About Me

My photo
JATRABARI , Dhaka, Bangladesh
I'm different, Damn your opinion. I have a passion for perfection, I like to challenge myself, and I appreciate diversity. I'm committed to personal aesthetics, excel in finding problems and solutions, and have a driving force to create. I have boundless imagination and an open mind. Disclaimer : I am a real person. I struggle, and I sparkle. I'm no longer afraid to say what makes Me angry, sad,or what I think is unfair. I'm not scared to admit that at time I feel worthless, lost or not enough. I'm also not hiding from love, beauty, aliveness, blessings or abundance anymore. I will not edit the sad,angry for f*cked up part of my story, or the holy magnitude of my triumphs to make anyone comfortable. I'm a real person. I struggle and I sparkled. Warning: Don't Believe All The Rumors You Hear About Me, because The Truth Is Much Worse! I'm not perfect. Never have been & never will be...

Friday, April 17, 2015

অতঃপর মখলেছের খায়েশ পূরণ (গল্পোটা কাল্পনিক। অতীত বা সাম্প্রতিক কোন ঘটনার সাথে মিল খুঁজতে গিয়ে বিভ্রান্ত হবেন না!)

অতঃপর মখলেছের খায়েশ পূরণ হইল! তবে মখলেছের খায়েশ পূরণ হওয়াটা অতটা সহজ ছিল না বটে। যদি শুরু থেকে দেখিতে হয়, তবে ভবপুর জেলার কুসুমপুর গ্রামে নজর ফেলিতে হইবে। আর প্রত্যুশের প্রথম দৃষ্টিটিই পড়িবে গ্রামের পেছনের নিরীহ পাটক্ষেতটিতে!
পাটক্ষেতের আইল ধরিয়া কিছুদূর ভিতরে গিয়া বসিলে বাহির থেকে দেখা যায় না, কে মলত্যাগ করিতেছে! মখলেছ তাই সকাল সকাল বদনা সহকারে পাটক্ষেতের পানে রওনা হয়। এই সময়টা কেউ ডাকিলে কিংবা পথ আগলাইলে তাহার ভালো লাগে না। কারণটি এমন নয় যে প্রকৃতি তাকে সকাল বেলাতে প্রবল বেগে ডাকে। বরং মূল কারণটি হচ্ছে ঠিকঠাক সময়মত বসিতে পারিলে, অর্ধেক কর্ম সম্পাদন হওয়াকালীন সময়ে সখিনা এই পথটি দিয়া মলত্যাগ করিয়া ফিরে।
সখিনা যখন প্রায় কাছাকাছি চলিয়া আসে, তখন খুব একটা ক্যোঁৎ মারিয়া প্রবল শব্দে বায়ু নির্গত করিয়া নিজের অবস্থান জানান দেয়া যায়। এতে করিয়া প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে গিয়া সখিনার সামনে বিব্রত তো হইতে হয়ই না বরঞ্চ সখিনাকে খুব একটা বিরক্ত করা হয় বৈকি! বায়ু নির্গমনের শব্দে সখিনা যখন উড়িয়া গিয়া আইল ছাড়িয়া পাটক্ষেতে পড়ে, তখন বিরক্ত হইয়া মা-বোন সংক্রান্ত বেশ কিছু গালি গালাজ করে। সকাল সকাল সখিনার গালি শুনিতে বেশ লাগে। কলিজা শীতল হইয়া যায় একেবারে। বাঁচিয়া থাকাটা মনে হয় স্বার্থক!
এমনই মলত্যাগ এবং বায়ুত্যাগ করিয়া যখন মখলেছের প্রেমময় জীবনে ভ্রমর কিংবা মাছি উড়িয়া বেড়াইতেছিল, তখনই সে খবরটি পাইল। কীভাবে কীভাবে যেন এসএসসি এবং এইচএসসি দুই পরীক্ষাতেই এ প্লাস পাইয়া বসিয়াছিল মখলেছ। তাহার স্পষ্ট মনে আছে এসএসসিতে একটি এবং এইচএসসিতে দুইটি পরীক্ষায় সে অংশগ্রহণই করে নাই। তারপরও কীভাবে এই এ প্লাস বস্তুটি জুটিল তাহা সে কিছুতেই মিলাইতে পারিতেছিল না। আর এই দিয়া কি হইবে, তাহা বোঝার কোন চেষ্টাও করিল না।
কিন্তু এ প্লাসের মূল মাহাত্ম্য সে বুঝিতে পারিল যখন এলাকার এক বড়ভাই বলিল সে ঢাকায় বড় বিদ্যাপীঠের ভর্তি পরীক্ষার জন্য খুব একটা আগাইয়া গিয়াছে। কিন্তু আগাইয়া গিয়া কি হবে, তা নিয়া মখলেছের মোটেও কোন উৎসাহ দেখা গেল না। কেননা এলাকার যত বড়ভাই ঢাকায় বড় বিদ্যাপীঠে পড়িয়াছে, তাহাদিগকে সারাটা দিন শুধু পড়াশোনা করিতেই দেখিয়াছে। সে মোটের উপর কোন পড়াশোনা না করিয়া কীভাবে ঢাকায় বড় বিদ্যাপীঠে পড়িবে, ইহা সে কোনভাবেই ঠাহর করিতে পারিল না।
অবশেষে যখন সেই একই বড়ভাই প্রশ্নপত্রের একটি কপি আনিয়া দিয়া বলিলেন, এই প্রশ্নখানা হুবহু পড়িয়া ল। ইহাতেই কাজ হইবে। তখন মখলেছ সারাদিন সারারাত প্রশ্নসমূহের উত্তর মুখস্থ করিয়া পরীক্ষা দিতে গেল। পরীক্ষা হলে গিয়া যখন দেখে হুবহু একই প্রশ্ন আসিয়াছে, তখন মখলেছের খুশীর আর সীমা রইল না। আর এতে করিয়াই মখলেছের নাম ভর্তি পরীক্ষার ওয়েটিং লিস্টের উপরের দিকে থাকিল।
কোনমতে একটি সাবজেক্ট পাইয়া যখন ভার্সিটিতে ভর্তি হইতে গেল, তখন লাল লাল নীল নীল বাত্তি এবং হরেক রকমের ললনা দেখিয়া তাহার লালা ঝড়িতে লাগিল। কোথায় গ্রামের সখিনা আর কোথায় ঢাকার ললনা। কেউ কেউ তো আবার এমন জিন্স পড়িয়াছে, যাহা পড়িবার সাধ্য তাহার নিজের এখনো হয় নাই। প্রথম দুই চার ঘণ্টা যখন মখলেছ ললনাবৃন্দের বক্ষযুগলে তাকাইয়া ছিল, তখন পর্যন্ত মাথায় ব্যাপারটি কাজ করে নাই যে, ললনাদের অনেকে ওড়নাই পড়ে নাই। তাইতো বলি, বক্ষগুলি এতো স্পষ্ট করিয়া কেন দেখা যাইতেছিল? ব্যাপারটা যখন সে বুঝিতে পারিল, তখন তখনই বাথরুমে গিয়া দুইটা ডিগবাজি দিয়া, সে যে কি “অমৃত” দেখিয়াছে, তাহা উদযাপন করিয়া আসিল।
কিন্তু শুধু ললনা দেখিয়া সময় পাড় করিলে তো আর চলিবে না। থাকার একটি ঠাই ও তো খুঁজিয়া লইতে হইবে। বড় ভাই তাহার হলের ঠিকানা দিয়া বলিয়াছিল, ঢাকায় আসিলে যোগাযোগ করিতে। তাই মখলেছ আপাতত ললনাদের মায়া ত্যাগ করিয়া বড় ভাইয়ের পানে ছুটিল। বড়ভাই হলে উঠাইবার ছলে তাহারও বড়ভাই এবং হলের সভাপতি কুদ্দুছ ভাইয়ের সহিত সাক্ষাৎ করাইয়া দিল। কুদ্দুছ ভাই বলিলেন হলে থাকিলে সবার সাথে মিলিয়া মিশিয়া থাকিতে হইবে। এই বলিয়া মখলেছের মতই আরও কিছু চিড়িয়াকে দেখাইয়া দিল। আর বলিয়া দিল জেনারেল সেক্রেটারি মিশেলের দলের কারো সাথে আবার মিশিতে যাইও না বরং উহাদের কাউকে পাইলে ভরপুর ঠেঙ্গাইয়ো। নয়তো উহারা তোমাদিগকে ঠেঙ্গাইতে কার্পণ্য করিবে না।তাহার এলাকার বড়ভাইও কুদ্দুছ ভাইয়ের এই কথাতে সম্মতিসূচক মাথা নাড়াইল। যে বড় ভাই শুধুমাত্র একটি প্রশ্ন দিতে গিয়া পাঁচ হাজার টাকা লইয়াছিল, সে চার-পাঁচ বছর থাকার বন্দোবস্ত করিয়া দিয়া একটি টাকাও লইল না। শুধু বলিল সেক্রেটারির দলের কাউকে পাইলে ঠেঙ্গাইতে হইবে। ইহা যে মখলেছের জন্য কোন বিষয় নয়, সেটি মনে হয় বড় ভাইরা টের পায় নাই। এলাকায় একটি শালুক থেকে আরম্ভ করিয়া বাজারের চা খাওয়া পর্যন্ত যে নানাবিধ কারণে মখলেছের নানান জনকে ঠেঙ্গানোর অভ্যাস আছে, বড় ভাইরা মনে হয় তাহা জানে না।
তবে কুদ্দুছ ভাই মাথায় তেল দেওয়াতে যে তাহাকে নায়ক সাকিব খানের মত লাগিতেছে, এইটি বলিয়া মখলেছ বেশ বিপাকে পড়িয়া গিয়াছিল। তাহার এলাকার বড়ভাই যখন তাহাকে শুধরাইয়া দিল যে উহা তেল নয়, উহাকে বলে “জেল” তখনই একমাত্র মখলেছ বুঝিতে পারিল, ঢাকার চালচলন কুসুমপুরের মত নয়।কুসুমপুরের তিসির তেল কে এখানে “জেল” বলা হয়। কিন্তু চোর-ডাকাত-রাজনীতিবিদরা মাঝে মাঝে মামলা খাইয়া যেখানে যায়, সেটিও তো “জেল”! এমন প্রশ্ন করাতেই বাঁধিল মূল গোলযোগ। কুদ্দুছ ভাই বেশ চটিয়া গিয়াছিল এবং বেশ কিছুদিন তাহার সামনে থেকে দূরে দূরে থাকিতে হইয়াছে। যদিও সেক্রেটারি গ্রুপের সকলকে ঝেটিয়া হল হইতে বিদায় করার পর কুদ্দুছ ভাইয়ের রাগ কিছুটা পড়িয়াছিল। উপরন্তু উপহারস্বরূপ মিলিয়াছিল কিছু লাল পানি আর “জেল” এর একখানা কৌটা।
এবং দেখিতে দেখিতে মখলেছ, কুদ্দুছ ভাইয়ের কাছের লোক হইয়া গেল। একদিন তাই মখলেছ তাহার এতো কাছের বড় ভাই কুদ্দুছ ভাইকে মুখ ফুটিয়া মনের কথাটা বলিয়াই ফেলিল।
মখলেছ বলিল, ভাই, এই যে এতো এতো সুন্দরী কন্যারা এইখানে ওড়না পড়ে না, এই ব্যাপারটি লইয়া কি কিছু বলিবেন ভাই? কুদ্দুছ ভাই বেশ রাগিয়া গিয়া বলিলেন, ব্যাটা, তুই কি স্বাধীনতার বিপক্ষ শক্তি নাকি? যে যাহার ইচ্ছামত পোশাক পড়িবে তাহাতে তোর কি বে?
মখলেছ মিন মিন করিয়া বলিল, কিন্তু ভাই, আমার যে ধরিয়া দেখিতে ইচ্ছা করে। কুদ্দুছ ভাই হতাশ হওয়ার মত একটি শব্দ করিয়া বলিলেন, শুধু ধরিয়া নয়, তুমি খুলিয়াই দেখিও, তবে এ বেলায় নয়। পহেলা বৈশাখ এখানে হাজার হাজার ললনা আসিবে। তাহারা যদিও শাড়ি পড়িয়াই আসিবে। কিন্তু তাহার পরেও তোমরা একত্রিত হইয়া উহাদিগকে ঘেরাও করিয়া, শুধু ধরিয়া নয়, খুলিয়াও দেখিও। আর শোন, বাথরুম করার পরে পানি ঢাল না কেন? তোমাদের ব্লক হইতে বারংবার রিপোর্ট আসিতেছে, তোমরা কি আমাকে সভাপতি থাকিতে দিবে না নাকি?

1 comment:

  1. মখলেছদের প্রতিরোধ করতে জয়নাল, আব্দুল আর বাকেররা এগিয়ে আসুক এটাই চাই।

    ReplyDelete

আলোকিত পরিবার

কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশন আয়োজিত বছরের শেষ আলোচনা সভায় আলোচ্যসূচী ছিলো, "আলোকিত পরিবার" সেখানে বলা হয়, বাবা মা দের সবচেয়ে বড় ভুল এটাই...