About Me

My photo
JATRABARI , Dhaka, Bangladesh
I'm different, Damn your opinion. I have a passion for perfection, I like to challenge myself, and I appreciate diversity. I'm committed to personal aesthetics, excel in finding problems and solutions, and have a driving force to create. I have boundless imagination and an open mind. Disclaimer : I am a real person. I struggle, and I sparkle. I'm no longer afraid to say what makes Me angry, sad,or what I think is unfair. I'm not scared to admit that at time I feel worthless, lost or not enough. I'm also not hiding from love, beauty, aliveness, blessings or abundance anymore. I will not edit the sad,angry for f*cked up part of my story, or the holy magnitude of my triumphs to make anyone comfortable. I'm a real person. I struggle and I sparkled. Warning: Don't Believe All The Rumors You Hear About Me, because The Truth Is Much Worse! I'm not perfect. Never have been & never will be...

Monday, December 28, 2015

তোমাকে বধিবে যে, গোকূলে বাড়িছে সে ।

পলায়নের কাহিনী কখনই গৌরবগাঁথা বা বীরত্বের কাহিনী হতে পারেনা। যেমন ইখতিয়ার উদ্দিন মুহাম্মদ বিন বখতিয়ার খিলজির ১৭ জন অশ্বারোহী বাহিনীর আকস্মিক আক্রমনের মুখে লক্ষন সেনের রাজপ্রাসাদের পিছনের দরজা দিয়ে পলায়ন অথবা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের প্রাথমিক পর্যায়ে দক্ষিন এশিয়া থিয়েটারে জাপানিজ আক্রমনের বিপরীতে ‘ব্রিটিশ কমনওয়েলথ ফোর্স’ এবং চাইনিজ ফোর্সের বার্মা থেকে পালিয়ে আসা, সব কাহিনী গুলোকেই আমরা একই গোত্রের অন্তর্ভুক্ত করতে পারি। কোনটাই গৌরব দীপ্ত ছিলনা। অবশ্য সামরিক ইতিহাসের পলায়ন গুলোকে ভিন্নমাত্রা হিশেবে দেখা হয়ে থাকে এবং এই ধরনের পলায়নই পরবর্তীতে তাদের জন্য ভিন্নতর বিজয় সূচিত করতে পারে। যেমন তালেবানরা আমেরিকানদের সর্বতভাবে ডেপলয় নিশ্চিত করার পর যুদ্ধক্ষেত্র থেকে হারিয়ে গিয়েছিল। এখন তাদের আবার দেখা যাচ্ছে পৃথিবীর আনাচে-কানাচে জায়গায় নব নব রুপে!

Friday, December 11, 2015

অতীত নেই, ভবিষ্যতও নেই কোনখানে!

ইতিহাস আমাকে খুব বেশি আকর্ষণ করেনা। কারন ইতিহাস আদিকাল থেকেই সব সময়ে বিজয়ীদের দ্বারা লিপিবদ্ধ হয়ে আসছে। পরাজিতদের মধ্য থেকে আমার জানামতে শুধুমাত্র ফিল্ড মার্শাল রোমেলের কিছু লেখা আমাদের কাছে এসেছে লোকচক্ষুর আড়ালে এবং টিকে আছে এর মধ্যকার অন্তর্গত সাহিত্যিক এবং মানবিক উপাদানসমূহের কারনে।আমার মাঝেমধ্যেই মনে হয় ‘ALLIED FORCES’ না জিতে যদি জাপানীরা বা জার্মানরা দ্বিতীয় বিশ্ব যুদ্ধে জিতে যেতো, তাহলে আমরা পৃথিবীর তাবৎ সামরিক বাহিনীরা তাদের শেখানো যুদ্ধবিদ্যাই এখন মুখস্ত বা আত্মস্থ করতাম!
“ আমি যাতে যুদ্ধ থেকে না পালাই, সেজন্য আমাদের পশ্চাতে নিয়োজিত/ প্রশিক্ষিত কুকুর বাহিনী। সামনে শক্রর তরবারি; পিছনে ততোধিক নিষ্ঠুর/ সম্রাটবাহিনী।কথা হলো, কে আমাকে যুদ্ধে নামিয়েছে?”

Strange darkness landed on the earth today.

আশির দশকের শেষের দিকে (১৭৭৯) আফগানিস্তানে সোভিয়েত বাহিনীকে পরাজিত করার ভেতর দিয়ে একদিকে যেমন মুসলমানদের বিশ্বকে করোতলগত করার বাসনা পুনর্জীবিত হয় একই সাথে ইরানে শিয়া শক্তির পুনরুত্থান ১৪০০ বছর আগের বিভাজনের পুনঃ সুত্রপাত করে। এর পরের দৃশ্যাবলী বায়স্কোপের দৃশ্যাবলীর মতনঃ ইরানের আনবিক শক্তি অর্জনের প্রয়াস, সাদ্দামের পতনের পর ইরাকে শিয়াদের রাষ্ট্র ক্ষমতায় অধিষ্ঠান, সিরিয়ার সাথে ইরাকের মিত্রতা, লেবাননে হিজবুল্লাহদের শক্তি বৃদ্ধি এবং ইসরাইলের সাথে সংঘর্ষ, অতি পুরাতন প্যালেস্টাইন ইস্যু, প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা কর্তৃক সুচিত আরব বসন্তের ঢেউয়ে হুসনে মোবারক এর পতন, ন্যাটো জোট ও সৌদি আরবের মিলিত আক্রমনে লিবিয়ার গাদ্দাফির পতন (যেখানে পশ্চিমা নিও লিবারেলিসম এবং অস্ত্র সাহায্য নিয়ে আইসিস তার বর্তমান অন্তর্নিহিত শক্তির অধিকারী ও ধীরে ধীরে Frankenstein এ রুপান্তরিত হচ্ছে)এবং সর্বশেষ প্রেসিডেন্ট আসাদকে নিয়ে আমেরিকা ও রাশিয়ার মধ্যকার স্নায়ুযুদ্ধ পূর্ববর্তী শত্রুতার নবজাগরণ!
 ‘A SHORT HISTORY OF SARACENS’ বইটা পড়া শুরু করেছিলাম এবং ভেতরে ভেতরে অনেকদূর এগিয়েছিলাম। তবে কখনই শেষ করা হয়নি। এই বইটাতে সারাসিনদের উথান পতন, তাদের অর্থনীতিক, সামাজিক ও বুদ্ধিবৃত্তিক বিকাশ এবং অবক্ষয়ের ইতিহাস মোটামুটি নৈর্ব্যক্তিকভাবে তুলে আনা হয়েছে (এটা আমার ব্যক্তিগত ধারনা মাত্র, কারন তুলনা করার মতন আর কোন বইই আমি পড়িনি!)। এখানে উমাইয়া এবং আব্বাসি বংশের উত্থান পতন এবং শিয়া-সুন্নি সম্প্রদায়দ্বয়ের বিকাশের যে রক্তাক্ত ইতিহাস দেয়া আছে তা আমাকে সত্যিই ব্যথিত করেছিল। এমনকি আমাদের প্রিয় নবীর মৃত্যুর পরের শতাব্দীগুলোতে মুসলমানদের শৌর্য বীর্যের ইতিহাসের সমান্তরালে কলঙ্কের ইতিহাসো কম উঠে আসেনি এখানে! এই শৌর্য বীর্যের ইতিহাসও আমাদের নবী বেঁচে থাকলে কতোটা অনুমোদন করতেন সে সম্পর্কে আমার পূর্ণ সন্দেহ আছে! আজকের দিনের আইসিসের ইতিহাস একই সুত্রে গাঁথা বলেও আমার ধারনা।
আমি ওপরের অনুচ্ছেদের কোন ব্যাখ্যাতেই যাবো যাবনা! আমি শুধু “দুই পরাশক্তির বৈষম্য শুধু আইসিসকেই শক্তিশালী করবে, আর বৈরুত, প্যারিসের মত বিশ্বের আর ও অনেক বড় বড় শহরে এমনকি ছোট জনপদও নিরীহ মানুষের রক্তে ভেসে যাবে”- এই সত্যির প্রতিধ্বনি করছি! 

Thursday, December 10, 2015

২৫ নভেম্বর আমার জন্মদিন

সে বহুকাল আগের কথা। ঠিক যে আমলে আমার জন্ম সে সময়টায় স্ত্রী ডায়নেশর আমাদের বাড়ীর বাঁধানো পুকুর ঘাটে সখীদের নিয়ে দল বেঁধে ডিম ফূটাতো!! ইস্ট ইনডীয়া কোম্পানির লর্ড ক্লাঈভ কে আমি স্কুলে যেতে দেখেছি। তুতানখামোণেড় দুধের ফীডাড় কাওরান বাজার থেকে আমার নিজের হাতে কেনা।।ক্রমেই বুড়িয়ে যাচ্ছি। বয়স্ক প্রাণীদের আবেগ বলে কিছু থাকে না। আবেগের পাতলা চামড়ায় সময়ের সাথে ক্রমেই ধূসর মরিচা পড়ে...তবুও আমার মতো তৃতীয় শ্রেণীর নালায়েক কে যারা মনে রেখে 'শুভ জন্মদিন' উইশ করে, তখন ধূসর চামড়ার বোবা আস্তরণ ভেদ করে অন্যরকম একটা ভাল লাগা কাজ করে...কি আর বলবো??ধন্যবাদ সবাইকে...
কয়েকজন জানতে চাইসে এইটা কি আমার real birthday কিনা? যাদের সন্দেহ আছে তাদের আবগতির জন্য জানাইতেছি, আমার জন্মো তারিখ একটাই এবং এই একবারই জ ন্মো নিয়াই যে বিপদে আছি আর দুই তিন বার বিভিন্ন তারিখে একই ভুল করতে চাইনা।

Friday, November 27, 2015

No more fuzz

The more often we see the things around us - even the beautiful and wonderful things - the more they become invisible to us. That is why we often take for granted the beauty of this world: the flowers, the trees, the birds, the clouds - even those we love. Because we see things so often, we see them less and less. Its funny how you can do nice things for people all the time and they never notice. But once you make one mistake, its never forgotten. Intelligent men and women are easily annoyed by people in general but tend to say nothing in attempt to avoid meaningless arguments. Most people aren't actually anti-social. They choose to be alone because they hate spending time with stupid people. Nothing annoys me more when someone expects Me to be okay with something that they wouldn't be okay with if I did it. I prefer to distance myself whenever i’m mad because I become the most heartless person you’ll ever meet. Why insult someone when you can say something nice in a very sarcastic tone. Sometimes the bad things that happen in our lives put us directly on the path to the best things that will ever happen to us.

Saturday, November 21, 2015

One Step at a time

"It takes many inches to make a mile. We can only move by inches, one inch at a time. It's when we look miles ahead and wonder ‘how are we going to get so far?’ that we fail to move forward at all. The paradox is that we can choose to live life ‘in the rear view mirror’ and remain so far back that moving forward, even an inch, is most difficult. Most important, we must always keep in mind that anytime we suffer a setback while moving forward, it will always be just a matter of inches, and not miles." Discover how people improved their lives by living with less. “As you remove yourself from the race of always needing more and wanting more, you find you don’t have to be busy all the time.” I am who I am. I like what I like. I love who I love. I do what I want. It's my life not yours. Get off my back and deal with it.

কী আশ্চর্য! ভাবনাগুলো কেমন মিলে যায়, একই সময়ে …

কি অদ্ভুত আমরা, আসলেই আমরা এই  homosepians-রা  বড়োই দুর্বোধ্য।Digital পৃথিবীতে সব কিছুই আজ বড় যান্ত্রিক মনে হয়। চারপাশের মানুষগুলোকে ঠিক চেনা যায়না। অন্তঃসারশূন্য এই প্রানীসকল কতোই না অনুভূতিহীন। ছোটবেলায় আমার খুব প্রিয়ো একটা সিরিয়াল ছিল  Robocop। আমি নিশ্চিত, এই আধা যন্ত্র-আধা মানুষ আমাদের মত fultime মানুষদেরকে নিয়ে ভীষণ লজ্জিত।আমার প্রায়শই মনে হয়, আমাদের ভিতরে হৃদয় নামক বস্তুটা হারিয়ে গেছে। অথবা হয়তো কোথাও  লুকিয়ে আছে, আমরা খুজে পাচ্ছিনা। হয়তো আমরা খোজার চেষ্টাও কোরছি না, হারিয়ে গেছে তাতে কি? সমস্যা তো কিছু হচ্ছেনা, আমার ব্যবসা বাম্পার ফলন দিচ্ছে, চাকরিটাও কতো সুখের মনে হচ্ছে। ঘুষ নিতে তো এতটুকুও বাধছে না, কাজের লোক পিটিয়ে কতো ভালো লাগতেছে। যে কাউ কে (হোক সে ছোট বাচ্চা) পিটিয়ে মারার সময় যে আনন্দ পাচ্ছি , হৃদয়-বিবেক থাকলে এই আনন্দ অধরাই থেকে যেত। হৃদয়, বিবেক নামক অর্থহীন জিনিস গুলো না থাকলেই ভালো।আমি কোনো বোদ্ধা নোই, বিষয় বিশ্লেষণ করে কোন মতবাদ দেবার দুঃসাহস ও করিনা। আমি রাজনীতি বুঝিনা, ধর্ম বিশ্লেষকও নোই; আমার জ্ঞানের পরিধি সিমীত। আমার চিন্তা ভাবনা নিতান্তই সাধারন, যে রকম সাধারন রাস্তার পাশের চায়ের দোকানদারের।সারা দুনিয়া যেখানে বিভাজনে বিভাজনে মত্ত, যেখানে আবেগও বিভাজিত, সেখানে আমিই বা কেন ব্যতিক্রম? সবার ভিতরে যা নেই, আমার ভিতরেও সেই হৃদয়-আবেগ থাকার দরকার কি....???

পিপীলিকার পাখা গজিয়েছে, এবং সে আগুনের দিকে রওনা দিয়ে দিয়েছে।

আমি জানি, আজ সবাই মুখে মুখে কেউ খ্রিষ্টান, কেউ মুসলিম, কেউ ইহুদী, কেউ হিন্দু- আদতে সবাই এক ধর্মেরই লোক, যে ধর্ম মানবতা, ক্ষমা, ঔদার্য, সহমর্মিতা, সহানুভুতি, বন্ধুত্ব নামক বস্তাপচা শব্দগুলোকে প্রত্যাখ্যান করেছে।
পৃথিবীর কোনোও ধর্মগ্রন্থ বলেনাই নিরীহ মানুষকে হত্যার কথা, বলেনাই প্রতিশোধ নেবার কথা, বলে নাই বিচারে পক্ষপাতিত্ব করার কথা। তাহলে এ কোন ধর্ম যা সবাই মেনে চলছে এখন??  “মানুষ কখনো ধর্মীয় গ্রন্থ থেকে মূল্যবোধ লাভ করে না, বরং তারা তাদের মূল্যবোধ ধর্মীয় গ্রন্থে প্রবেশ করায়” । মাইনোরিটিরা সব সময় সেকুলারই হয় এবং সেইটার ও ভালো কারন আছে। ভারতের মুসলিমরা সেকুলার, বাংলাদেশ ও পাকিস্তান এ হিন্দুরা সেকুলার, পশ্চিমা বিশ্বে মুসলিমরা সেকুলার । সেইটা ক্ষমতার অভাবে নাকি মূল্যবোধের কারণে !?? হিন্দু ও খ্রিস্টান ধর্মও এক সময় অন্ধকারযুগ পার করেছে, ( ষষ্ঠ শতাব্দীর কথা মনে করিয়ে দিতে চাই) এইসব ধর্মের নামে অনেক সামাজিক অনাচার চালানো হয়েছে, অনেক মানুষ মারা হয়েছে।

Sunday, November 15, 2015

ফ্রান্সের জন্য সমবেদনা

ফেসবুকে তেরঙ্গা পর্দা লাগানো কিছু প্রোফাইল পিকচার দেখে চিন্তায় পড়ে গেছিলাম। বিশ্বব্যাপী মুসলিমদের সন্ত্রাসী বিবেচনা করা হয়, আইএস এর কারণে তা প্রমানিতই থেকে যাচ্ছে। আর নামের কারণে কত নিরাপরাধ মুসলমানকে এয়ারপোর্ট বা বিভিন্ন যায়গায় হয়রানির শিকার হতে হচ্ছে। শাহরুখ খান এবং এ পি জে আব্দুল কালাম ও হয়রানির শিকার হয়েছেন। তাদের মত উচ্চ পর্যায়ের লোক যদি অসম্মানিত হন তা অন্যদের অবস্থা কি হতে পারে? ! ঠিকআছে, কিন্তু আমরা কি করতে পারি? হাতে শুধু কী-বোর্ড আছে, তবু কি লেখতে পারি? কত রকমের চোখরাঙানি! তবুও নিরাপরাধ মানুষের মৃত্যু কষ্ট দেয়,স্বজনহারার হাহাকার চোখ ভিজিয়ে দেয়। একবিংশ শতাব্দীর দুর্বল ঈমানের মানুষ আমরা। আমাদের পক্ষে যা করা সম্ভব তাই করি। অপরাধীদের জন্য ঘৃণা আর ক্ষতিগ্রস্থদের জন্য আন্তরিক সমবেদনা। আর কয়েকটা দিনেরাতে জন্য ফেসবুক প্রোফাইল ফটোয় তেরঙ্গা পরদা, এই তো.....!!


পাপী কে ঘৃণা করো, পাপ কে নয়!

“Why should I apologize for the monster I’ve become? No one ever apologized for making me this way.”

আমি সেই শয়তান, আমি সেই পাপী, যে এক দেবীকে বিপথে চালিয়েছিল। – ভাবলুম, এই ভুবনব্যাপী যুদ্ধে যে-কোনো দিকে যোগ দিয়ে যত শিগগির পারি এই পাপ-জীবনের অবসান করে দিই। তারপর? তারপর আর কী? যা সব পাপীদের হয়, আমারও হবে।
পাপী যদি সাজা পায়, তা হলে সে এই বলে শান্তি পায় যে তার উপর অবিচার করা হচ্ছে না, এই শাস্তিই যে তার প্রাপ্য। কিন্তু শাস্তি না পেলে ভিতরের বিবেকের যে দংশন, তা নরক-যন্ত্রণার চেয়ে অনেক বেশি ভয়ানক।
যা ভাবলুম, তা আর হল কই! ঘুরতে ঘুরতে শেষে এই মুক্তিসেবক সৈন্যদলের দলে যোগ দিলুম। এ পরদেশিকে তাদের দলে আসতে দেখে এই সৈন্যদল খুব উৎফুল্ল হয়েছে। এরা মনে করছে, এদের এই মহান নিঃস্বার্থ ইচ্ছা বিশ্বের অন্তরে অন্তরে শক্তি সঞ্চয় করছে। আমায় আদর করে এদের দলে নিয়ে এরা বুঝিয়ে দিলে যে কত মহাপ্রাণতা আর পবিত্র নিঃস্বার্থপরতা-প্রণোদিত হয়ে তারা উৎপীড়িত বিশ্ববাসীর পক্ষ নিয়ে অত্যাচারের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করছে, – এবং আমিও সেই মহান ব্যক্তিসংঘের একজন। আমার কালো বুকে অনেকটা তৃপ্তির আলোক পেলুম! –
খোদা, আজ আমি বুঝতে পারলুম, পাপীকেও তুমি ঘৃণা কর না, দয়া কর। তার জন্যেও সব পথই খোলা রেখে দিয়েছ। পাপীর জীবনেরও দরকার আছে। তা দিয়েও মঙ্গলের সলতে জ্বালানো যায়। সে ঘৃণ্য অস্পৃশ্য নয়!

Thursday, November 12, 2015

"পাছায় লাথি ও স্রিতিবিভ্রাট " ?

কোপাকুপি ইজ অন। কি চমৎকার একটা ব্যাপার, তাইনা? আমরা বেশ শান্তিতেই আছি। কোপাকুপি চলছে তাতে আমাদের কি? আসলেই তো। নিজের পশ্চাদ্দেশ যতক্ষণ অক্ষত থাকে ততক্ষণ আসলেই কিছু না। কিন্তু তারপর?
খরার মৌসুমে এক মুঠো চিড়েকেই বাসমতী চালের পোলাওরূপে গণ্য করতে হবে- বুদ্ধিমানেরা তাই করে। কারন দেয়ালে পিঠ ঠেকে যাওয়া মানুষের সনাতন Survival Instinct কখনো ভুল পরামর্শ দেয় না।আমার লেখা গুলো এমনি এমনি লেখা, তাতে এমন কী যায় আসে?!কত কথা মনের মধ্যে পুষে রাখি, কত আবোল-তাবোল , কিন্তু আসল কথাটিই যেন বলা হয় না! আমার শুধু আছে কল্পনার সুখ, আর তো কিছু নেই। বেশি কল্পনা কোরে ফেললাম কি?

অাত্নকথন- ট্রানজিশন পিরিয়ড

আমি বা আমার সমবয়সীদের মধ্যে কেউ কেউ  এখন একটা ট্রানজিশন পিরিয়ডের মধ্য দিয়ে যাচ্ছি। বয়স সবার তিরিশ , বা তার চেয়ে দু’এক ঘর এদিক-ওদিক। এই বয়সে এসে “আগের জেনারেশন” এবং “পরের জেনারেশন”, দুটোকেই সামলাতে হয়। সেটা অবশ্যই বিরাট এক ধৈর্য্য পরীক্ষা। অন্তত আমার কাছে তাই মনে হয়। মাঝে মাঝে যে মন খারাপ হয় না, বা উভয় সংকটে পড়তে হয় না, তা মনে হয় কেউই বলবে না। মাঝে মাঝে হয়তো প্রচণ্ড কাজের চাপে, কিংবা পারিবারিক দায়িত্ববোধের ঠেলায়, কিংবা পারিপার্শ্বিক বিভিন্ন বিষয়ের ব্যালান্স ঠিক রাখতে গিয়ে হিমশিমও খেতে হয়। এই বয়সের একজন পুরুষ মানুষের কান্নাকাটি করাটা বেমানান, কিন্তু অনেক সময় তো মনে হয়, ঘরবাড়ি ছেড়ে দূরে কোথাও গিয়ে একা কিছুক্ষণ হাউমাউ করে কাঁদতে পারলে ভাল হতো। কিন্তু সেটাও সম্ভব না;  এ সব কিছু কি জীবন থেকে ঝেড়ে ফেলে স্বাধীনভাবে থাকা যায়? নাকি সেভাবে থাকা উচিত? আর যদি এটা ফিল করি যে, কেউ না কেউ আমার বা আমাদের উপরে ডিপেণ্ডেন্ট, যেমন আমিও একসময় ছিলাম, এবং কেউ না কেউ আমাকে তৈরি করার জন্য বা আমার আরাম-আয়েশের জন্য এভাবেই তাঁদের ও এই একই রকমের অবস্থার মধ্য দিয়ে গেছেন, তাহলেই সব ঠিক। কথাটা সান্তনামূলক শোনালেও, আমার কাছে মনে হয়েছে, এই সেলফ-মোটিভেশন বা সেলফ-কাউন্সিলিংটুকু আমার মতন কারো জন্য আসলেই ভীষণ দরকার। এভাবে  কয়েক বছর পার করে দিলে অভ্যস্ত হয়ে যাবো।

সব সঞ্চয় ঝুলি ভোরে নিতে মন চায়।
যদিও জানি, “আমার সঞ্চয় দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।।”

Point of the falls

জীবন- ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র না পাওয়ার বেদনাগুলোর এলোমেলো পথ চলার নামই কি নয়? কারো কারো ক্ষেত্রে ভিন্নতা থাকলেও, অহংকার যাদের জীবনে অলংকারের মত জড়িয়ে থাকে, তাদের জীবনে বেশীরভাগ পথই এমন এলোমেলো চলতে হয়।।
ইচ্ছের ডানা হয়তো বা বাঁধ মানে না। না মানারই কথা। কিন্তু সময়মত লাগামহীন ইচ্ছেগুলোর রাশটা মনে হয় শক্ত হাতে এবং নির্মম ভাবেই টানা উচিত। গর্তের মুখে গিয়ে ব্রেক না কষে, যেখানে “সামনে গর্ত” লেখা আছে, সেখান থেকেই প্রস্তুতি থাকলে মনে হয় ভাল হয়। যারা একটা ডিসিপ্লিণ্ড লাইফ স্টাইলে নিজেকে বাঁধতে পেরেছেন, তাদের দেখে সত্যিকারর্থেই ঈর্ষাণ্বিত হই। কারন আমিও যে এক না-ধোয়া তুলসি পাতা, বুকের ভেতরে কেমন যেন মোচড় দিয়ে ওঠে, “আহারে!”

"জীবনকে ক্ষ্যাপা ষাঁড়ের শিঙে
আমূল বিদ্ধ করে
দেখতে চেয়েছিলাম
কতোটা রক্তপাত ধারন করে
তার লৌকিক শরীর !"

Thursday, November 5, 2015

Where to draw the line....

কিছু কিছু দেখা না হলেই বুঝি ভাল হতো ……………
কিছু কিছু পরিচয় না হলেই বুঝি ভাল হতো ……………
কিছু কিছু সঙ্গী না পেলেই বুঝি ভাল হতো ………
কিছু কিছু ঘটনা না ঘটলেই বুঝি ভাল হতো ……………
কিছু কিছু দিন না আসলেই বুঝি ভাল হতো ……………
 কিছু কিছু অ্যাডভেঞ্চার না করলেই বুঝি বেশি ভাল হতো ……

কেমন হতো যদি এমন হতো ????

“সকালের মাখন বিকেলে খাওয়া যায় না”।

Tired of being nice to people who don't deserve it.

আমার সীমাবদ্ধতার কোন সীমা নেই।

 আরে ভাই টাকায় বাঘের দুধও মেলে...
বিশিষ্ট ভাববাদী যারা সিনেমার নায়কের মত জামার উপরের দুইটা বোতাম খুইলা চিক্কুর মাইরা ন্যাকা ন্যাকা সুরে কয়- ' টাকা দিয়ে সুখ কেনা যায় না' তারা আসলে জানেই না শপিং এ কই যাইতে হয়, কোন দোকানের বার্গার টা বেস্ট, ইউরোপ ট্যুরে খরচ কত...
আমি স্বল্প বেতনভুক্ত চাকরিজীবী।
আপাতত মানি ব্যাগ এ হাত রাখার সাহস পর্যন্ত নাই, এর চেয়ে বনে বসে বট বৃক্ষের পা ধরে কান্নাকাটি করা ঢের ভালো।

Stuff Duties in the Field

আমি যদি কর্পোরেট কামলা না হয়ে ওদের মতো সৈনিক হতাম, তাহলে রাতের বিভিন্ন প্রহরে যে বিভিন্ন কীটপতঙ্গ, ঝিঁঝিঁ পোকাদের শব্দ বদলে যায় সেটা শুনতে পারতাম! এমনকি রাতের বেলায় শেয়ালেরাও যে কেমন বাঘের মতন বীরবিক্রমে চলাফেরা করে তা দেখতে পারতাম! জীবনের এই অংশটা আমার আর আমার মতো যারা তাদের কাছে অজানাই থেকে যাবে!” আমি নিশ্চুপ!

সাগর রাখেনা জমা সব সাতারের দাগ

কিছু মানুষ অতীত নিয়ে পড়ে থাকে, অনেক চিন্তা করে দেখলাম আমিও মনে হয় সেই দলে। শীত আসছে, আর সেই সময়ে আমিও শীত আগে কেমন ছিল সেই চিন্তায় পড়ে আছি। সকাল বেলায় বের হতেই হালকা যেই বাতাসটা গায়ে লাগে সেই বাতাসটা কত বছর আগের ঠিক কোন সময়কার কথা মনে করিয়ে দেয় সেই হিসাব খুলে বসি। বলা চলে, নিজের অজান্তেই এসব শুরু হয়।
BMA তে যাবার পর প্রথম সাত দিনে সর্ব মোট তিন থেকে সাড়ে তিন ঘণ্টা ঘুমানোর সৌভাগ্য হয়েছিলো। একজন সিনিয়ারও প্রতি রাতেই পেট ভর্তি আনন্দ নিয়ে মনের সুখে রাত জেগে পানিশমেন্ট দিতেন। সারা রাত ধরে চলতো সেই ভূতুরে কান্ড। রাত তিনটার দিকে তিনি আমাদের ছাড়তেন। আমরা ৩০ থেকে ৪০ মিনিটের জন্য ঘুমানোর সুযোগ পেতাম। ঘড়িতে ভোর চারটা বাজার এটলিস্ট ১০ মিনিট আগেই আমরা উঠে যেতাম সকালের পিটি জয়েন করার প্রিপারেশনের জন্য...
দৈনিক আধা ঘণ্টা ঘুমিয়ে মানুষ বাঁচতে পারে, এই তথ্য BMA তে যাবার পর জানতে পারলাম। পৃথিবীতে অনেক মানুষ আছে, দামী বিছানায়ও যারা ওষুধের পর ওষুধ খেয়ে গড়াগড়ি করেও ঘুমাতে পারে না। আলহামদুলিল্লাহ্‌, আমাদের এই সমস্যা কখনো হতো না...
আমরা নাস্তার টেবিলে পরোটা ছিঁড়তে ছিঁড়তে ঘুমিয়ে পড়তাম। ক্লাসে ঘুমাতাম। ক্লাসের ফাকে মাঠে কাদার মধ্যে ফ্রন্ট রোল দিতে দিতে ঘুমিয়ে পড়তাম। প্যারেডে মার্চ পাস্টের মাঝ খানে হুট করে মূর্তির মত দাঁড়িয়ে ঘুমিয়ে পড়তাম।
ঘুমাতাম পরীক্ষার হলে, ১ নং প্রশ্নের উত্তর কথাটা লিখে তার নিচে আন্ডার লাইন করতে করতেই। ঘুমাতাম ড্রেনে , ডিচে পানিসমেন্ট এর জন্য মধ্য রাতে নামিয়ে দিলে...[ফিরে যাই জাহাঙ্গীর কম্পানির কুখ্যাত ড্রেনে]
ঘুমানোর সবচেয়ে আদর্শ জায়গা বোধ হয় ছিলো মসজিদ। রোজার সময় , আতর মেখে ফুলবাবু হয়ে সবাই মসজিদে হাজির। শুরু হলো তারাবির নামাজ। প্রথম রাকাতে সেজদা দিয়ে উঠে চোখের পেরিফেরিয়াল ভিউতে দেখতে পেলাম আমাদের মধ্যে অর্ধেক মুসল্লি সেজাদায় গিয়ে আর উঠে নাই (ঘুমিয়ে পড়েছে)। কারো কোন খবর নাই। সারাদিনের কষ্টের পর সবাই ঘুমে অচেতন। একটু পর দেখলাম ধুপ করে একটা শব্দ হলো। তার পর ধুপ করে আরেকটা শব্দ। আমাদের মধ্যে দুইজন দাঁড়িয়ে ঘুমাতে ঘুমাতে ব্যালেন্স হারিয়ে ধুপ করে মসজিদের ফ্লোরে পড়ে গেছে। তার একটু পড়েই দেখলাম নাক ডাকার গর্জন। পাশের জন মনের সুখে নাক ডাকছে। ইহো জগতের সাথে তার কোন যোগাযোগ আছে বলে মনে হলো না। আমি নামাজে দাড়িয়েই সেজদায় যাওয়ার জন্য অপেক্ষা করতে লাগলাম। ঘুমে চোখ ফেটে আসছে। সারাদিনের ট্রেনিং এর ক্লান্তি, সিনিয়ারের  পানিসমেন্ট, পেটের ক্ষুধা, সব মিলিয়ে চূড়ান্ত হ-য-ব-র-ল অবস্থা...
অতপর একসময় সেজদায় গেলাম। অনেকেই সেজদা থেকে উঠলো। আমি সেজদায় পড়ে রইলাম। সেজদায় ছিলাম প্রায় ৫০ মিনিটের মত। নামাজ শেষ হবার পর স্টাফের চিল্লাচিল্লি তে ঘুম ভাংলো...(আলতাফ স্টাফ)
মসজিদে ঘুমানোর অপরাধে মসজিদ থেকে বের হয়েই আমাদের উপর নাজিল হলো অমানুষিক আজাব আর গজব! নিত্যদিনের আজাব গজবে আমরা অভ্যস্তই ছিলাম। তাই যখন মসজিদ থেকে বের হয়েই স্টাফ বললেন- ‘মকড়া ক্যাডেট! মকরামি করতে আসছেন?? ৫০০ ফ্রন্ট রোল লাগান!’- আমি তখন হাসি মুখে পাঞ্জাবির হাতা ভাজ করতে করতে ফ্রন্ট রোল শুরু করলাম।পেছনে তাকিয়ে শুধু দেখতে পেলাম আমার সাথেই ফ্রন্ট রোল দিয়ে আসছে এক বিশাল মিছিল।সবার মনেই আনন্দ।
ঘাস পোকাকে আমরা শয়তানের ঘোড়া বলতাম, যখন শয়ে শয়ে শয়তানের ঘোড়া আমাদের নাগালে এসে ধরা দিত, ধরে ধরে আমরা স্ফটড্রিংকের ক্যানে ভর্তি করতাম। সময় বুঝে-বন্ধুর মশারীর ভিতর ছেড়ে আনন্দলাভ করতাম।
আসলে ডিফেন্স একাডেমীগুলা এমন, ঐখানে মন খারাপ করে থাকার কোন অপশান নাই। লাইফের অনেক বড় বড় বিপর্যয়েও নিশ্চিন্তে হাসি মুখে আনন্দ ফুর্তি কারাটা আমাদের কাছে নিতান্তই একটা দুধ ভাত ব্যাপার!!লাইফে একটা সময় আমরা অনেক কষ্ট করেছি। তাই এখন আমাদের জীবনে আর কোন দুঃখ কষ্টই নাই! রিজিকের সব দুঃখ কষ্ট বোধ হয় ঐ সময়েই শেষ।। এখন শুধুই আনন্দ। সেই আনন্দলাভে আগুন জ্বেলে হারাধনের বাপ আজকে আমাদের কয়েক হাত দেখে নিচ্ছেন । আহা!! এখনো আমরা প্রতিদিন একটু একটু মানুষ হয়ে ওঠার চেষ্টা করি। ভাদাইম্যা পোলার আসুন সবাই বলিঃ সব্বে সত্তা সুখিতা হন্তু।

“Patriotism turns a zero into a hero, a murderer into a martyr and a sinner into a sain"

(Ref: আলি কুলি লুচ্চার উপন্যাস চিকা মারার ইতিহাস হতে সংগ্রিহীত।)

Sunday, November 1, 2015

যে যাই বোলুক বা কোরুক, আমরা বেশি কিছু বোলি না

শরৎচন্দ্রের শ্রীকান্ত উপন্যাসের একটি ঘটনা – জাহাজেচেপে রেঙ্গুন যাচ্ছেন শ্রীকান্ত। জাহাজের ইংরেজ ডাক্তার সব সময় বাঙালী খালাশীদের দেখলেই অকাতরে লাথি-চড়-থাপ্পড় মারতেন। না পেরে একদিন ডাক্তারের কাছে তাঁর এহেন আচরনের ব্যাখ্যা চাইলেন শ্রীকান্ত। ডাক্তার দাবী করলেন, এমনটি করলেই নাকি ওই বাঙালীরা খুশি হয়। শ্রীকান্তর তীব্র আপত্তি-উষ্মার প্রেক্ষিতে ডাক্তার তাকে নিয়ে গেলেন জাহাজের ডেক এ। চার-পাঁচ জন বাঙালী খালাশী সেখানে কাজ করছিল। ডাক্তার গিয়ে তাদের পশ্চাদ্দেশে দমাদম কয়েকটা লাথি মারলেন। ওরা দাঁত বের করে হি হি করে হাসতে লাগলো। আরও কয়েক দফা লাথি-চড় মারার পরে শ্রীকান্তকে বলল, এখন প্রমান হল তো? যে যেটার উপযুক্ত, তাকেসেটাই দিতে হয়! ক্ষিপ্ত-বিমর্ষ-হতাশ-বাকরুদ্ধ শ্রীকান্তকে রেখে ডাক্তার চলে গেলেন। খালশীর দল তখনও পশ্চাদ্দেশ মালিশ করছে আর নিজেদের মধ্যে ফ্যা ফ্যা করে হাসাহাসি করছে। শ্রীকান্ত তখন স্থীর থাকতে না পেরে ধমক দিয়ে বললেন – “হাসছিস কেন বেহায়ার দল! লজ্জা করে না?” – আর যাবে কোথায়? সাথে সাথে তাদের পৌরুষত্ব জেগে উঠলো, মানবাধিকারে তীব্র আঘাত লেগে গেল! ডাক্তার লাথি মেরেছে, আরওহাজার বার মারবে। কিন্তু সেটানিয়ে অপমান করার তুমি কে হে? এবং এহেন অপমানের দাঁত-ভাঙ্গাজবাব দেবার জন্য দাঁত-মুখ খিঁচিয়ে সদলবলে তেড়ে এল শ্রীকান্তর দিকে। সেযাত্রায় তাকে দৌড়ে পালিয়ে মান বাঁচাতেহয়েছিল কিনা ঠিক মনে করতে পারছি না। জাহাজের সেইখালাশীরা আজ ঝাড়ে-বংশে বৃদ্ধিপেয়ে সংখ্যায় অনেক হয়েছে। সমাজের উচ্চ-শিক্ষিত মহলেও তাঁদের কমতি নেই। তাঁরা ঝাঁপিয়ে পড়েন, জ্ঞান-গর্ভ বক্তৃতা লেখালেখি করেন। সত্য-মিথ্যা মিলিয়ে যুক্তি-তত্ত্ব-তথ্য দেন। তবে আসল কথা হল, পরিবেশ-পরিস্থিতি এবং সদিচ্ছার হেরফেরের কারনে একই আচরনে ভিন্ন ফলও হতে পারে। ভুরি ভুরি উদাহরন আছে ইতিহাসে। ওরাযখন কাটতে কাটতে ইস্টার আইল্যান্ডের শেষ গাছটাও কেটে ফেলল তখন সেখানকার আম জনতাও হয়তো বেশী কিছু না বলেই তা মেনে নিয়েছিলেন। আবার মাহাথির যখন গণতন্ত্র, বাক-স্বাধীনতা – এসবকে বছরের পর বছর কাঁচকলা দেখিয়ে তিলে তিলে দেশটাকে উন্নতির চরমে নিয়ে যাচ্ছিলেন, তখনও মালয়েশিয়ার আম জনতা বেশী কিছুনা বলেই তা মেনে নিয়েছিলেন। আমি আশাবাদী মানুষ, আশা করতে চাই, আমাদের এই বেশী কিছু না বলার অভ্যাসটা দীর্ঘমেয়াদে আমাদের জন্য ভালো কিছু বয়ে আনুক।

Saturday, October 31, 2015

দু ফোটা মুত্রদানের ইতিকথা

আমি ওয়াসরুমে বন্দী। হাতে একটা শিশি। রিপোর্ট আর ফরমালিটিজ এর জন্য মেডিক্যাল করতে হয়। আমাকে মুত্র পরীক্ষার জন্য দুই ফোঁটা মুত্র অনুদান করতে বলা হয়েছে।কিন্তু, কি বিপদ।। আমার সঞ্চয়ে বিন্দু মাত্র মুত্র নেই। আমি শিশি হাতে মেডিকেল এর ওয়াসরুমে ক্যাবলা কান্তের মত দাঁড়িয়ে আছি।
আমার জন্যে সবাই ওয়েট কোরছে! সাড়ে নয়টায় চেকঅাপ। এখন নয়টা পনেরো বাজে। ৫ মিনিটের মধ্যে মুত্র বিসর্জন করতে না পারলে ফলইন মিস কোরবো, কেয়ামত হয়ে যাবে। মেডিক্যাল রিপোর্ট এর আজকেই শেষ তারিখ।।আমি প্রাণ পনে চেষ্টা করছি। জল বিয়োজনের কোন লক্ষন দেখা যাচ্ছে না। পাশের টয়লেটে মুত্র বিসর্জনের মৃদু ধ্বনি শুনতে পাচ্ছি।
আচ্ছা!! আমি কি টোকা দিয়ে বলবো- “ হ্যালো, ব্রাদার!! আপনার কাছে দুই ফুটো মুত্র ধার হবে??” মরণঘাতি আইডিয়া। আরেক জনের কাছ থেকে ধার নিয়ে শেয়ার করে মুত্র পরীক্ষার জন্য ঐ হলুদ তরল ল্যাবে পাঠানোর ব্যাপারটা বড়ই কুরুচিকর। কিন্তু উপায় কি??আমি শূন্য শিশি নিয়ে বেড়িয়ে আসলাম।
বেসিনের কাছে জানালার রেলিং এ দেখতে পেলাম অনেকে নিজের নামের ট্যাগ লাগিয়ে বিভিন্নি সাইজের বোতলে মুত্র দান করে গেছে। দুই একটা বোতলের শিশি খুলে কিছুটা আমার বোতলে নিয়ে পরীক্ষার জন্য ল্যাবে পাঠিয়ে দেওয়া যায়। হাতে একদম সময় নেই।। সবাই তো ওয়েট করছে। একটু পড়েই চেকআপ।
আমি বেসিনের কাছে গিয়ে শিশি তে দুই ফোটা জল ভরলাম। আমি নিরুপায়। কিছু করার নেই। পাশের টয়লেট থেকে আবারো কোন এক ভদ্র লোকের মুত্র বিসর্জনের শব্দ আসছে। সমস্যা কি?? মানুষের এতো মুত্র আসে কোত্থেকে??
আমি পানি ভর্তি শিশি নিয়ে পায়চারি করছি। আচ্ছা, আমি কি ওয়াস রুমে সত্যিই টোকা দিয়ে বলবো- ‘ হ্যালো ব্রাদার! আপনার কাছে, দুই ফোঁটা মুত্র ধার হবে? আপনার শিশিটা দিলেই চলবে, ঐখানে থেকে আমি হাফ নিজের শিশিতে ঢেলে নিচ্ছি’, আমি আবার ওয়াস রুমে ঢুকলাম। নিরুপায় মনে হচ্ছে নিজেকে। হাতে পানি ভর্তি শিশি। আমি পানি ফেলে দিলাম। পাশের ওয়াস রুম থেকে আবারো মুত্র বিসর্জনের মায়াবী শব্দ আসছি। এক ধরনের সুর মূর্ছনা টাইপ। জল তরঙ্গের অদ্ভুত এক সুর ঝঙ্কার। আমি মোহাচ্ছন্ন হয়ে প্রায় ঘুমিয়ে পড়ছি... আধা ঘণ্টা পরের কথা। আমার অবস্থান মেডিকেলের ফ্লাট বেডে। চোখের সামনে সাদা পর্দা। আমি হাওয়া খেতে  জানালা আরেকটু খুলে দিলাম।
আহা!! মৃদু বাতাসের ছাঁট গায়ে এসে লাগছে। অদ্ভুতুরে কারনে অনেক দূরে কোথাও থেকে মুত্র বিসর্জনের শব্দ আসছে। আর আমি ঘুমিয়ে পড়ছি। একটু একটু করে।।  শনির দশায় পড়ার পরেও কারো দিন ভালো গেছে এরকম নজির তো তাবৎ পাঁজি-পুঁথি ঘেঁটেও কোথাও পাই না। আমার বেলায় ব্যতিক্রম হবে কেন? জানি না, এরপর কবি গুরু রবীন্দ্রনাথের প্রেতাত্মাও হয়তো শ্মশান ঘাট থেকে চিক্কুর মেরে বলে উঠলেন- ‘ মারিয়া লও, আমাকে মারিয়া লও…’

Do not sell yourself to anybod

আমি সাম্প্রতিক কালের কথা বলছি,
আজ্ঞাবাহী দাস, আইনজ্ঞ-বুদ্ধিজীবি,
আমার অগ্রজ, রাজনৈতিক নেতানেত্রী,
শিক্ষক আর সাংবাদিকদের কথা বলছি,
যাদের করতলেও মোহরের মুষ্টিবদ্ধ প্রলোভন ছিলো.....!

ক্ষমতার অংশীদারিত্বে বাংলাদেশের অধিকাংশ বুদ্ধিজীবীরা এখন আজ্ঞাবহ, ভারবাহী, মেরুদন্ডহীন মানুষে পরিণত হয়ে গেছেন। আমাদের চারপাশে তিন শ্রেণীর মানুষ আছেন যারা আপাত-প্রগতিশীলতার মুখোশে প্রতিক্রিয়াশীলতাকেই লালন করে চলেছেন। কেউ কেউ পরিশীলিত বাচনভঙ্গীর সুকৌশলে, কেউবা নির্লজ্জ-নগ্নতার বেশে, আবার কেউ কেউ আছেন অনেকটা “হতভম্ব-বোকার” মত এই প্র্যাকটিসটি করে চলেছেন…

Easy Money, Easy Distruction

ভাবছিলাম, শততম ব্লগটি কি নিয়ে লিখবো?
চোখের সামনে ঘটে যেতে থাকা বিষয়  গুলো ভাবায় মাঝে মধ্যে।যার অন্যতম হচ্ছে, "Easy Money & Easy Drug".মাদক ও অর্থের সহজ লভ্যতা। – ভাবলাম, সেটা নিয়েই লিখি…

 সহজলভ্যতা আর সামগ্রিক প্রভাবের কথা যদি বলি তাহলে আমাদের দেশের প্রেক্ষাপটে ফেন্সিডিল বা ইয়াবা অন্যান্য যে কোন ড্রাগের চাইতে বেশি শক্তিশালী ও ভয়াবহ”। বিগত কয়েক বছরের ইয়াবার চালান ধরা পড়ার যে পরিসংখ্যান তা শুরু হয়েছিল মাত্র ৪০ হাজার দিয়ে। আর এই বছর তা কোটির ঘর ছুঁই ছুঁই কোরছে। সারা দেশতো বটেই বিশেষ করে রাজধানী ঢাকার অবস্থা বেশি সঙ্গীন।

মাদক নিরাময় কেন্দ্রে চিকিৎসারত এক কিশোর প্রতিদিন তিন বোতল ফেন্সিডিলে অভ্যস্ত ছিল। অনুসন্ধানে বের হয়ে আসল তার বাবা তাকে প্রতিদিন ২০০০ টাকা করে হাত খরচ দিতেন!! বাবা মা যদি বাচ্চার মাথায় কোন রকমে ঢুকিয়ে দেন যে, “টাকা পয়সা ইজ নট এ প্রবলেম” – তাহলে নিশ্চিত থাকা যায় যে সেটাই সকল প্রবলেমের ভিত্তি হতে যাচ্ছে। মনে পড়ে গেল, “অর্থই সকল অনর্থের মূল”।

না চাইতেই পাওয়া জিনিসে বাচ্চা তো বাচ্চা, বড় মানুষও দাম দিতে শেখে না, মর্মটাই বোঝে না। কষ্ট করে পাওয়া যে কোন জিনিস বা অর্জনে আনন্দ থাকে শতভাগ। মানুষ তাতে এ্যাপ্রিশিয়েট করতে শেখে।

'Inside Every Person You Know, There Is Someone You Don't Know'


কিছু কিছু মানুষকে অকারনে ভালো লাগে। ব্যাকরণহীন ভালো লাগা। অনেকটা নিপাতনে সিদ্ধ টাইপ, নিয়মহীন, ছন্ন ছাড়া...।গানিতিক সুত্রে এই ভালো লাগার কোন ব্যাখ্যা নেই। কোন লজিক নেই। পরাবাস্তব এক ধরনের ভালো লাগা। ধোঁওয়া ধোঁওয়া...
এই ধরনের ভালো লাগায় প্রত্যাশার মার প্যাচ নেই। দিনে শেষে খাতা খুলে প্রাপ্তির হিসাব নিকাসের ঝামেলা নেই। এক ধরনের অদ্ভুতুরে ব্যাপার । খানিকটা বায়বীয়। খালি চোখে দেখা যায় না, কিন্তু বোতল বন্দী করে অনেক দিন রেখে দিলে ঠিকই কাঁচের দেওয়ালে ধোঁওয়াটে দাগ পড়ে।।প্রফেশনটা এমন, যেখানে প্রতিদিনই নতুন নতুন মানুষের সাথে কথা হয়। কারো কথা বুঝি, কারো টা বুঝিও না। কেউ থাকে এক নিঃশ্বাস দূরে, কারো সাথে দূরত্ব এক মহাদেশের...
দিনে দিনে অকারনে ভালো লাগা মানুষ গুলোর সংখ্যা বাড়তে থাকে। সময়ের সাথে কেউ কেউ আবার হারিয়েও যায়, কেউ কেউ হারিয়ে গিয়েও থেকে যায় এক নিঃশ্বাস দূরে... সবার অজান্তে।।

Friday, October 23, 2015

এই জীবন লইয়া আমি কি করিব? এ জীবন লইয়া কি করিতে হয়??

স্বপ্ন দেখার সক্ষমতাই সম্ভবত মনুষ্য জীবের সবচেয়ে তাৎপর্যপূর্ণ স্বাতন্ত্র। স্বপ্ন দেখতে পারে বলে মানুষ নিয়ত নির্মাণ করে আপন স্বভাব, সভ্যতা, সৌকর্য;এই আমাদের জীবন।উন্নতির পিছে ছুটে চলতে গিয়ে আকাক্ষিত অনুভূতিগুলোকে হারিয়ে ফেলা, কঠিন কঠোর বাস্তবতা আর মানবসৃষ্ট সমাজের নিয়মের বেড়াজাল ।ভারসাম্যহীন সেই সমাজের অন্ধকারে মানুষের স্বাধীনতা নামক আকাঙ্খাকে হারিয়ে খোজা।নিরন্তর বয়ে চলা জীবন স্রোতের গতিতে মানুষ নামক শ্রেষ্ঠ প্রাণীর অস্তিত্বের লড়াই। হৃদয় আর মস্তিস্কের অনুশাসিত হবার গল্প।আবেগ ও চিন্তা ভাবনাকে নির্দিষ্ট ব্যাসার্ধে আবদ্ধ করে ফেলার প্রক্রিয়া  । তারপর ও সুড়ঙ্গের শেষ মাথায় আলোর প্রত্যাশার মতই  সুন্দর আগামীকালের স্বপ্নে বিভোর হয়ে কালযাপন করা।কে জানে?হয়তো, আলো আসবেই!
এভাবে আগামীকালের হিসাব করতে করতে  দেখি কতোগুলো বছর কেটে গেলো!!? 

'একজন কোক ও এক গ্লাস ভূত'

আমি কিছু কিছু মানুষকে কারন ছাড়া পছন্দ করি। কারনে পছন্দ করার চেয়ে একটা মানুষকে অকারনে পছন্দ করা আমার জন্য সহজ।। কারন বিহীন পছন্দের মানুষগুলো খুব অদ্ভুত হয়! এরা হুট হাট করে উদয় হয়। ভূতের মত ধুপ করে আবার হাওয়ায় মিলিয়ে যায়। আমি হাসি মুখে তাদের বিদায় দেই। তাদের চলে যাওয়া আমি চাই না। তবু শান্ত চোখে তাদের বিদায় দিতে হয় (অথবা আমি নিজেই বিদায় নেই)।। হঠাৎ কোন এক মন খারাপ করা ঝড়ের রাতে তাদের কথা মনে পড়ে। আমি মুখ ভর্তি হাসি নিয়ে তাদের জন্য প্রার্থনা করি।। জগতের কারন বিহীন ভালো লাগার মানুষগুলা ভালো থাক। ভুতুরে সত্ত্বার বাইরে তাদের অদ্ভুতুরে স্বভাব গুলো, কোন এক ঝড়ের রাতে আবারো দলছুট মেঘ হয়ে ছুয়ে যাক... My life is pretty much simple! I don't hold any grudges. I don't complain! I don't harm, I don't hate.. .. I just smile & don't look back!!
Sometimes the bad things that happen in our lives put us directly on the path to the best things that will ever happen to us!
The true mark of maturity is when somebody hurts you and you try to understand their situation instead of trying to hurt them back. I like people  who've seen me at my worststill believe that I'm the best.
Thanks Everyone!! No matter How Much You Love Me Or How Worst You Hate!!!

Saturday, October 17, 2015

পাঁজি পুঁথি


পাঁজি হাতের পন্ডিতি
সব সমস্যার বিস্তৃতি,
মুন্ড মাথার দন্ড বিধি
ভূঁড়ি ভোজে নিষ্কৃতি ।
রাজার ধনের যাজ্ঞ্য নীতি
গরীব শোষার রাজ নীতি,
পাপ বিনাসের প্রায়শ্চিতি
সুদক্ষিণায় শুদ্ধ প্রীতি ।
আট প্রহরের দিবা রাতি
সদা চলে ভোগ আরতি,
ভক্তি নাশে ভূল ভ্রান্তি
প্রসাদ নাশে ক্ষুদা ক্লান্তি ।
কালাশৌচের শ্রাদ্ধ শান্তি
উপঢৌকন বাড়ায় কান্তি,
ঠিকুজীর পাঁজি পুঁথি
হাজার রকম বিভ্রান্তি ।
যোগ অ-যোগের রীতি নীতি
পুরহিতের মন্দ ভীতি,
কালান্তরের প্রেম প্রীতি
জাত বেজাতের সম্প্রীতি ।
কুকর্মের ভয় ভীতি
পন্ডিতের উপস্থিতি,
সুসভ্যের জাগৃতি
সংস্কারের আহতি ।

- পরিতোষ ভৌমিক

God Exist

গল্পটা মোটামুটি এরকম – একদিনএক চার্চের ঠিক সামনেই একটা শুঁড়িখানা চালু হল। এহেন দুষ্কর্মে ক্ষুব্ধ হয়ে চার্চের পাদ্রি-পুরুতগন দিন রাত ওই শুঁড়িখানার বিরুদ্ধে ঈশ্বরের কাছে নালিশ দিয়ে প্রার্থনা করতে লাগলেন। তাঁদের লাগাতার বদ-দোয়ার কারনেই হোক কিংবা নিছক কাকতালীয়ভাবেই হোক, কয়েকদিন পরেই বজ্রপাত হয়ে শুঁড়িখানাটি পুড়ে ধ্বংস হয়ে যায়। তখন শুঁড়িখানার মালিক আদালতে গিয়ে চার্চ কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে মামলা ঠুকে দিল। সে বলল, শুঁড়িখানার বিরুদ্ধে এই চার্চের পাদ্রি-পুরুতদের প্রার্থনার কারনেই সেটি ধ্বংস হয়ে গেছে। কিন্তু চার্চ ওয়ালারা এই অভিযোগ মানতে নারাজ। শেষমেশ কোন সুনিশ্চিত সিদ্ধান্তে আসতে না পেরে বিচারক মহোদয় লিখলেন, “মামলাটির রায় দেয়া খুবই কঠিন। কারণ, এখানে এক পক্ষে আছেন এক মদ বিক্রেতা, যিনি প্রার্থনার ক্ষমতায় বিশ্বাসীআর অপর পক্ষে আছে একটি চার্চ ওতার পাদ্রি-পুরোহিত গন, যারা কিনা প্রার্থনার ক্ষমতায় বিশ্বাস করেন না! ”

রূপান্তর

ছেলেগুলো গুছিয়ে কথাও বলতে পারতো না। মেয়েগুলো ওদের গুছিয়ে কথা বলা শেখালো।ছেলেগুলো ভুগতো দারুণ হীনমন্যতায়, মেয়েগুলো ওদের জাতে ওঠালো। ছেলেগুলো প্রায়ই দাঁড়িয়ে থাকতো মেয়েগুলোর স্কুলের পথে। মেয়েগুলো ‘মাধ্যমিকের বাধ্য’ মেয়ে। এড়িয়ে যেতো। ছেলেগুলো মুরগীর রক্ত দিয়ে চিঠি লিখে মেয়েদের নরম মন আরো গলানোর চেষ্টা করতো। ছেলেগুলো অযথাই হাত পা কাটার মিথ্যে অভিনয় করতো। আবার কেউ কেউ প্রেমিকার নামের অদ্যাক্ষর লিখে রাখতো হাতের বাহুতে, এই কাজটি করতে পেরে কেউ কেউ নিজেকে গ্রীক বীর একিলিস ভাবতো। এসব দেখে দেখে মেয়েগুলো একসময় রাজি হয়েও যেত।
এরপর ছেলেগুলো পাল্টে গেলো। দীর্ঘদিন ধরে যে মেয়েগুলোর জন্য তারা পাগলামি করতো, সম্পর্ক দীর্ঘায়িত হলে তারাই একসময় এক ঘেয়েমিতে ভুগতো। মেয়েগুলো বড়ো হলো। সেই সাথে পুরনোও। ছেলেগুলোর চোখে তখন ক্যাম্পাসের নতুন ভর্তি হওয়া তরুণী, ডিপার্টমেন্টের জুনিয়র। সময় বয়ে চললো। যে মেয়েগুলো বাল্যপ্রেমকে সম্মান করে সবাইকে অগ্রাহ্য করলো, একদিন তারাই অগ্রাহ্যের শিকার হলো। তারপর দীর্ঘদিনের সম্পর্ক ভেংগে গেলো। ছেলে গুলো গুছিয়ে কথা বলা শিখলো, প্রেমের ধরণ বুঝলো, তরুণীদের আয়ত্তে আনার কৌশলও শিখে ফেললো। নতুন সম্পর্ক গড়ে দিব্যি ভুলে গেল পুরনো সবকিছুকে। সবকিছুই চললো আগের মতো।
কিন্তু, দীর্ঘদিনের সম্পর্ক ভেংগে যাওয়া তরুণী, ব্যালকনিতে দাড়িয়ে এই আশ্বিনের বৃষ্টিস্নাত রাতে যে অঝোর ধারায় কেঁদেছিল, সে কান্নায় চোখের কাজল লেপ্টে গিয়েছিল কি না, কেউ খোজ রাখলো না………

Friday, October 16, 2015

আত্মহত্যার আগে

মাঝেমাঝে মরে যাওয়ার ইচ্ছে হলে আমাদের মাথায় বিচিত্র সব চিন্তা এসে ভীড় করে। আমরা সিলিং ফ্যানের দিকে তাকিয়ে মেঝের সাথে এর দূরত্বটুকু দেখে ভাবি, কোন এক মধ্যরাতে যদি এক গোছা দড়ি দিয়ে ঝুলেই পড়ি, তাহলে মৃত্যুর সম্ভাবনা কতটুকু। কিংবা কখনো অন্য উপায় খুঁজে পাওয়ার ইচ্ছে জাগে। সমান্তরাল রেল লাইনের বয়ে চলা দেখে কখনো ইচ্ছে হয়, যদি একদিন আত্মঘাতী অভিমান বেড়েই যায়, তাহলে হয়তো এর নিচে কাটা পড়ে মরে যাওয়া যাবে। আমাদের মধ্যে অনেকেই আবার ঘুমের ঔষধ সংগ্রহে রেখে মরে যাওয়ার চেষ্টা করি। কারণ, এতে মরে যাওয়ার সম্ভাবনা না থাকলেও বেচে যেতে যেতে অন্তত এটুকু জানা যায়, কার কার প্রিয় ছিলাম? , বা আদৌ ছিলাম কি না?!।

একলা সময়

ছুটির এইসব একান্ত অবসরে ইদানিং একাকিত্বই ভালো লাগে। একাকিত্বের কাছে সময় চাইলে কখনোই ফিরিয়ে দ্যায় না ও। এছাড়া শহরভর্তী অগুণতি ব্যস্ত মানুষ। কার কাছে সময় চেয়ে বিব্রতকর অবস্থায় পড়ি, তাই একাই এ শহর হেঁটে বেড়ানোর সিদ্ধান্ত নেই

হেঁটে যেতে যেতে দেখা হয় চারুকলার সামনে ভিক্ষা করা সেই বৃদ্ধার সাথে। একই টোনে যে ভিক্ষা চায়, বাবা আল্লায় তোমারে দেবে। আমি নামাজ পড়ে. . .
বাক্য শেষ হবার আগেই তাঁকে অতিক্রম করে চলে যাই প্রতিবার। আজ ইচ্ছে হয় থামার। পুরো বাক্য  শোনার। আমার দাঁড়িয়ে থাকার মমার্থ টের পায় না সে। আবার বলে ওঠে, বাবা আল্লায় তোমারে দেবে। আমি নামাজ পড়ে. . . .খন্ড বাক্যের পৌনঃপুনিক ব্যবহার। বৃদ্ধা, যিনি এই শহরের সবাইকে নিজের ছেলে ভেবে বাবা সম্বোধন করে , সেও হয়তো জানে এই অগণন ভ্রান্তিবিলাসে ভরপুর শহরে পুরো বাক্য শোনার কারো সময় নেই।

গরু মেরে জুতা দান করলে যে কখনো হাতেম তাই হওয়া যায় না, সেকথা কে বোঝাবে তাদের?

গত দুশ বছর ধরে সারা পৃথিবীতে যারা গণতন্ত্র ও মানবাধিকার প্রতিষ্ঠায় অক্লান্তভাবে (নিন্দুকেরা উল্টোকথা বলে থাকেন) কাজ করে চলেছেন, সেই পশ্চিমা দুনিয়া ঘরের দরজায় ক্ষুধার্ত ও আশ্রয়প্রার্থী মানুষ দেখে ভড়কে গেল। ভালো করে খিল এঁটে কানে হেডফোন লাগিয়ে জোরসে মিউজিক প্লেয়ার ছেড়ে দিল।অবশ্য তারা কখনোই কোনো বিষয়ের গভীরে যাওয়ার বোকামি করেন না। তাতে বায়বীয় জগতের নতুন হুজুগে হুক্কা হুয়া করার সুযোগটা মিস হয়ে যাওয়ার বিরাট সম্ভাবনা থাকে। এতদিন সে জোর গলায় সবাইকে বলে এসেছে, তার যেহেতু বিপুল পরিমাণ অর্থ-প্রাচুর্য আছে সে ‘উন্নত বিশ্বে‘ বাস করে। তার সেই বিশাল টাকার থলেতে হঠাৎ যেন টান পড়ল। যে কাঁধকে মনে হচ্ছিল হারকিউলিসের মতো চওড়া, অনায়াসে অনেক ভারী বোঝা বহনে সক্ষম; দেখা গেল সে কাঁধ বড় নাজুক।
অতঃপর গৃহযুদ্ধ আর নীরব দুর্ভিক্ষে অতিষ্ঠ উদ্বাস্তুর দল ডুবে মরতে শুরু করল বলকানের দুর্গম পথে, সাগরের নিঃসীম নীল জলে কিংবা কাঁটাতারের সীমানায় পৌঁছার পর তারই মতো কোনো দু-পেয়ে  দমকা হাওয়ায় তেলের কুপি যেভাবে নিভে যায়, অনবরত মানবাধিকারের বুলি আওড়ানো ঠোঁটগুলো সেভাবে বন্ধ হয়ে গেল। চোখের আড়ে পাহাড় লুকোনোর এই প্রচেষ্টা
আসলে আমরা সবাই অদ্ভুত এক সময়ে বাস করছি। কোনো সমস্যার অন্তর্নিহিত কারণ ও সুদূরপ্রসারী প্রভাব নিয়ে ভাববার ফুরসত মেলে না কারো। কিছু ফটো বা ভিডিও দেখে মুহূর্তের আবেগে  উত্তেজিত হই, তারপর আবার আফিমগ্রস্ত কমলাকান্তের মতো ঝিমিয়ে পড়ি।

Thursday, October 15, 2015

Everything (in life) is politics

I believe in the concept of welfare state. I hate napotism, racial indiscrimination, religious intolerance, social disparity, economic exploitation, immoral political practices, double standard in judgment, political violence, suppression of freedom of speech and vindication against people on ground of difference of opinion. I believe,'' live and let others to lead a life the same way as you would like for yourself.'' Government must not fatten her tummy keeping the people unfed, must not seek for comfort at the cost of other's discomfort and should be run by politicians not by immoral and greedy business men. I have zero tolerance against corrupt, deceptive, liar, hypocrate people, be it in my social life or in the political arena.

আলোকিত পরিবার

কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশন আয়োজিত বছরের শেষ আলোচনা সভায় আলোচ্যসূচী ছিলো, "আলোকিত পরিবার" সেখানে বলা হয়, বাবা মা দের সবচেয়ে বড় ভুল এটাই...