া ফেলিছে 'ফাঁদে'!
ফ্যালফ্যাল করি’ তাকাইয়া দেখে, মুখপোড়া "সৎ" ভাঁড়ে-
ত্যেল-ত্যেল করি’ কেমনে আগায়, "খাসী" ভাবে তারা যারে!
ভুবন ভুলানো ত্যেলুয়া হাস্য দিয়া সে কহিবে, “প্রভু!
ঘাড়ে উঠিব, আপনার মাথা ম্যাস্যেজ করিনি কভু!”
হাসিতে ভুলিয়া, ঘাড়েতে তুলিয়া, প্রভু গেলেন ঘুমাইয়া। …ওদিকে
'ঝরঝর' ভারী "মূত্রে" ভক্ত দিয়াছে সব ভাসাইয়া!
আধো ঘুমে প্রভু ভাবেন- ‘বাহবা, বেশ তো অয়েল ম্যাস্যাজ!
গন্ধ নতুন, অনুভূতি খাসা!’… “সাবাস বৎস্য! সাবাস!”
ত্যেল ত্যেল ত্যেল! সকালে-বিকেলে-
শয়নে-স্বপনে মেরে যাই ত্যেল!
খেয়ে যাই ত্যেল,
গিলে যাই ত্যেল,
গলে যাই ত্যেলে
ডুবে যাই পুলকে- আহা ত্যেল!
ঘরে ঘরে ত্যেল,
দপ্তরে ত্যেল,
রাস্তার কোণে কোণে- আহা ত্যেল!
মর্দন লয়ে ভীষণ লড়াই চলিতেছে সবখানে;
কে আগে প্রভুকে ঘুম পাড়াইবে, কে উঠিবে আসমানে?
মাখাইয়া দাও, নিজেতেও মাখো, ত্যেলের সাথেই সখ্য-
'চিটচিটে' সব 'গুপ্ত' বাসনা, বীজ হতে হোক বৃক্ষ!!!
No comments:
Post a Comment